ইসলামের মূল ভিত্তি কয়টি ,ইসলামের মূল ভিত্তি ৫টি, যথা- ১.কালিমা, ২.নামায ৩.রোযা, ৪. হজ ও ৫. যাকাত. যখন ইসলামের উপর আঘাত আসে,তখন তা রুখে দিতে যুদ্ধ করা হল জিহাদ যা ইসলাম সমর্থন করে।
ইসলামের মূল ভিত্তি কয়টি
কিন্তু ইসলামের নামে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা,হোক সে বিধর্মী, কিন্তু তা কখনো ইসলাম সমর্থন করেনা। সন্ত্রাস, ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা,কিছু অবুঝ লোকের অনাকাঙ্ক্ষিত পথের দিশারী হয়েই এমন অনৈইসলামিক কাজ হচ্ছে,ইসলামের নামে।
একজন মুসলমানের জীবনে এ পাঁচটি বিষয়ের প্রভাব ও গুরুত্ব অপরিসীম। অতীত যুগে পাঁচটি খুঁটির মাধ্যমে তাঁবুর মতো ঘর নির্মাণ করা হতো। যা আজও হজ মৌসুমে পরিলক্ষিত হয়। রসুলুল্লাহ (সা.) ইসলাম ধর্মকে ঘরের সদৃশ দিয়েছেন।
বস্তুত ঘরে আশ্রয় গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ ঝড়-তুফান, রোদ-বৃষ্টি ইত্যাদি থেকে নিরাপদ থাকে। যারা ইসলামের শান্তি শীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করবে তারা শিরক, বিদাত, কুসংস্কার ইত্যাদি গর্হিত অপরাধ থেকে মুক্ত থাকবে।
এ ভিত্তিগুলো যাদের মধ্যে প্রতিফলন ঘটবে তাদের জীবন সুশৃঙ্খল হবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হবে। নিরাপদ থাকবে তারা আল্লাহর গজব ও কঠিন শাস্তি থেকে।
পাঁচটি রোকন বা স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। ঈমান তার মধ্যে একটি। অন্য চারটি হচ্ছে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। এ পাঁচটি রোকনের মধ্যে ঈমানের গুরুত্ব সর্বাধিক। বলা যেতে পারে, ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে ঈমান। ঈমান না থাকলে ধর্মের কিছুই থাকে না।
ঈমান না থাকলে অন্য রোকনগুলো গুরুত্বহীন, এমনকি অসম্পূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত এগুলো কিছুটা বাহ্যিক অর্থাৎ দৃশ্যমান। এর অর্থ এগুলো পালন করলে তা দেখা যায়। কিন্তু ঈমান সম্পূর্ণ অন্তরের ব্যাপার; তাই এতে লৌকিকতার বিন্দুমাত্র স্পর্শ নেই, যা অন্যগুলোয় থাকতে পারে।‘ঈমান’ শব্দের অর্থ বিশ্বাস।
ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে
প্রাথমিক ও মূল বিশ্বাস স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ ও তাঁর নবীর (সা.) ওপর। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, মুহাম্মাদ(সা:) তাঁহার প্রেরিত রাসুল। এ দুইটি বাক্যে সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের প্রাথমিক শর্ত। এ ছাড়া আরও কতকগুলো বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইমান হলো সত্তরোর্ধ্ব অনুষঙ্গবিশিষ্ট। এর সর্বোচ্চ হলো আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই বলা এবং সর্বনিম্ন হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক দ্রব্য সরিয়ে নেওয়া। লজ্জা হলো ইমানের একটি অনুষঙ্গ।’ বুখারি, মুসলিম। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, ফেরেশতাগণ এবং জ্ঞানীগণও আল্লাহর ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ১৮।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)