একবার সহবাসে কি বাচ্চা হয় , পিরিয়ড শেষ হবার দুদিন পর থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময়কে বলা হয় অতি উর্বর সময়, এই ২১ দিনের মাঝে যদি আপনি সহবাস করেন এবং বির্য ভিতরে ফেলেন তাহলে সন্তান হবার সম্ভবনা ৮৫%!
একবার সহবাসে কি বাচ্চা হয়
হ্যাঁ, একথা ঠিক যে – একবার সফল মিলনেই বাচ্চা জন্ম দেয়া সম্ভব। কোন নারী গর্ভবতী হয় তাদের সহবাসের যে কোন সফলতম দিনের কারণেই। সহবাসের প্রতিটা দিনের জন্য নয়।
এটা মনে রাখবেন, একজন সুস্থ্য নারীর মাসিক চক্র সঠিক হিসেবে ২৮ দিন পর পর হয়। এই ২৮ দিনের মধ্যে- মাসিকের সময় ৩-৫ দিন পর্যন্ত হচ্ছে স্বাভাবিক। এর থেকে কম বা বেশি হলে সে অসুস্থ হিসেবে ধরা হয়।আমরা জানি, ২৮ দিনে মোট ৪ সপ্তাহ হয়।
মাসিকের ৭ দিন এবং এর পরবর্তী ৭ দিন নিরাপদ সময়। এসময় আপনার স্ত্রীর যৌনিতে বীর্য প্রবেশ করলে ও গর্ভবতী হবে না। এরপরবর্তী ৭ দিন সন্তান ধারনের জন্য সবচেয়ে উত্তম সময়। নিঃসন্তান দম্পত্তিকে এ সময়ে সহবাস করার পরামর্শ দেয়া হয়। এর পরবর্তী ৭ দিন ও নিরাপদ। এ সময়েও আপনার স্ত্রী গর্ভবতী হবে না।
সন্তান হওয়ার জন্য একটা শুক্রাণুই যথেষ্ট। আর মানুষের প্রত্যেকবার মিলনে যে পরিমাণ বীর্যপাত হয়, তাতে কোটি কোটি শুক্রাণু থাকে। তাই একবার মিলনেই বাচ্চা হওয়া সম্ভব। বাচ্চা হওয়ার জন্য মাসের পর মাস মিলন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য যে, এটা শুধু সেসব নারীদের জন্য প্রযোজ্য যাদের মাসিক নিয়মিত হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, একবার সফল মিলনেই বাচ্চা হওয়া সম্ভব কোন সময়ে? আর আপনি কনডম কোন কোন সপ্তাহে ব্যবহার আজ থেকে না করলেও চলবে? তবে মাসিক চলাকালীন সময় স্ত্রী সহবাস না করা উত্তম।
এটাও ঠিক যে, আমাদের যৌন চাহিদা মাসে একবার নয় বরং একাধিকবার। মেডিকেল এর রিচার্চ অনুযায়ী , সপ্তাহে দুবার করে স্ত্রী সহবাস করলে শরীরের কোন ক্ষতি নেই। এই হিসেবে মাসে ৮ বার করে নিয়মিত স্ত্রী সহবাসে শরীরের কোন সমস্যা হবে না।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমার-করিনা কাপুর অভিনীত ‘Good News’ ছবিটি জীবনের বিভিন্ন দিক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আজকাল কেরিয়ারের পেছনে দৌড়তে গিয়ে অনেকেই ‘ফ্ল্যামিলি প্ল্যানিং’ করছেন অনেক দেরিতে।
সেক্ষেত্রে অনেক সময় সন্তান নিতে চাইলেও যুগলরা সমস্যার মুখোমুখি হন। সন্তান নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়মগুলো ঠিক কী? সহবাসের পর কি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় শুয়ে থাকতে হয়? অতীতে একটি ভিডিয়োতে এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা: তসনিম জারা।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)