অর্ধাঙ্গিনী মানে কি

অর্ধাঙ্গিনী মানে কি , স্ত্রী বা বউয়ের কত প্রতিশব্দ -কলত্র, দার, ভার্যা, পত্নী, বনিতা, সহধর্মিণী ও অর্ধাঙ্গিনী । অন্য প্রতি শব্দগুলো নিয়ে আপত্তি না থাকলেও স্ত্রীর প্রতিশব্দ অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে কিছু আপত্তি আছে।

প্রতিশব্দটি কে দিলেন, কেন দিলেন তা আজ্ও জানলাম না, বুঝলাম না।যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে

অর্ধাঙ্গিনী মানে কি

 

যে , যে কারণেই স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী বলে থাকুন না কেন তিনি হয় শব্দটি ভুল বা মিথ্যা বলেছেন অথবা তার গণিতে কোন জ্ঞান ছিলনা এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

তিনি যদি স্ত্রীকে কমপক্ষে পৌনেএকাঙ্গিনী বলতেন তবে মনে না নিলেও মেনে নিতাম। কিন্তু অর্ধাঙ্গিনী বলায় যে গাণিতিক ভুল হয়েছে একজন গণিত প্রেমিক হিসাবে তা মেনে নিতে পারিনা।



সৃষ্টির প্রারম্ভে প্রজাপতি ব্রহ্মা দেখিয়াছিলেন যে, সমস্ত জীবেরা অনাসক্ত। তাই প্রজাবৃদ্ধির জন্য তিনি পুরুষের দেহের অর্ধাঙ্গ দিয়া স্ত্রী সৃষ্টি করিয়াছিলেন। সেই স্ত্রীদের দ্বারাই পুরুষের চিত্ত অপহৃত হয়।

এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে, ব্রহ্মা স্ত্রীলোকের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য পুরুষের দেহের অর্ধাংশ দিয়ে স্ত্রীলোক সৃষ্টি করলেন, তাই বৈদিক শাস্ত্রে স্ত্রীকে বলা হয় অর্ধাঙ্গিনী বা সহধর্মীনি।


যদি বা বিয়ের পর পর কোন স্ত্রী অর্ধাঙ্গিনী থাকেনও কিন্তু ২-৪ বছর পার হতে না হতে তিনি পৌনেএকাঙ্গিনী বা চারপঞ্চাঙ্গিনী হয়ে যান। যারা এখন্ও খালাতো ভাই এর কি ৪০ আর ভাবীর কি’ই বা ১২০ বা কিসের পৌনেএকাঙ্গিনী অথবা পঞ্চচারাঙ্গিনী বুঝতে পারেননি তারা নিচের ছবি গুলি দেখুন সব পরিষ্কর হয়ে যাবে-



অর্ধাঙ্গিনী শব্দের বাংলা অর্থ অর্ধাঙ্গিনী [ ardhāńginī ] বি. (স্ত্রী.) স্ত্রী।;



নিজের দেহের প্রতি প্রতিটি জীবের আকর্ষণ আছে সেই অংশ দ্বারা যখন অন্য বস্তু তৈরী করা হয় তখন সেই অংশের প্রতি আকর্ষণ স্বাভাবিকভাবে থাকবে। আধুনিক বিজ্ঞানের জেনেটিক তত্ত্ব আবিষ্কার এই বিষয়টিকে সমর্থন করে।

ছেলের প্রতি মায়ের আকর্ষণ এবং মায়ের প্রতি ছেলের আকর্ষণের কারণ মায়ের জেনেটিক অংশ ছেলের মধ্যে আছে। ঠিক এই নিয়মে যখন ছেলের অর্ধাংশ দিয়ে মেয়ে তৈরী হয় তখন মেয়ের মধ্যে ছেলের জিনের অংশের অর্ধেক থাকে সেজন্য উভয়ের প্রতি উভয়ের আকর্ষণ থাকে।

ছেলে মেয়ের প্রতি যদি আকর্ষণ না থাকত তাহলে সঙ্গম সম্ভব হত না ফলে সন্তান তৈরী হত না এবং প্রজাবৃদ্ধি পেত না। সেজন্য ব্রহ্মা সৃষ্টির আদিতে ছেলের অর্ধাংশ দিয়ে মেয়ে তৈরী করলেন যাতে সৃষ্টি কার্যক্রম সঠিকভাবে চলতে থাকে। ছেলে মেয়ের প্রতি আকর্ষণ প্রতিটি প্রজাতিকে এই মহাবিশ্বে টিকে থাকতে সাহায্য করছে।

ব্রহ্মা যখন ছেলের অর্ধাংশ দ্বারা মেয়ে সৃষ্টির পরিকল্পনা করলেন তখন তার শরীর হতে দুটি মূর্তি প্রকাশিত হল একটি ছেলে এবং আরেকটি মেয়ে যা ছেলের অর্ধাংশ।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)