অপমান বা হিংস্রতা অনুভব একটি কঠিন ও অপ্রিয় অভিজ্ঞতা যা অধিকাংশ মানুষের মনোভাব ক্ষতি করতে পারে।অপমান নিয়ে উক্তি, অপমান করা অন্তর্নিহিত ভাষায় বা কার্যকের মাধ্যমে কাউকে মানসিকভাবে আঘাত করা হয়, যা তার স্বাভাবিক মূল্য এবং গৌরবের মেজাজ ক্ষতি করতে পারে। এটি সমাজে বা ব্যক্তিগত স্তরে কোনো রকম ভাষা, পরিবেশ, কার্য, বা ইতিহাসিক সংবাদের মাধ্যমে ঘটতে পারে।
অপমানের কারণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, যেমন সমাজের স্থান, বয়স, ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় ইত্যাদি। মানসিকভাবে আপমান বা হিংস্রতা অনুভব করা কাউকে ভীত করতে পারে, সামাজিক আইজোলেশন করতে পারে এবং নিজের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমূল্যের ক্ষতি করতে পারে। তাহলে অপমান করা এবং হিংস্রতা অনুভব করা একেবারে মানবিক নয় এবং সমাজে পরিণত হয়।
অনুগ্রহ করে, সমাজে এবং ব্যক্তিগত জীবনে সহানুভূতি, সম্মান, বুদ্ধিমত্তা এবং পরস্পরের সম্মান করার প্রতি সাদর হোক। অপমান বা হিংস্রতা কাউকে মানসিকভাবে আঘাত করে না করে তা যখনই ঘটায়, সেটি সমাজের মধ্যে নেতিবাচক এবং পদাধিকারী ব্যক্তিদের কাছে প্রচারিত করা উচিত নয়।
অপমান নিয়ে উক্তি ১০ টি
অপমান বা হিংস্রতা সম্পর্কিত কিছু উক্তি নিচে দেওয়া হলো:
“অন্যের মুখে অপমান ছুঁয়ে যাওয়া একটি বিধ্বস্ত শক্তির কাজ, ভালোবাসার বা বুদ্ধিমত্তার মতো শক্তি নয়।” – গান্ধী
“কখনও কাউকে অপমান করবেন না, কারণ কোনো মানুষ অপমানযোগ্য নয়।” – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
“অপমান করলে মানুষ দুঃখিত হয়, এবং দুঃখিত মানুষ অপমান করতে পারে না।” – সোকরেটিস
“অপমান করতে বা অপমান করার প্রস্তুতি করতে পর্যাপ্ত সাহায্য করে না, বরং এটি সাধারণভাবে দুর্বলদের কাজ।” – আলবার্ট আইনস্টাইন
“অপমান করলে আপনি একটি শাস্তি দেয়ার সামর্থ্য প্রদর্শন করতে পারেন, কিন্তু একটি মানুষের উচ্চতর স্থান প্রাপ্ত করতে এটি সাধ্য নয়।” – নেলসন ম্যান্ডেলা
“অপমান করা একটি অপ্রভাবিত মানসিকতা এবং কাউকে অপমান করার প্রয়াস আপনার মুকুট হারানোর কারণ হতে পারে।” – আলেক্সান্ডার পোপে
“অপমান করা হলো মানুষ নুষ্টন করা, যার দ্বারা আপনি নামছেন না যারা অপমান করলেন।” – কার্ল স্যান্ডবার্গ
“অপমান আপনার মানসিক সমৃদ্ধির কম্পিয়ে যেতে পারে এবং আপনার অভিজ্ঞতা হতে পারে যে আপনি যারা অপমান করেছেন তাদের সাথে তা নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কে প্রভাবিত হবে।” – আল্বার্ট সহিত্যকার
“অপমান করা হলো আপনার নিজেকে যে বিশেষভাবে অভিজ্ঞ করা যায় না তা ব্যক্ত করা।” – জ়েনোবিয়েভ স্নাইডার
“অপমান একজন বিজয়ী হিসেবে উচ্চ হওয়ার উপায় নয়, বরং একজন পরাজিত হিসেবে তীর্থযাত্রী হওয়ার উপায়।” – ওস্কার ওয়াইল্ড
অপমান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ইসলামে অপমান এবং হিংস্রতা অনুমোদিত নয়। এটি ধর্মীয় প্রচুর মর্যাদা ও ন্যায়ের মূলনীতিতে ভিত্তি করে। কোরআন এবং হাদিসে অপমান এবং হিংস্রতা বিষয়ক কিছু উক্তি উল্লেখ করা হলো:
“সত্যিই মৃত্যুলাভ মনুষ্যদের মধ্যে যে কেউ কেউ এভাবে অপমান করে, যেন তারা স্বর্গে প্রবেশ করেন না এবং তাদের জন্য দুর্ভোগ হয়।” – কোরআন 3:10
“সবাই সবকিছুর নির্মাতা আল্লাহ, সৃষ্টিস্থাপক এবং প্রকৃতি আকারে তার সমমিতি অনুমান করেন।” – কোরআন 59:24
“সত্যিই অপমানযোগ্য সেই লোক যার কাছে আপনি প্রায় মিত্রতা দেখতে পান না।” – কোরআন 68:7
“তাকদের মধ্যে অপমানকর ও ধর্মবিশেষভাষী লোক বা ধর্মবিশেষভাষী লোকের মধ্যে অপমানকর নাই।” – কোরআন 49:11
“আপনার সঙ্গে অপরের মধ্যে আপত্তি সৃষ্টি করবেন না। আপনি হৃদয় অপরের মধ্যে মিলন স্থাপন করুন।” – হাদিস, সহীহ বুখারী
“একজন মুসলিম অপরকে অপমান করতে পারবে না, নিজেকে না অপমান করতে পারলেও।” – হাদিস, সহীহ মুসলিম
