আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা
আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি, আয়ান নামের আরবি অর্থ কি, এ বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবAyan / Ayaan name meaning in Bengle আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

আয়ান নামের অর্থ কি

আয়ান নামের অর্থ হল সুন্দর, সময় ,যুগ ,কাল, বয়স

আয়ান নাম কি ছেলেদের না মেয়েদের

আয়ন নাম হচ্ছে ছেলেদের যা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে একটি বড় নেয়ামত এই নাম আপনার সন্তানকে আপনি রাখতে পারেন

আইয়ান নাম কি ইসলামিক নাম

আয়ান নামটি ইসলামিক নাম এই নাম সম্পর্কে বিভিন্ন উলামায়ে কেরামরা অনেক সুন্দর মতবাদ দিয়েছেন কারণ এই নামটি সময়োপযোগী ইসলামিক নাম

আয়ান নাম দিয়ে  কিছু নাম  : 

রাফসান  ইসলাম আয়ান

আয়ান  খান

আয়ান  চৌধুরী

আয়ান রহমান

আয়ান  সরকার

আয়ান   চৌধুরী

আয়ান  মালিক

আয়ান  মাসাবীহ

মোস্তফা  আয়ান

আয়ান  ইসলাম

মোহাম্মদ  আয়ান

আয়ান  মুনতাসির

আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা
আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

 

সন্তান আল্লাহর নিয়ামত কাহিনী

আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে সন্তান-সন্তুতির মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। পারিবারিক জীবনে সন্তান-সন্ততি কতবড় নিয়ামত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন । যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে যদি সন্তানকে আদর্শবান রূপে গড়ে না তুলতে পারেন।

কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে , তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , প্রতিটি নবজাতক তার স্বভাব জাত দ্বীন ইসলামের ওপর জন্ম গ্রহণ করে । অতঃ পর তার মা – বাবা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক হিসেবে গড়ে তোলে [ সহীহ বুখারী: ১৩৫৮ ] ।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থা দিন দিন যেভাবে অপসংস্কৃতি, অনৈতিকতা এবং চরিত্র বিধ্বংসী কাজের দিকে ধাবিত হচ্ছে, সেখানে আমাদের সন্তানের উপর যেসব দায়িত্ব আছে তা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশিত পন্থায় সন্তানকে লালন-পালন করা ঈমানের অন্যতম দাবী । আমাদের উপর সন্তানদের যে হকগুলো রয়েছে তা এখানে আলোচনা করা হলো :

কানে আযান দেয়া : সন্তান দুনিয়াতে আসার পর গোসল দিয়ে পরিষ্কার করে তার ডান কানে আযান দেয়া, তা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। এটি পিতা-মাতার উপর এজন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বযে, শিশুর কানে সর্বপ্রথম আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের আওয়াজ পৌঁছে দেয়া এবং ওত পেতে থাকা শয়তান যাতে তার কোন ক্ষতি না করতে পারে। হাদিসে এসেছে,

আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা
আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

আবূ রাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাসান ইবনে আলীর কানে আযান দিতে দেখেছি [সুনান আবূ দাউদ:৫১০৫]

সুন্দর নাম রাখা : বাচ্চার জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা পিতা-মাতার অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। নাম অর্থবহ হওয়া নামের সৌন্দর্য। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক অসুন্দর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। [আবু দাউদ ৪৯৫২-৪৯৬১]

আক্বিকা করা : ইসলামী সংস্কৃতির অন্যতম বিষয় হলো সন্তানের আকীকা করা। ছেলের পক্ষ থেকে ২টি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি ছাগল আল্লাহর নামে যবেহ করা। হাদীসে এসেছে,

সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সকল নবজাতক তার আক্বিকার সাথে আবদ্ধ। জন্মের সপ্তম দিন তার পক্ষ থেকে জবেহ করা হবে। ঐ দিন তার নাম রাখা হবে। আর তার মাথার চুল কামানো হবে। [সুনান আবূ দাউদ: ২৮৩৮]

সদকাহ করা : ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সপ্তম দিবসে চুল কাটা এবং চুল পরিমাণ রৌপ্য সদকাহ করা সুন্নাত। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান রা. এর পক্ষ থেকে ১ টি বকরী আকীকা দিয়েছেন এবং বলেছেন , হে ফাতেমা ! তার মাথা মুণ্ডন কর এবং চুল পরিমাণ রৌপ্য সদকাহ কর । [ সুনান আত – তিরমিযী: ১৫১৯ ] এছাড়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিশু দেরকে খেজুর দিয়ে তাহনীক এবং বরকতের জন্য দো‘ আ করতেন । [ সহীহ বুখারী: ৩৯০৯ ; মুসলিম: ২১৪৬ ]

আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা
আয়ান নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আয়ান নামের অর্থ কি বাংলা

খাতনা করা : ছেলেদের খাতনা করানো একটি অন্যতম সুন্নাত। হাদীসে এসেছে,

জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমার সপ্তম দিবসে আকীকা এবং খাতনা করিয়েছেন। [আল-মু‘জামুল আওসাত: ৬৭০৮]

দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া : সন্তানকে দীনি ইলম শিক্ষা দেয়া ফরজ করা হয়েছে। কারণ দ্বীনি ইলম না জানা থাকলে সে বিভ্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে। হাদীসে এসেছে-

সাহাবির নাম আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিমের উপর জ্ঞানার্জন করা ফরয। [সুনান ইবন মাজাহ: ২২৪]

প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করা : সন্তানদেরকে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত লালন-পালন করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ করতে হবে।