ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি

ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি , ইসলাম শব্দটির আভিধানিক অর্থঃ মেনে নেওয়া, আত্মসমর্পণ করা, বিনম্র হওয়া। ইসলামের মৌলিক বিষয় বা মূল স্তম্ভ পাঁচটি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বর্ণনা করেছেন।

ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি

 

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিতঃ এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ বা সঠিক উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রামাদানের সাওম পালন করা, আল্লাহর ঘরের হজ্জ করা।” ( সহীহ বুখারী: ৮, সহীহ মুসলিম : ১৬)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘ঈমান হচ্ছে- আপনি বিশ্বাস স্থাপন করবেন আল্লাহ তায়ালার প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, আসমানি কিতাবগুলোর প্রতি, আল্লাহর নবী-রাসুলদের প্রতি, কেয়ামত দিবসের প্রতি এবং তকদিরের ভালো ও মন্দের প্রতি। এই হলো ঈমান।’ (বুখারি: ৫০)। ঈমানের এই ছয়টি বিষয়কে ইসলামের পরিভাষায় ‘ঈমানে মুফাসসাল’ অর্থাৎ ‘ঈমানের বিস্তারিত পরিচয়’ বলা হয়।




ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটি- ঈমান, নামাজ, জাকাত, রোজা ও হজ। এই পাঁচ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা এবং সে মোতাবেক আমল করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরজ দায়িত্ব।



ঈমান
ইসলামের প্রথম স্তম্ভ ঈমান। প্রতিটি মুসলমানের প্রথম দায়িত্ব ঈমান আনা। ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস। প্রতিটি মুসলমানকে বিশ্বাস করতে হয় আল্লাহ একমাত্র উপাস্য এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল।



ইসলামের মৌলিক বিষয় ৫ টি। বিষয়গুলো হলোঃ



০১. ইমান বা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস।

০২. নামাজ

০৩. জাকাত

০৪. রোজা বা সাওম

০৫. হজ্ব



আর ইমানের মৌলিক বিষয় ৭ টিঃ

 



০১. আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা

০২. ফেরেশতা নামে আল্লাহর এক সৃষ্টি আছে তা বিশ্বাস করা

০৩. আল্লাহর নাজিলকৃত আসমানী কিতাবসমুহকে বিশ্বাস করা



০৪. আল্লাহর রাসুলগণকে বিশ্বাস করা

০৫. কিয়ামতের দিবসকে বিশ্বাস করা

০৬. ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় তা বিশ্বাস করা

০৭. কিয়ামতের দিবসে পুনরায় জীবিত হওয়াকে বিশ্বাস করা



হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

 

‘জান্নাতের একটি দরজা আছে, একে রাইয়ান বলা হয়। এই দরজা দিয়ে কেয়ামতের দিন একমাত্র রোজা পালনকারীরাই জান্নাতে প্রবেশ করবেন। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহ্বান করা হবে- রোজা পালনকারীরা কোথায়?

তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এভাবে সব রোজা পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারপর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করেবে না।’ (বুখারি : ১৮৯৬; মুসলিম : ১১৫২)

(সূত্র:ইন্টারনেট)