উপদেশ মূলক কথা। কুরআন হাদিসের আলোকে

এই পৃথিবীতে আমরা সবাই কাজের ফাঁকে হতাশ হয়ে যায় এজন্য আমাদের প্রয়োজন উপদেশ মূলক কথা আজ আমরা কোরআন হাদিসের আলোকে উপদেশমূলক কথা গুলো আলোচনা করব

পৃথিবীতে আমরা যেদিন থেকে জন্ম গ্রহণ করছি দেখে আমাদের কাজের পরিধি বেড়ে গেছে আর এ কাজ করার মধ্য দিয়েই আমাদের হতাশা চলে আসে কারণ আমরা জানি না আমাদের ভবিষ্যতে কি আছে যার জন্য আমাদের প্রয়োজন উপদেশ মূলক কথা যে উপদেশ মূলক কথা গুলো আমাদের জীবনের জন্য সবথেকে ভালো বয়ে নিয়ে আসে যে আলোর মধ্য দিয়েই আমরা যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের ভিতরে আর কোনো হতাশা আসবে না এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ

ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা

আজ আলোচনা করবো কিছু উপদেশমূলক কথা যেখানে ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা অর্থনৈতিক নিয়ে উপদেশ মূলক কথা এবং সার্বিক পরিস্থিতিকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন সে বিষয়ে উপদেশমূলক কথা বিশেষ করে আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই সেটা হল অর্থনৈতিক ভাবে আমরা আমাদের যদি এগিয়ে রাখতে পারি তাহলেই প্রত্যেকটা সেক্টরে আমরা স্বাক্ষর রাখতে পারব কারন দিনশেষে আমাদের দুবেলা খেতে হয় যার জন্য আমাদের অর্থনৈতিক দিকটা বিবেচনা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব

আপনি যদি চান মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনার পছন্দ কাজগুলো সহজ করে দিক তাহলে আপনি নিজে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের পছন্দ মত কাজগুলো করতে থাকুন তাহলে দেখবেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনার কাজকে সহজ করে দিয়েছে

পৃথিবীতে আপনি যেমন মনিবের কাজ করে মনির কে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদের সৃষ্টি করেছেন এজন্য তাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে তার দেওয়া নামাজ গুলি কায়েম করুন দেখবেন মালিক যেমন আপনাকে কিছু উপহার দিবে ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের ভান্ডার থেকে আপনাকেও বৃহৎ কিছু উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে স্মরণ করবে

ভালোবাসার উপদেশ মূলক কথা

তেমন কারো সঙ্গী বানান যে সঙ্গী সবসময়ের জন্য মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের ভয়-ভীতির কথা বলবে

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের রাজি-খুশি করার জন্য যে কাজ করার প্রয়োজন সেই কাজগুলো কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই করে ফেলুন

এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে যেমনিভাবে আপনাকে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হয় ঠিক তেমনি ভাবে ওই আখেরাতে যদি আপনি টিকে থাকতে চান তাহলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সাথে সম্পর্ক তৈরী করুন

বন্ধু যদি বন্ধুর মতন হয় তাহলে মনের কথা বলা যায় ঠিক তেমনি ভাবে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনকে বন্ধু বানান এবং তার সঙ্গে মনের কথা বলুন

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে হযরত হাসান হোসেনকে ভালোবাসতেন ঠিক তেমনিভাবে তার উম্মতদের কেউ তিনিও সেরকম ভালোবাসেন

এই পৃথিবীতে কেউ কারো আপন নয় তবুও আপনার অভিনয় করে বেঁচে থাকতে হয়

আত্মহত্যা মহাপাপ তবু কেন মানুষ আত্মহত্যা করে কারণ তার নিজের মনের মতো সঙ্গী সে যখন না পায় তখন এ কাজ করে

বন্ধুত্বের কথা যে ভাবে নিজের মনের মধ্যে নিতে হয় ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কথাগুলো মনের মধ্যে নিতে হয়

এ পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন হলো জন্মদাতা পিতা মাতা অন্য যে সকল লোক গুলো আছে সবাই স্বার্থের জন্য তোমার আশেপাশে ঘুরবে স্বার্থ চলে গেলে তারাও চলে যাবে কিন্তু একমাত্র মা বাবা যাবে না

ইসলামের মধ্যে বলা হয়েছে কোনো মানুষকে দেখলে সালাম দাও সালাম দিলে সম্পর্ক বেড়ে যায় আর এই সম্পর্ক থেকে বন্ধুত্ব হয় আর বন্ধুত্ব মানেই কালকে আমাদের ময়দানে তার সঙ্গী হয়ে যাবে তুমি

আখেরাতে যদি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের শরণাপন্ন হতে চাও তাহলে মান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনাকে আরো কাছে টানবেন

সবসময়ের জন্য নিজেকে দূষণমুক্ত রাখতে আপনার চিন্তা করুন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের কাছে ছেড়ে দিন তাহলে দেখবেন আপনি আপনার চিন্তা মুক্ত অবস্থায় ফিরে পেয়েছেন

অনুপ্রেরণা মূলক কথা

এই পর্যায়ে ইসলামের ঘোষণা হচ্ছে ইসলামের মৌল অর্থ দর্শন পরীক্ষা করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে অন্য কোনো অর্থ ব্যবস্থা অবলম্বন করা কার্যত করা ক্ষেত্রে ইসলাম পরিত্যাগ ইসলাম ভিন্ন অন্য কোন মতাদর্শ গ্রহণের শামীম এ কাজ মুসলমানদের জন্য কোন ক্রমেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারেনা ঈমানের দৃষ্টিতে কাজল ইসলামের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শন ও অস্বীকৃতি বা কুফুরি পর্যায়ে গণ্য

