আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি
আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

আরাফ নামের অর্থ কি,আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি ,আরাফ কি ইসলামিক নাম, আরাফ নামের ইসলামিক ও আরবি অর্থ জানুন

আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি
উচ্চতা শীর্ষ এটাই আক্ষরিক অর্থ এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া যায় আরাফ নামের অর্থ হল শিখর

আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ হল উচ্চতা শীর্ষ এই নামটা অনেক গুণাবলী সম্পন্ন আমাদের সমাজে এই নাম কে বিচরণ করে সুন্দর সমাজে অনেক বড় হওয়া যায়

সন্তানের জন্য আরেক নাম দিয়ে অনেকগুলো নাম বা তালিকা দেওয়া হল

রাফসান আহমেদ আরাফ
সাইফুল ইসলাম আরাফ
আহনাব আহমেদ আরাফ
শামীম উদ্দিন আরাফ
আরাফ তালুকদার
আরাফ হাসান

আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি
আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

আরাফ কি ইসলামিক নাম ? নামটি রাখা যাবে কি ? আরাফ  ( أَعْرَاف )  নাম টি একমাত্র আরবি শব্দ ।  এর উচ্চারণ শ্রুতি মধুর , অর্থ ও যথেষ্ট ভালো ও স্বাভাবিক ।

আরাফ নামে একটি সূরা আছে

এই নামটি পবিত্র কোরানে পরোক্ষ ভাবে উল্লেখ আছে । মহান পবিত্র কোরানের সূরা আল আরাফ নামে একটি সূরা আছে ।  যার অর্থ উঁচু স্থান ।

আরাফ কি ইসলামিক নাম ?

তাই আরাফ নামটি মুসলিম সন্তানের জন্য রাখতে পারবেন । অর্থাৎ আরাফ নামটি একটি ইসলামিক নাম ।

আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি
আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

হাদীসে এসেছে, ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষের বেশ ধারণকারী নারী ও নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন। [সহীহ বুখারী:৫৮৮৫]

দো‘আ করা : আমাদের সন্তানদের জন্য দো‘আ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দো‘আ শিক্ষা দিয়েছেন এভাবে, আল্লাহর নেক বান্দা তারাই যারা বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। [সূরা আলফুরকান-৭৪]

যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম আল্লাহর নিকট দো‘আ করেছিলেন, ‘হে আমার রব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’। [সূরা আলে ইমরান ৩৮ ]

আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সন্তানদেরকে কবুল করুন, তাদের হকসমূহ যথাযথভাবে পালন করার তাওফীক দিন। আমীন!  সক্ষম করে তোলা : সন্তানদেরকে এমনভাবে সক্ষম করে গড়ে তোলা,তারা যেন উপার্জন করার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। নাম সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এভাবে বলেছেন, তোমাদের সন্তান সন্ততিদেরকে সক্ষম ও সাবলম্বি রেখে যাওয়া, তাদেরকে অভাবী ও মানুষের কাছে হাত পাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম। [সহীহ বুখারী:১২৯৫]

 বিবাহ দেয়া : সুন্নাহ পদ্ধতিতে বিবাহ দেয়া এবং বিবাহর যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা এবং উপযুক্ত সময়ে বিবাহর ব্যবস্থা করা। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, নিশ্চয়ই পিতার উপর সন্তানের হকের মধ্যে রয়েছে, সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাকে বিবাহ দেবে।

[জামিউল কাবীর]  দ্বীনের পথে পরিচালিত করা : পিতা-মাতার অন্যতম দায়িত্ব হলো সন্তানদেরকে দ্বীনের পথে, কুরআন-সুন্নাহর পথে পরিচালনা করা, দ্বীনের বিধান পালনের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত করে তোলা। কুরআনে এসেছে, ‘ বল, ‘এটা আমার পথ। আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও। আর আল্লাহ পবিত্র মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নই’। [সূরা ইউসুফ : ১০৮]

সন্তানকে দ্বীনের পথে পরিচালনার মাধ্যমে সওয়াব অর্জন করার এক বিরাট সুযোগ রয়েছে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, তোমার মাধ্যমে একজনও যদি হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়, তবে তা হবে তোমার জন্য লালবর্ণের অতি মূল্যবান উট থেকেও উত্তম। [সহীহ বুখারী]

আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি
আরাফ নামের অর্থ কি , আরাফ নামের ইসলামিক অর্থ কি

সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করা : সন্তানগণ পিতামাতার কাছ থেকে ইনসাফ আশা করে এবং তাদের মাঝে ইনসাফ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমাদের সন্তাদের মাঝে ইনসাফ করো’। [সহীহ বুখারী: ২৫৮৭]

ইসলাম অনুমোদন করে না এমন কাজ থেকে বিরত রাখা : ইসলাম অনুমোদন করে না এমন কাজ থেকে তাদেরকে বিরত না রাখলে এই সন্তানগনই কিয়ামাতে পিতামাতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। কুরআনে এসেছে, হে ইমানদারগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। [সূরা আত-তাহরীম-৬]

আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জ্বিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়। [সূরা হা-মীম আসসিজদাহ-২৯ ]

পাপ কাজ, অশ্লিলতা , বেহায়া পনা , অপ সংস্কৃতি থেকে বিরত রাখা : সন্তান দুনিয়ার আসার সাথে সাথে শয়তান তার পেছনে লেগে যায় এবং বিভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন রুপে ,পোশাক – পরিচ্ছেদের মাধ্যমে , বিভিন্ন ফ্যাশনে , বিভিন্ন শিক্ষার নামে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করে । তাই পিতা-মাতাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে ।