অন্ডকোষ ঝুলে যায় কেন , পুরুষের অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার কারণ ও এর সমাধান – এই ব্যাপারটা যখন আমি প্রথম জানতে পারি তখন খুবই আশ্চর্য হয়ে যাই স্রষ্টা আমাদেরকে কত যত্ন করে বানিয়েছেন কি সুন্দর তার সৃষ্টি!!
আমরা তো সবাই জানি মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে আমরা জ্বর হয়েছে বলে ধরে নিই আবার স্বাভাবিক চেয়ে কম হলে আমাদের দেহে ঠান্ডা (শীত) লাগে। এই প্রক্রিয়াটি আমাদের দেহের স্বাভাবিক ঘটনা।
এখন যদি আপনার দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেরে যায় তাহলে কি হবে সেটা জানেন? যেটা হবে সেটা হলো অর্গান ডেমেজ হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে।
আবার যদি অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায় তাহলে দেহে রক্ত জমাট বেঁধে মানুষ মারা যাবে।
অন্ডকোষ ঝুলে যায় কেন
এতো কথা বলার একটি কারণ আছে সেটা হল, আপনি কি জানেন অন্ডকোষ বা টেস্টিস এ আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম থাকে? অন্ডকোষ বা টেস্টিস ঝুলে থাকার কারন হল তাপমাত্রা। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ওখানে তাপমাত্রা কম কেন থাকে। কারণ হল অন্ডকোষ বা টেস্টিস এ শুক্রাণু তৈরি হয় আর শুক্রাণু হল একটি প্রোটিন আর এটি যদি তাপের সংস্পর্শে আসে তাহলে জমাট বেঁধে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
গাইনোকোমেশিয়া
৩৫ বছর বয়সী একজন তরুণ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক বাসিন্দা বলছেন, যখন কৈশোরে পা দিয়েছেন তখন বুকের কাছে মেয়েদের স্তনের মতো কিছু একটা প্রথম খেয়াল করেন।
বাড়ির কর্মচারীদের একজন বিষয়টার প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, যে ছেলেদের এমন হওয়ার কথা না। এরপর থেকে বাকি জীবন পরণে পোশাক ছাড়া তাকে দেখেছেন শুধু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।
“একটা অ্যাফেয়ার ছিল আমার কলেজ লাইফে। যার সাথে অ্যাফেয়ার ছিল, সেই ভদ্রমহিলা অনেক সময় এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতো যে আল্লাহ’র তো তোকে আসলে মেয়ে বানানোর কথা ছিল, ভুলে ছেলে বানাইছে।”
“বাংলাদেশে যেটা হয় যে পুরুষরা খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আমি সেটা কখনোই পারতাম না। ম্যাট্রিকে যখন পড়ি, তখন থেকে আমার পুরো লাইফে ঘনিষ্ঠ দু-একজন ছাড়া আমাকে খালি গায়ে কেউ দেখেনি।”
যে অসুখটি সম্পর্কে তিনি বলছেন তার নাম গাইনোকোমেশিয়া বা পুরুষদের স্তন বৃদ্ধি।
তার এই সংকোচের কারণ সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, “নরমালি আমরা যেটা দেখে অভ্যস্ত তার বাইরে আমরা যদি কিছু দেখি তাহলে সেটা আমাদের মধ্যে একটা সংকোচ তৈরি করে। পুরুষ মানুষের চেস্ট যেরকম থাকার কথা আমার সেরকম না এটা হয়ত আমার সংকোচের কারণ”।
নিম্নলিখিত কিছু কারণ অন্ডকোষের ঝুলন্ত হওয়ার সাধারণ কারণগুলি হতে পারে:
ক্রোমোসোমাল অক্ষমতা: অন্ডকোষ ঝুলতে পারে যখন এর ভিতরের ক্রোমোসোমাল অক্ষমতা থাকে। এই অক্ষমতা সাধারণত মাংসপেশীগুলির দুর্বলতা বা অপসারণের ফলে ঘটে।
দীর্ঘক্ষণ যৌনসুখ উপভোগ করার উপায় কী?