এ কারণে দুনিয়ার মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে

১/ ইসলামের মৌল নীতিসমূহের ভিত্তিতে অর্থবিজ্ঞান কে তার বৈশিষ্ট্য মূলক রুপরেখা সহকারে সুসংগঠিত ও সুসংবদ্ধ করে গড়ে তোলা

২/ প্রতিষ্ঠা ও কার্যরত অর্থনৈতিক সংগঠন ও তার সংস্থাকে কার্যত ইসলামের অনুকূলে পরিবর্তিত করার জন্য চেষ্টা প্রচেষ্টা চালানো

৩/ পুঁজিবাদী ও সামন্তবাদী এককেন্দ্রিক ও তার অক্টোপাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য ইসলামী চিন্তা ও দর্শন কে দিশারী রূপে গ্রহণ করা এবং অন্য কোন দর্শন বা আন্দোলনের সহায়তায় গ্রহণ থেকে দূরে থাকা অন্যথায় আকাশ থেকে পড়ে গাছে আটকে যাওয়ার মত অবস্থা দাঁড়াবে

ইসলামী অর্থনীতি বলতে বুঝায় সৃষ্টিকর্তাও বিশ্ব মালিক মহান আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত সত্যদীন আরোপিত আদর্শিক বিশ্বাসঘাতক অনৈতিক বিধিনিষেধ রক্ষা করে উৎপাদন উপার্জন ও ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় তৎপরতা পরিচালনার জ্ঞান ও বাস্তব কার্যক্রম গ্রহণ কেননা সেসব বিধি নিষেধ ও বাধ্যবাধকতা মুক্ত অর্থব্যবস্থা বা অর্থবিজ্ঞান আর যাই হোক ইসলামী অর্থব্যবস্থা কিংবা ইসলামী অর্থবিজ্ঞান হতে পারে না

আমরা মানুষ আমাদের সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন দুর্বল হিসেবে আমরা সবসময় জন্য ভেঙ্গে পড়তে ভালোবাসি কিন্তু এই ভেঙ্গে পড়লে মন ভেঙে যায় আর মন ভেঙে গেলে একটা মানুষের আর কোন কর্তিত থাকে না আর সেই জায়গা থেকে নিজের গতিতে ফিরে আসার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ভালো কিছু কথা

এই ভালো কথা আমাদেরকে আবার নতুন করে জাগ্রত করে আবার নতুন করে নতুনত্ব শেখার জন্য চেষ্টা করার সেরকম পরিবেশ তৈরি করে দেয় যার জন্য আমরা আবার উদ্যমী হই এবং আমরা কাজ করতে পারি এজন্য আমাদের ভিতরে যারা এরকম হতাশাগ্রস্ত হবে তারা অবশ্যই উপদেশ মূলক কথা জানবে এবং বুঝবে বিশেষ করে একটু কথা বলতে চাই কোরআন হাদিসের আলোকে আমাদের এই আর্টিকেলটা একটা গুরুত্বপূর্ণ যেখান থেকে আপনি আপনার থেকেও বের হয়ে নতুনত্ব শিখতে পারবেন নতুনত্ব মানুষের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক কথাবার্তা বলতে পারবেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ

ইসলামী অর্থনীতি হলো এমন একটি ব্যবস্থাপনা যেখান থেকে আমরা যদি উত্তরণ হতে পারি তাহলে সকল হতাশা আমাদের থেকে দূর করা সম্ভব এজন্য জীবনের প্রথম দিকে যদি কারোর অর্থনীতির সমস্যাগুলো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তবে এই থেকে উত্তরণ হওয়ার জন্য যে ধরনের আবিষ্কার করা প্রয়োজন

উপদেশমূলক কথার ভিতরে বিশেষ করে একটা নির গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে সেটা হল অর্থনৈতিক দিকটা কারণ অর্থনীতি যদি থাকে আপনার কাছে তাহলে আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কিন্তু আপনি চাইলেও পারবেন না যখন আপনার কাছে অর্থ থাকবে না ওর জন্য সবথেকে ভালো গতি যার জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করতেন কারণ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যদি হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কে ইসলামের জন্য কবুল করে তাহলে অবশ্যই ইসলামের জন্য অনেক বড় উপকার হবে হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর জন্য অর্থ সম্পত্তি মন এই মনকে কাজে লাগানোর জন্যই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম আল্লাহর দরবারে দোয়া করতেন

যে ধরনের নতুনত্বের প্রয়োজন প্রয়োজন যে ধরনের কার্যক্রম এর প্রয়োজন আমাদের করতে হবে এবং পরবর্তীতে তাহলে আর কোন বাধা তোমার সামনে এসে দাঁড়াতে পারবেন না এজন্য আমরা অর্থনৈতিক তার জন্য শুধু অর্থের দিকে ছুটল হবে না সেখানে গুনতে হবে এবং সেখান থেকে তুমি করবে ঠিক তেমনিভাবে টাকার জন্য তোমরা জাল বা বীজ বপন কর যেখান থেকে টাকা আসবে ধন্যবাদ সকলকে

সর্বোপরি একটা কথা বলতে চাই সেটা হল মানুষের মৌলিক অধিকার হলো পাছার ভিতরে অন্যতম ছিল অর্থ-যে অর্থ যদি মানুষের থাকে তাহলে বাকিগুলো মেটানো সম্ভব কিন্তু আর যদি না থাকে তাহলে সেগুলো মেটানো সম্ভব না যার জন্য আমরা প্রথমে আমাদের অর্থনৈতিক দিকটা বিবেচনা করবো ইনশাআল্লাহ