ইসলামের ৫ম খলিফার নাম কি , মহানবী (সা) নিজে তাঁর কর্মময় জীবনে এর বহু দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন। ইবনে সা’দসহ অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ সাক্ষ্য দেন যে, রাসুলূল্লাহ (সা) সর্বদাই নিজের দলের অভাবী লোকদের প্রয়োজনকে নিজের প্রয়োজনের উপর প্রাধন্য দিয়েছেন।
যদি সাধারণ মানুষ অনাহারে থাকত তিনিও অনাহারে থাকতেন। তিনি অন্ন-বস্ত্র এবং বাস্থান কোন দিক দিয়েই সাধারন মানুষ হতে উচ্চস্তরে অবস্থান করতেন না।
ইসলামের ৫ম খলিফার নাম কি
সাধারণ লোকেরা যা খেত, সাধারণ মানুষ যা পরিধান করত তিনিও তাই খেতেন ও পরতেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সাধারন ভাবে জীবনযাপন করেছেন। তার ঘরের চার দেওয়াল ছিল মাটির, ছাদ ছিল খেজুর পত্র ও খড়ের, তাঁর ঘরে কোন খাট পালঙ্ক ছিল না।
তিন দিন পর্যন্ত তার ঘরে চুলা জ্বলত না। জীবনে তিনি কখনও পেট ভরে আহার করেনিনি। ইবনে সা’দ বর্ণনা করেছেন হযরত আয়েশা (রা) যিনি সবচেয়ে প্রিয়ধর্মিনী ছিলেন। তিনি কসম করে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) কখনও খেজুরন ও পানি অথবা রুটি ও পানি দিয়ে পেট ভরে আহার করেননি এবং তাঁর এ অভ্যাস মৃত্যু পর্যন্ত বহাল ছিল।
হযরত আবু বকর (রা.)
রাসুল (সা.) এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন ছিলেন হযরত আবু বকর (রা.)। তার জন্মসাল সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা যায় না। তবে অনুমান করে দেখা গেছে, তিনি রাসুল (সা.) এর জন্মের ২ বছর পর অর্থাৎ ৫৭২ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। এ মহান খলিফা ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩ আগস্ট ইন্তেকাল করেন।
ইসলামের ১২ জন বিশেষ খলিফা।
মোহণ উসায়াৎ শাণ তদবীরি আল্লাহর নামে শুরু করলাম।
হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেন- আমিই শেষ নবি।আমার পর খলিফাগণ হবেন।তারা বহুজন হবেন। আবু হুরায়রা রাঃ বলিলেন, তখন আমাদের কর্তব্য কি? রাসূল সাঃ বলিলেন- তাঁহাদের হক আদায় দিবে অর্থাৎ একজনের পর একজনের কাছে বায়াত হবে। (মিসকাত শরীফ-৩৫০৬ নং হাদিস,৫১৯পৃ.)
হযরত ওমর (রা.)
সাহাবিদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার নবী হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা ছিলো। কিন্তু রাসুল (সা.) আখেরি নবী তথা শেষ পয়গম্বর- এটা আল্লাহর কাছে আগেই লিখিত হয়ে গেছে। ইতিহাসবিদদের ধারণা, রাসুল (সা.) এর জন্মের ১২ বছর পর অর্থাৎ ৫৮২ খ্রিস্টাব্দে হয়রত ওমর (রা.) জন্মগ্রহণ করেন।
হযরত উসমান (রা.)
রাসুল (সা.) এর দুই কন্যাকে বিয়ে করার কারণে ইসলামের ইতিহাসে তিনি জিননুরাইন বা দুই নুরের অধিকারী হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিতি। পবিত্র কোরআন সংকলনেও উসমান (রা.) এর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে জুন মাসের ১৭ তারিখে কোরআন পাঠরত অবস্থায় দুর্বৃত্তদের হাতে শহিদ হন।
হজরত রাসূল সাঃ বলেন- ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হইবে না,যতক্ষণ পর্যন্ত ১২ জন খলিফা না হয়।প্রত্যেক কুরাইশ হতে হবে।(মিসকাত শরীফ-৫৫০পৃ, যেন একই-৩২৯পৃ. তারিখুল খোলাফা,প্রথম পরিচ্ছেদে ১৩ ও ১৪ পৃ.)
এখন প্রশ্ন হলো এক হাদিসে বহুজন অপর হাদিসে ১২ জন খলিফার কথা বলা হলো,এ থেকে বুঝা যায় ১২ জন হলো বিশেষ খলিফা।আর এ ১২ জন খলিফা আঃ গণের মধ্যে ফাঁক বা ব্যবধান থাকবে। এই ১২ জন খলিফা নবুয়তী নয়। যেমন রাসূলগণ আঃ এর মধ্যে ব্যবধান ছিলো।বিস্তারিত যেন একই ৩৩১পৃ. দেখিয়া লইবেন।
হজরত আলী (রা.)
ঐতিহাসিকদের অনুমান, ৬০০ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.) জন্মগ্রহণ করেন। উসমান (রা.) এর শাহাদাতের পর আলী (রা.) খলিফার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। ৬৬১ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি তিনি এক মুনাফিকের অতর্কিত হামলায় শাহাদাতবরণ করেন।
ওমর ইবনে আবুল আজিজ (রা.)
ইসলামের পঞ্চম খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ হলেন দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের নাতি। তিনি ৬৮২ খ্রিস্টাব্দের ২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ৭২০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)