উম্মে আইমান নামের অর্থ কি , উম্মে আইমান ইসলামিক নাম কি

উম্মে আইমান নামের অর্থ কি
উম্মে আইমান নামের অর্থ কি

উম্মে আইমান নামের অর্থ কি উম্মে কোন লিঙ্গের নাম?, উম্মে নামটি কোন ভাষা থেকে এসেছে? উম্মে কি ইসলামিক নাম? উম্মে নামের ইংরেজি বানান কি? উম্মে আইমান ইসলামিক নাম কি

উম্মে আইমান নামের অর্থ কি
উম্মে আইমান নামের অর্থ কি

উম্মে আইমান নামের অর্থ কি

সুদর্শন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তানদের মা

উম্মে শব্দের অর্থ হলো সুদর্শন

উম্মে নামের আরবি অর্থ হলো সুদর্শন

উম্মে শব্দ দিয়ে আরো কিছু নামের তালিকা

উম্মে সরকার,
উম্মে ইকতিদার,
উম্মে শিকদার,
উম্মে চৌধুরী,
উম্মে আলম,
উম্মে মাসাবিহ,

উম্মে আইমান ইসলামিক নাম কি

উম্মে আয়মান নামের অর্থ হলো সৌভাগ্য শীল , ন্যায়পরায়ণ , শুভ ।

উম্মে আয়মান শব্দটি একটি আরবি শব্দ উম্মে আইমান নামটি পাঁচ বর্ণ এবং শব্দের একটি সুন্দর নাম, উম্মে আয়মান শব্দের অর্থ হল সৌভাগ্যশীল, ন্যায় প্রায়ন, শুভ, উম্মে আয়মান শব্দটি মূলত স্ত্রী লিঙ্গ শব্দ।

 

উম্মে আইমান নামের অর্থ কি
উম্মে আইমান নামের অর্থ কি

 

তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

সূরাঃ ৩ আলে -ইমরান , ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ –

বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐ সব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং নিজে রাসূল ( সা. ) ও তাঁর সাহাবী গণ ( রা .) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ।

মুসলিম দের পথ ভ্রষ্ট ৭২ দলের জান্নাতে যাওয়ার কথা নয় । সুতরাং ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হওয়াই জাহান্নাম থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ পথ ।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।

১ খলিফা হযরত আবু বকর থেকে ৬ খলিফা হযরত মুয়াবিয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রন্ত ছিল । তারপর ইয়াজিদের খেলাফত ইমাম হোসেন ( রা. ) স্বীকার করেননি । আব্বাসীয় প্রথম খলিফা আবুল আব্বাসের নামের সাথে আস সাফফাহ বা রক্ত পিপাসু জুড়ে গিয়েছে সুতরাং তাঁর খেলাফত স্বীকৃত নয় । আব্বাসীয় খলিফা আবু জাফর আল মানসুর থেকে আল আমিন পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত ছিল। আল মামুন মোতাজিলা ছিলেন। বিশ্বাস ঘাতক যুগের আব্বাসীয় খলিফাগণ খলিফা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। শেষ খলিফা ইমাম মাহদী ( আ .) ।

হযরত আবু বকর (রা.) ২। হযরত ওমর (রা.) ৩। হযরত ওসমান (রা.) ৪। হযরত আলী (রা.) ৫। হযরত ইমাম হাসান (রা.) ৬। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ৭। আবু জাফর আল মানসুর ৮। আল মাহদী ইবনে মানসুর ৯। আল হাদী ১০। হারুনুর রশিদ ১১। আল আমিন ১২। ইমাম মাহদী (আ.)।

 

১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ

উম্মে আইমান নামের অর্থ কি
উম্মে আইমান নামের অর্থ কি

সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-

 

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোমরাও বসে নামাজ পড়বে।

সহি হ আবু দাউদ , ৬০১ নং হাদি সের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ –

 

হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমাম কে সৎ পথ দেখা ও এবং মুয়াযযিন কে ক্ষমা কর ।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

সহিহ তির মিযী, ১৯৮ নং হাদিসের ( নামাজ অধ্যায় ) অনুবাদ-