অন্যায় হলো সত্য এবং সমর্থন বিহীন কারণে বা অনুমতি ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া।অন্যায় নিয়ে উক্তি,এটি মানব সমাজের একটি অভিশাপ এবং অপরাধের সামান্য বা মহাপরাধের বিভিন্ন রূপে দেখা যায়। অন্যায় আপাতত যে ব্যক্তিদের সাথে ঘটে তাদের ভাবী ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করতে এবং মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এই অন্যায়ের সাম্প্রতিক উদাহরণ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে দেখা গেছে, এবং এটি মানব অধিকার, ন্যায়বিচার, এবং সামাজিক সমমান নিয়ে জয়লাভ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ উপযুক্ত করে।
“অন্যায় হলো সত্য এবং সমর্থন বিহীন কারণে বা অনুমতি ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া।” – গান্ধি
অন্যায় নিয়ে ১০টি উক্তি
অন্যায় নিয়ে প্রসিদ্ধ ১০টি উক্তি নিম্নে দেওয়া হলো:
১. “বিশ্বাস করো, অন্যায় থাকলে সব বিশ্বাস মোহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়।” – মার্ক ট্যুয়েন
২. “অন্যায়ের মুখে সাধুবোধ রয়েছে, তবু সত্যের মুখে অমাধ্যমিক চেষ্টা করা উচিৎ নয়।” – মাহাত্মা গান্ধি
৩. “যতক্ষণ অন্যায় করা যাবে, ততক্ষণ শাসন থাকতে পারবে, কিন্তু এর পরে শাসনের কোন সমর্থন নেই।” – প্লাটো
৪. “অন্যায়ের হাতে কৃষক শয্যায় ঘুমাতে পারে, কিন্তু শয্যাতে ঘুমাতে পারে না যে ন্যায়বিচারের জন্যে উঠে দাঁড়াতে হয়েছে।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫. “অন্যায় যত্ন সাধ্য, কারণ তা ভয় দেয় না মৌলিক ব্যক্তিগত অধিকারের প্রতি স্বাধীনতা।” – নেলসন ম্যান্ডেলা
৬. “অন্যায় করা হলে যে ব্যক্তি শাস্তি দেয়, তার মধ্যে দ্বিধা করতে হয় না, সে সাহসিক এবং দৃঢ়মনা।” – মার্ক টোয়েনসেন্ড
৭. “অন্যায় যখন সত্যের কাছে আসে, তখন তার শক্তির শেষ দিকে হয়ে যায়।” – সোফোক্লিস
৮. “অন্যায় নিয়ে সুপ্রসিদ্ধ একটি উক্তি হলো – ‘যদি আপনি মামুলি বিষয়ে শাস্তি প্রদান করুন, তবে মামুলি মানুষ তাকে বর্বরের স্থানে প্রদান করে।'” – থোমাস জেফারসন
৯. “অন্যায় বৃদ্ধির কারণে রাজত্বের ভূমিকা খোয়া যায় এবং ন্যায় করা যায় না।” – আরিস্টটেল
১০. “অন্যায় যখন হ্রাস পেয়ে, সেই সময় যখন যোগ্যতা ও জ্ঞানের আলো অতীত হয়ে যায়, তখন সভ্যতার কাছে পতন নিশ্চিত।” – জন এফ কেনেডি
এই উক্তিগুলি মানুষের অবিচারের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে এবং অন্যায়ের মুখোমুখি সম্পর্কে মনোনিবেশ ও বিচার সৃষ্টি করে।
অন্যায় নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ইসলামিক সাহিত্যে অন্যায় নিয়ে কয়েকটি উক্তি রয়েছে, যেগুলি মুসলিম বিশ্বজনের সাথে প্রকাশিত হয়েছে। এই উক্তিগুলি দ্বৈত, আহ্লে হাদিস ও কুরআন থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। নিচে কিছু প্রসিদ্ধ ইসলামিক উক্তি দেওয়া হল:
১. “সাব্যস্ত্য থাকুক যাতে অন্যায় না হয়।” – হাদীস (সাহীহ মুসলিম)
২. “অন্যায় করা অগণ্য অপরাধের মধ্যে সর্বাধিক অপরাধ।” – কুরআন (সূরা আশ-শুরা, আয়াত ২০)
৩. “অন্যের সাথে অন্যায় করা না করাই সমতা ও ন্যায়বিচারের কূল।” – হাদীস (সুনান আবু দাউদ)
৪. “কোনো ব্যক্তির প্রতি সম্পর্কে আদিল না হওয়া এমনও অন্যায় করা হয়ে থাকে।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)
৫. “আল্লাহ্ তোমাদের এমনি সাব্যস্ত রাখুক যেন তোমরা সাব্যস্ত্যশীল হও না এবং সমস্ত মানুষকে ন্যায় অনুবর্তী হও।” – কুরআন (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৩৬)
