ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কয়টি ,ইসলামের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম ও আইনের ভিত্তি কুরআন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং ইসলাম ধর্মমতে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে কুরআনের যৎসামান্য অংশ হলেও আত্নস্থ করতে হয় এবং প্রত্যহ অবশ্যপালনার্হ পঞ্চোপাসনায় তাকে কুরআন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু অংশ আবৃত্তি করতে হয়। তাই, ইসলাম শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুরআন শিক্ষা করা।
ইসলাম শিক্ষার মূল উৎস কয়টি
সম্প্রদায়ের স্কলাররা সুন্নাহ, ভাল করে বলতে গেলে, হাদিস এর সমর্থক ছিল না। এমনকি অনেকে হাদিসকে সুন্নাহের পরিপন্থী মনে করত। অন্যদিকে যাহিরিরা কুরআন এবং হাদিস সমর্থন করলেও ইজমা এবং কিয়াস সমর্থন করত না। সব ইজমাকে যাহিরিরা সমর্থন করত না। হানবালিরা কিয়াস সমর্থন করত না।
এই মেইনস্ট্রীম শরিয়া অনেক পরে, ইমাম শাফ্ঈ এর পর থেকে শুরু হয়েছে। অনেক মুসলিমরাই তা মানে না। মানলেও তাদের নিজস্ব মতবার আছে।
মূল উৎস প্রধানত ২ টি
১। কুরআন
২। হাদিস
এরপরে ইজমা ও কিয়াস কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
যদি কুরআন এবং হাদিসের কোন ব্যাখ্যা বুঝতে পারা না যায় তাহলে ইজমার মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। ইজমা হলো ইসলামিক জ্ঞান সম্পন্ন আলেম । যাদের ইসলাম সম্পর্কে প্রোপার জ্ঞান আছে তারা ঐকমতের ভিত্তিতে এটা করবে।
আর কিয়াস হলো যদি কোন সমস্যা কুরআন হাদিস ও ইজমার মাদ্ধমেও সমাধান না হয় তবে তা নিজের জ্ঞান বুদ্ধি, বিবেক দিয়ে ঠিক করতে হবে।
ইজমা কিয়াস অবশ্যই কুরআন ও হাদিসের উপরে ভিত্তি করে হতে হবে। নিজের মনগড়া কোন ব্যাখ্যা এর অন্তর্গত নয়। আবার ইজমা কিয়াসের কোন ব্যাখ্যা কুরআন ও হাদিসের বিরুদ্ধে গেলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আমাদের প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি ওহির প্রথম নির্দেশ ছিল, ‘পড়ো, তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন “আলাক” থেকে। পড়ো, তোমার রব মহা সম্মানিত, যিনি শিক্ষাদান করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। শিখিয়েছেন মানুষকে, যা তারা জানত না।’ (সুরা-৯৬ আলাক, আয়াত: ১-৫)।
ইসলামি শিক্ষায় অধ্যয়ন ও অধ্যাপনার মূল পাঠ্যগ্রন্থ আল–কোরআন। ‘দয়াময় রহমান (আল্লাহ)! কোরআন শেখাবেন বলে মানব সৃষ্টি করলেন; তাকে বর্ণনা শেখালেন।’ (সুরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)