“কেউ এক মুসলিম ভাইয়ের নিজের পিতা, মাতা বা ভাইবোনের সাথে মিলিয়ে খোলামেলি করলে আল্লাহ তার সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করবেন।” – হাদিস, সহীহ বুখারী
এই উক্তিগুলি প্রকাশ্য করে অপমান এবং হিংস্রতা একটি মুসলিমের চরিত্রে মিলিত নয় এবং সামাজিক মূল্যসমূহ এবং সহানুভূতির প্রতি আবেগ ও মূল্যায়নে উন্মুক্ত হওয়ার উপদেশ দেয়। মানবিক প্রতিরক্ষা এবং শান্তির উপর মুসলিম ধর্ম ভর দেয়।
অপমান নিয়ে ১০ টি ইসলামিক উক্তি
আপমান এবং হিংস্রতা ইসলামে অনুমোদিত নয়। বিশুদ্ধ ইসলামি তত্ত্ব ও শারিয়াতে মৃত্যুলাভ করা, অপমান করা বা অন্যের সাথে হিংস্রতা করা কখনই প্রশংসিত নয়। নিচে কিছু ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হলো, যা পরিবর্তন ছাড়াই সার্বভৌমত্ব এবং ভাল চরিত্র প্রসারিত করে:
“যে ব্যক্তি অপরের নিজস্ব মহিলাকে নিজস্ব নারীর মতোই মানবে, তার নিজের মা, বোন, পত্নী ও স্ত্রী সবাই স্বর্গে জন্মান।” – হাদিস, সহীহ মুসলিম
“যে কেউ এক মুসলিম ভাইয়ের নিজস্ব মুসলিম ভাইয়ের সাথে মিলিয়ে খোলামেলি করবে, তা আল্লাহ তার সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করবেন।” – হাদিস, সহীহ বুখারী
“তোমরা একে অপরের ওপর অপমান করবেন না, একে অপরকে অশ্বর্থী বা নথরী বা কোনো বিপদ্বূত ব্যক্তির মতো আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করতে হবে।” – কোরআন 49:11
“যে ব্যক্তি এক ভাইকে অপমান করবে কিংবা তার ওপর হিংস্রতা চালাবে, তার আল্লাহ তার হৃদয় থেকে আত্মীয় সৌখ্য মুছে ফেলে দেবেন।” – হাদিস, সহীহ বুখারী
“এক মুসলিম আর এক মুসলিমের কাছে অপরের ক্ষমা চাওয়া কৃতজ্ঞতার প্রদর্শন।” – হাদিস, সহীহ তিরমিযী
“আপনি অপরের উপকার বা শুভেচ্ছা একজন মুসলিমের কাছে শুভেচ্ছা প্রদান করার মতো হয়ে থাকুন।” – হাদিস, সহীহ বুখারী
“অন্যের মধ্যে ভালোবাসা, অনুগ্রহ ও মহব্বত ছাড়াই সহায়ক হওয়া স্বার্থবিহীন হৃদয় সাফ করতে সাহায্য করবে।” – হাদিস, সহীহ মুসলিম
\”মৃত্যুর সন্ধানে থাকা মৃত্যুর দক্ষতা, বৃদ্ধি বা অন্য ভাইয়ের স্বর্গে জন্ম গ্রহণের দক্ষতা অন্য যে কোনও কাজের সাথে অপমান করা
অপমান নিয়ে কিছু কথা
অপমান একটি মানসিক অভিশাপ। এটি অন্যের মৌলিক মানবিক অধিকার এবং মানসিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি আঘাত। এটি অবিলম্বে অপ্রিয় অনুভব এবং ব্যক্তিগত উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যে অসুবিধা তৈরি করতে পারে।
অপমানের কারণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, যেমন সমাজের স্থান, বয়স, ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় ইত্যাদি। এটি একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমূল্যের ক্ষতি করতে পারে।
অপমান এবং হিংস্রতা মুক্ত সমাজের জন্য আমরা যেভাবে কাজ করতে পারি:
সম্প্রদায় ও সামাজিক সম্পর্কে সহানুভূতি এবং সম্মানের ভাষা ব্যবহার করা। অন্যের ভাষার মধ্যে ব্যক্তিগত হওয়া উচিত নয়।
দূষিত করতে বা আপমান করতে পরিত্যাগ করুন। যদি কাউকে নিজের কাছে অপমান বা আঘাত করা হয়ে যায়, তাহলে তার সাথে প্রভাবিত করতে অনুমতি চিন্তা করুন।
পরার্থে আপনার মৌলিক মানবিক অধিকার এবং সম্মান সংরক্ষণ করুন। স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বরূপে থাকুন এবং আপনার মৌলিক অধিকার প্রমাণ করুন।
সমাজে সহানুভূতি এবং বুদ্ধিমত্তা প্রসারিত করার প্রতি কাজ করুন। কাউকে প্রশান্ত করতে এবং সামাজিক স্থানান্তর সৃষ্টি করতে প্রচেষ্টা করুন।
একে অপরকে উৎসাহিত করার প্রতি কাজ করুন। সম্মান, প্রেম এবং শুভেচ্ছা প্রদান করতে বিশেষ লাভজনক।
অপমান এবং হিংস্রতা পরিত্যাগ করে একটি শান্ত এবং সমাজে সহানুভূতি পূর্ণ ভাবে আমরা সার্বিক ভাবে বেহেশ্তে প্রস্থান করতে পারি।