৬. “যে ব্যক্তি দুনিয়ায় এবং আখেরাতের মধ্যে অন্যায় করে সে নুর ও দীপ্তির রাস্তায় পড়বে না।” – কুরআন (সূরা আন-নিসা, আয়াত ১১)
৭. “আদালত করা ব্যক্তির শোকযাত্রা শান্ত থাকবে এবং তার শান্তির জন্য আকার প্রদর্শন করা হবে সবগুলো বস্ত্রে সে প্রকাশিত হবে।” – হাদীস (সহীহ বুখারী)
৮. “আদালতে একটি দিন অন্যায় করার একবার আমানতদার হয়েছে বা একবার জায়জ কামনায় সরকার করার অনেকগুলো মামুলি আমানতদার হয়েছে।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)
৯. “যারা মানুষকে ন্যায় করে, তাদেরকে আমি আমার মালিকের সহিত পড়িয়ে চলার জন্য মিনার দেব।” – হাদীস (সহীহ ইবনে মাযাহ)
অন্যায় নিয়ে উক্তি ১০টি ইসলামিক
অন্যায় নিয়ে ইসলামিক সাহিত্যে অনেকগুলো উক্তি রয়েছে। নিচে প্রসিদ্ধ ১০টি ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হল:
১. “আল্লাহ্ অধিক প্রতিফল দেয়েন যারা অন্যের সাথে অন্যায় করতে পারেন, তাদেরকে তাদের মধ্যে ন্যায় করার জন্য সাব্যস্ত করেন।” – কুরআন (সূরা আন-নিসা, আয়াত ৬০)
২. “যে ব্যক্তি ন্যায়ের মধ্যে পথ প্রদর্শন করে, তার দরজার কাছে নিজের পথ প্রদর্শন করা হয় সেই ব্যক্তি অন্যায় নেওয়া করার জন্যে অনুমতি পাবে না।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)
৩. “যে ব্যক্তি সত্যি এবং সমস্ত মৃত্যুর পক্ষে সজ্জিত তাকে এমনভাবে জ্ঞাত করে যে, তার বিপরীতে যা বলা হয় তা উপযুক্ত।” – হাদীস (সহীহ বুখারী)
৪. “আদালতে একটি দিন অন্যায় করার একবার আমানতদার হয়েছে বা একবার জায়জ কামনায় সরকার করার অনেকগুলো মামুলি আমানতদার হয়েছে।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)
৫. “সত্যি মৃত্যু বা মাসুম মানুষের ক্ষতি করা অত্যন্ত গহীন অন্যায়।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)
৬. “যারা মানুষকে সমস্ত মানসিক আদালতে ন্যায় করে তারা একটি সৃষ্টির মালিকের সঙ্গে যোগ করা হয়।” – কুরআন (সূরা আল-হাশর, আয়াত ১৭)
৭. “যে কেউ অন্যের মাল ধরে তা আত্মা হিংসা করা সমান।” – হাদীস (সহীহ মুসলিম)
৮. “যদি একজন মুসলিম ব্রাদারের উপর সত্যের বিরুদ্ধে অন্যায় করে তাহলে এটি তাঁর বেশি পুরুষার্থের জন্যে তাঁর নিজের মৃত্যুর উপকারিতা হয়ে যায়।” – হাদীস (সহীহ বুখারী)
৯. “আদালতে মুসলিম জজ নেয়, এতে যেন সত্য জন্মগ্রহণ করে।” – হাদীস (সহীহ বুখারী)
অন্যায় নিয়ে কিছু কথা
অন্যায় নিয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ মধ্যে অন্যায়কে নিয়ে সামাজিক মামলা, ভূগর্ভে হত্যা, সামাজিক অন্যায়ের বিচার সম্পর্কিত খবর, প্রশাসনিক বা সরকারী অপরাধ এবং বৃদ্ধিশীল গল্প সম্মিলিত রয়েছে। এগুলি সমাজে অন্যায়ের প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লোকের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রতিবাদ উত্থাপনের মূল কারণ হতে পারে।
ইসলামে অন্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে, এটি ইসলামিক আদালত এবং মুসলিম সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাধানের জন্য একটি উদাহরণ। কুরআন ও হাদিসে বিভিন্ন মেসেজে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া অন্যের সাথে অন্যায় করা কঠিন, অপযোগিত এবং প্রাণনাশক বর্ণনা করা হয়েছে।
একটি ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে একটি উচ্চতর মানুষের ভবিষ্যৎকে উজ্জীবিত করার জন্য সমর্থন দেয়া হয়, এবং মানবিক ও দিক-নির্দেশিত সমাধানের প্রস্তুতি করা হয়।