আবেগ নিয়ে উক্তি,ইসলামিক বাণী ও বিখ্যাত কিছু কথা

আবেগ নিয়ে উক্তি ()
আবেগ নিয়ে উক্তি ()

“আবেগ মানুষের ভালো ও খারাপ উভয়ই প্রভাবিত করতে পারে।আবেগ নিয়ে উক্তি, সম্পূর্ণ বিনা আবেগের মানুষ জীবনে অনেক কিছু অনেক মিস করতে পারে। আবেগ ব্যক্তিগত সম্পর্কে ও পেশাদার জীবনে ক্রিয়াশীলতা এনে দিতে পারে, কিন্তু যখন তা নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন তা অপরিবর্তনীয় ক্ষতির সৃষ্টি করতে পারে।

আবেগ একটি ভালো পরিবার সম্পর্কে বা কাজের পরিবেশে স্থায়ি মিষ্টি তৈরি করতে পারে, কিন্তু এটি একটি মিথ্যা অথবা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যক্তিগত সমস্যার সূত্র হতে পারে। আমরা সময়ের সাথে পরিবর্তন করে থাকি, তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবেগে পড়তে নেবার প্রয়োজন থাকতে পারে।

আবেগের সাথে সঠিক ভাবে মোলামোলি করা ও নিয়ন্ত্রণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি আমাদের সাধারণ জীবনে সঠিক সাথে অনুপ্রাণিত হয়ে সমৃদ্ধ ও উন্নতভাবে সেবা করতে সাহায্য করে।”

 

আবেগ নিয়ে ১০ টি উক্তি

বিনা আবেগের জীবন অনেক কিছু অপেক্ষা করার মানুষের জীবন দুর্দশায় পড়তে পারে।

আবেগের প্রভাবে মানুষ মিষ্টি মধুর কথা বলতে পারে এবং সৃষ্টি করতে পারে সুন্দর মুহূর্ত।

কিছু সময় আবেগের কারণে ভুল করে গুস্তি বহন করা সম্ভব হতে পারে।

আবেগের প্রভাবে মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে পারে না এবং ভুল নির্ধারণ করতে পারে।

সময়ের সাথে ব্যক্তির আবেগের প্রকৃতি পরিবর্তন হতে পারে।

আবেগের প্রভাবে ব্যক্তির নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি পাতে পারে এবং তার সাথে সম্পর্কের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।

আবেগের প্রভাবে ব্যক্তি বিভিন্ন প্রকারের নেতৃত্ব প্রদর্শন করতে পারে, যা সামাজিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

অতিরিক্ত আবেগ ব্যক্তিদের প্রতি উদাসীনতা উত্পাদন করতে পারে এবং তাদের মধ্যে আলোচনা এবং বিরোধের কারণ হতে পারে।

আবেগ কর্তৃক সৃষ্টি করা হানিকারক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, যা পরবর্তীতে অনুরোধ করতে পারে এবং বন্ধ করতে পারে ব্যক্তির জীবনের উন্নতি এবং বিকাশ।

আবেগ ব্যক্তির নিজের মত বণ্টন এবং নতুন আবেগের প্রকার সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্যক্তির ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে প্রভাবিত করতে পারে।

আবেগ ব্যক্তির চিন্তা, সম্পর্ক, এবং নিজের স্বাস্থ্যের সাথে প্রভাবিত করতে পারে, যা ব্যক্তির সাধারণ সুখ-দুঃখের স্তর প্রভাবিত করতে পারে।

আবেগ সঠিক সাথে নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি ব্যক্তির জীবনে সঠিক প্রভাব বা অপ্রভাব সৃষ্টি করে না।

আবেগ নিয়ে উক্তি
আবেগ নিয়ে উক্তি

আবেগ নিয়ে ইসলামিক উক্তি

ইসলামিক উক্তি মূলত কোরআন ও হাদিসে প্রকাশিত বিধান ও সলিল কথামালা থেকে উদ্ধৃতি করা হয়ে থাকে। আবেগ নিয়ে ইসলামিক উক্তির মধ্যে কিছু উদ্ধৃতি এইভাবে:

কুরআন সূরা আল-ইমরান, আয়াত 134:
“যারা ক্ষুধার্ত, যারা ক্ষুধার্তা এবং প্রত্যাশামূলক ক্ষুধা নয়ে, এবং মানুষের লোভে প্রদর্শন করে না। আবেগ করার পুরোজনায় নয়।”

কুরআন সূরা আল-মা’ইদাহ, আয়াত 2:
“হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহের দিকে আদায় পালন করো এবং তা প্রদর্শন করো যে, আবেগ করে শোক করার অথবা ক্ষমতা দেওয়ার অথবা মানুষের জন্য অপরাধের কারণ হওয়ার কোন সুযোগ দেওয়ার প্রত্যাশা করা উচিত নয়।”

