অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি সমস্যা হয় , তরুণ বয়সে অনেকেরই স্বপ্নদোষ হতে পারে, যা এই বয়সে স্বাভাবিক। এটি কোনো অসুখের মধ্যে পড়ে না। আর কোনো ওষুধের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণও করা যায় না। আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।
সর্বোপরি ওই ধরনের চিন্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত সুষম খাবার খান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন মনোরোগবিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
স্বপ্নদোষ একেবারেই স্বাভবিক এবং শারীরবৃত্তীয় কারণে সংগঠিত একটি শারীরিক প্রক্রিয়া মাত্র।
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি সমস্যা হয়
এই বয়সে এটি ঘটতে পারে। এতে ভীতির কোনো কারন নেই। ক্ষেত্রবিশেষ স্বপ্নদোষ এড়ানোর কিছু টিপস নিম্নেরূপ:
.প্রতমত রোম্যান্টিক জাতীয় সিনেমা দেখা বন্ধ
করুণ ও মেয়েদের নিয়ে কল্পনা থেকে বিরত থাকুন।
২. ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। যদিও
এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয় –
তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ
কমাতে শরীরকে সাহায্য করে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে স্বপ্নদোষের প্রতিকার করতে জীবনধারায় বদল আনা দরকার এবং ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া উচিত। জীবনধারায় বদল আনার পাশাপাশি হস্তমইথুনের পৌনঃপুনিকতা কমানো এবং নিষিদ্ধ চলচ্চিত্র ও ছবি দেখা বন্ধ করতে হবে। যদিও, প্রাকৃতিক উপায়ে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার কয়েকটি উপায় আছে; নিচে লেখা পরামর্শগুলো মেনে চলতে হবে।
৩. ঘুমাতে যাবার আগে এককাপ ঋষি পাতা (Sage
Leaves – google এ সার্চকরে দেখতে পারেন।
হয়তো আপনার অঞ্চলে এটি ভিন্ন নামে পরিচিত)
‘র চা পান করলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন জনিত
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৪. অশ্বগন্ধা (Withaniasomnif era)
স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যায় উপকার সহ
সর্বপোরী যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি, হরমোন ব্যালেন্স
এবং হস্তমৈথুনের ফলে দুর্বল
হয়ে যাওয়া পেশীশক্তি ফিরে পাওয়া ও ভিতরগত
ছোট-খাট ইনজুরি সারিয়ে তুলতে পারে।
ব্যায়াম এবং যোগাসন একজন পুরুষকে তার শরীর, মন ও মস্তিষ্কের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত যোগাসন ও ব্যায়াম করলে সেসব যৌনকর্ম যা করলে স্বপ্নদোষ হতে পারে, আপনি তা নিজে আটকাতে পারবেন।
৫. ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন
না। যদি সামান্য পরিমান প্রস্রাবের লক্ষনও থাকে বিছানায় যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন।
৬. রাতের খাবার খাওয়ার পর-পরই ঘুমাতে যাবেন না। কিছুক্ষন হাটা-হাটি করুন।
পুদিনা পাতা অথবা মিছরী খাবার অভ্যাস করুন।
রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে গন্ধসার তেল দিয়ে স্নান করলে আপনার শরীর অনেক আরাম পাবে এবং আপনি শান্তি মনে ঘুমোতে পারবেন।
৮. পবিত্র কোরআনের ৩০ নাম্বার পারার
“সুরা তারিক” পড়ে শয়ন করুন। হালকা জিকির
এবং অন্যান্য দোয়া পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর
রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)