অন্ডকোষ ভ্রমণের সমস্যা: অন্ডকোষের মাধ্যমে স্পের্ম কোষ অন্ডকোষে পয়েন্ট করে বা একটি কষের বা কষগুলির নিয়ন্ত্রণের সাথে সমস্যা থাকলে অন্ডকোষ ঝুলতে পারে। এই সমস্যা অন্ধকার অন্ডকোষ স্যানড্রোম এবং অন্ধকার অন্ডকোষ মূল্যায়ন সমস্যা পরিণত করতে পারে।
অন্ডকোষের বন্ধনী সমস্যা: অন্ডকোষের বন্ধনীগুলির সাথে সমস্যা থাকলে অন্ডকোষ ঝুলতে পারে। এটি আমলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ফলে হতে পারে, যা পরিবর্তিত হতে পারে যেমন গর্ভাশয়ের গঠন পরিবর্তিত হতে পারে।
স্নায়ুতাত্ত্বিক সমস্যা: অন্ডকোষের সংক্রমণ বা স্নায়ুতাত্ত্বিক সমস্যা হলে অন্ডকোষ ঝুলতে পারে। এই সমস্যাগুলি অন্ধকার অন্ডকোষ সিনড্রোম এবং মূল্যায়ন সমস্যা হিসাবে পরিচিত হতে পারে।
অবশ্যই মনে রাখবেন যে, অন্ডকোষের ঝুলন্ত হওয়ার পেছনে অন্যান্য কারণগুলিরও থাকতে পারে। আপনি যদি অন্ডকোষের ঝুলন্ত হওয়া সমস্যার সম্পর্কে চিকিৎসার্থীর সাথে আলোচনা করতে চান, তাহলে এটি আপনার সমস্যার সম্পর্কে আরও বিশদ জানতে সহায়তা করবেন।
গরমের সময় আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা একটু বেশী থাকে তাই অন্ডকোষ বা টেস্টিস নিচের দিকে ঝুলে যায় যাতে কনস্ট্যান্ট (নির্দিষ্ট 35°F) তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে।
আবার শীতের সময় যখন বাহিরে (পরিবেশের) তাপমাত্রা কম থাকে কিন্তু আমাদের শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকে তাই টেস্টিস বা অণ্ডকোষ উপরের দিকে উঠে শরীরের সাথে লেগে থাকে যাতে তার নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে।
শুক্রাণু বা স্পার্ম উৎপাদনের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৫৹ ফারেনহাইট। তাই টেস্টিস বা অণ্ডকোষ ঝুলে যাওয়া কোনো রোগ নয় এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
আমাদের যেমন এই কোষ আছে তেমনি মেয়েদেরো আছে। কিন্তু মেয়েদের গুলো ভিতরে থাকে আমাদের গুলো বাহিরে। কেননা এগুলো একটা নিদিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন বিধায় বাহিরে দেওয়া হয়েছে। আর সেই তাপমাত্রাটি শরিরের তাপমাত্রার তুলনায় ঠান্ডা হওয়া চাই।
আর অকেবারেও ঠান্ডাও হওয়া চাইনা। তাই আপনার অন্ডকোষ যখন বেশি তাপমাত্রায় থাকে তখন সেটা ঝুলে যায়। আর যখন অনেক কম তাপমাত্রায় থাকে তখন সেটা গুটিয়ে যায় যেন বেশি ঠান্ডা এতে প্রবেশ না করতে পারে
অণ্ডকোষের নানাবিধ সমস্যা
ইউরোলজিস্ট ডা. ফজল নাসের অণ্ডকোষের কয়েকটি অসুখ সম্পর্কে ধারণা দিলেন। হাইড্রোসিল, যাতে অণ্ডকোষের বাইরের দিকে পানি জমে, অণ্ডকোষ ফুলে যায়। প্রদাহ অথবা আঘাতের কারণে এটি হতে পারে। অণ্ডকোষের দুই পাশে, অথবা একপাশেও এটি হতে পারে।
হার্নিয়া হলে মনে হবে পেটের ভেতর থেকে নাড়ি বের হয়ে আসতে চায়। হাঁচি, কাশি দিলে অথবা জোরে হাঁটলে মনে হবে তলপেটের নিচ থেকে কিছু একটা অণ্ডকোষের ভেতরে চলে আসতে চাচ্ছে।
অণ্ডকোষকে ঝুলে থাকতে সাহায্য করে, বলা যেতে পারে তারের মতো এই অংশটি অণ্ডকোষের সাথে পেঁচিয়ে গেলে তাকে বলা হয় টেস্টিকুলার টরশন।
পেট থেকে যে রক্তনালী অণ্ডকোষের সাথে সংযুক্ত থাকে সেটা ফুলে যেতে পারে, দেখতে কৃমির মতো মনে হতে পারে, যাকে বলা হয় ভেরিকোসিল।
টেস্টিকুলার সিস্ট হলে মনে হবে দুটি অণ্ডকোষের সাথে নতুন আরও অণ্ডকোষ গজিয়েছে।