কুরআন সূরা আল-হাশ্র, আয়াত 10:
“আপনাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে আপনাদের নিজের স্বার্থ জ্ঞান অথবা আবেগ করার জন্য উপদেশ প্রদান করার জন্য নয়।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম, বুখারী ও তিরমিযী থেকে:
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন: আল্লাহর রসূল (সা.) বলেছেন, “বিশেষভাবে যে লোকরা ক্রোধ সামলাতে পারে এবং তার ক্ষমতা বিজয়ী করতে পারে, তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ক্ষুধা মনে হয় না।”

 

আবেগ নিয়ে উক্তি ১০ টি ইসলামিক 

আবেগ নিয়ে ইসলামিক উক্তির মধ্যে ১০টি নিম্নলিখিত:

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“মুসলিম মানুষকে অল্প ক্রোধ করার সময় দোয়া করা উচিত, কারণ এটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নাহ।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“যে ব্যক্তি ক্রোধ করতে প্রয়াস করে তা শয়তানের কাজ হয়ে যায়।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“যে ব্যক্তি তার ক্রোধ আমার প্রতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আমি তার জন্য জান্নাত প্রস্তুত করেছি।”

হাদিস, সহিহ বুখারী:
“একজন মুসলিম অন্যকে  প্রশংসা করার জন্য দোয়া করলে, আল্লাহ তার উভয়ের মধ্যে ভালো একটি আবেগ তৈরি করেন।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবন্ধক আছে, যা মুসলিমের দুধ দাওয়া থেকে রোকে দেয়, এবং আবেগ এর প্রভাবে তিনি বছরের তিন মাস নিষ্কর্ষ করেন: রমজান, জামাদিউস্-সানী এবং জামাদিউল-আউয়াল।”

হাদিস, সহিহ বুখারী:
“ক্রোধ সামলানোর সময় বাক্যপ্রয়োগ করা উচিত, এটি সুন্নাত।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“ক্রোধ সামলানোর সময় জুনু অথবা পানি স্ত্রীকে আঘাত করার উপায় হতে পারে।”

হাদিস, সহিহ বুখারী:
“ক্রোধ সামলানোর সময় কাঁচ ভেঙে ফেলা উচিত, কারণ এটি শয়তানের আবেগ উদ্দীপ্ত করতে পারে।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“আমরাই সেবক যিনি আবেগ ধারণ করলে সুন্নতের প্রকারে আচরণ করে।”

হাদিস, সহিহ মুসলিম:
“ক্রোধ প্রদর্শন করার সময় আল্লাহর নাম ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি শয়তানের কাজ।”

 

 

আবেগ নিয়ে কিছু কথা

আবেগ হলো মানুষের ভাবনাময় প্রতিক্রিয়া বা উত্তেজনা, যা বিভিন্ন কারণে উত্থিত হয়ে উঠতে পারে। এটি মানুষের মনোভাব আচরণের বেশি অংশ গ্রহণে প্রভাবিত করতে পারে। আবেগ ভাষার ভাষ্যিক অর্থে একটি জোর বা শক্তির প্রকাশ।

আবেগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি:

১. প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: আবেগ মানুষের প্রাকৃতিক একটি বৈশিষ্ট্য, যা মানব সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে মনোবিজ্ঞানের আসর পায়। এটি আমাদের স্বাভাবিক মানসিক প্রক্রিয়া বা সংবেদনশীলতার একটি অংশ।

২. ইমোশনাল প্রভাব: আবেগ মানুষের ইমোশনাল স্থিতি উপস্থাপন করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ভালো বা খারাপ অনুভবের একটি সৃষ্টিকর্তা হতে পারে।

৩. প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া: আবেগ ব্যক্তিদের আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া করতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রভাবিত ব্যক্তির ইচ্ছামতো বিচার এবং কাজে প্রকাশ করতে পারে।

৪. পেশাদার জীবনে প্রভাব: আবেগ ব্যক্তির পেশাদার জীবনে প্রভাব বিস্তৃত করতে পারে, যেমন পেশাদার সম্পর্কে সামর্থ্য উন্নত করতে পারে, নেতৃত্ব প্রদর্শন করতে পারে, কর্মসংস্থানে প্রভাবিত করতে পারে এবং কর্মচারী বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ হতে পারে।

এটি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যক্তিগণ তাদের আবেগগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হওয়া শেখা প্রয়োজন। আবেগের সঠিক ব্যবস্থাপনা মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সম্পর্কে কাজে লেগে আরও উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।