একবার সহবাস করলে কতদিন পিল খেতে হয়, ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

একবার সহবাস করলে কতদিন পিল খেতে হয় , যদি একটি কম্বিনেশন পিল (যাদের ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টিন আছে) গ্রহণ করেন, ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবংতবে বেশিরভাগ মহিলাদের চক্র 1-3 মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, যা দ্রুত গর্ভাবস্থা সম্ভব করে তোলে। বেশিরভাগ মহিলা পিল বন্ধ করার এক বছরের মধ্যে গর্ভবতী হতে সক্ষম হন ।

একবার সহবাস করলে কতদিন পিল খেতে হয়



স্বামী নিজে বেরিয়ার মেথড কিংবা কনডম ব্যবহার করতে পারেন। একটি টেম্পোরারি পদ্ধতি এবং এর বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। বিয়ের পরপর পরিকল্পিত ভাবে যৌন মিলন অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং  এই সময় আবেগের প্রাধান্য থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা টেম্পোরারি পদ্ধতি এই সময় সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা।



পিচ্ছিল জিনিসের নাম কামরস এটা উত্তেজিত অবস্থায় বাহির হতে পারে। এটা দ্বারা প্রেগন্যান্ট হবার সম্ভাবনা নাই। সাধারণত পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা নারীর ডিম্বাণু নিষিক্ত হলেই কেবল প্রেগনেন্ট হওয়া সম্ভব। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং এক্ষেত্রে শুক্রাণুটা নারীর ডিম্বাশয় পর্যন্ত পৌছাতে হলে অবশ্যই যোনীর গভীরে যেতে হবে। অন্যথায় কোনভাবেই ডিম্বাশয়ে পৌছানো সম্ভব না

 

ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

 

নতুন দম্পতিদের জন্মনিরোধক হিসেবে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হচ্ছে ওরাল contraceptive পিল কিংবা খাবার বড়ি। এই ওরাল পিল নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রী খাবে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে এবং প্রতি মাসে কিংবা মাসিক ঋতুস্রাবের প্রথম কিংবা পঞ্চম দিন বড়ি খেতে শুরু করতে হয়। প্রতিদিন রাতে খাবারের পর বড়ি খেলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে কিংবা ভুলে গেলে পরদিন সকালে খেয়ে নেয়া যায়।



ডা. মোসা.আফরোজা সরকার জলি বলেন, সাধারণত মাসিকের প্রথম সাত দিনের মধ্যে যদি এরকম একটা পিল মিস হয়, তাহলে যে কোনো সময় খেতে পারে অথবা নির্দিষ্ট সময় খেলেন। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে  কিন্তু কারো যদি দুইটা পিল বাদ পড়ে এবং সেটা মাসিকের সপ্তম থেকে ১৪তম দিনে অথবা ২১তম দিনে হয়, তাহলে সে পিল যখন মনে হবে তখন খাবে।

না হলে পরবর্তী দ্বিতীয় দিনে দুইটা পিল একসঙ্গে খাবে এবং তার পরবর্তী সাত দিন অথবা ১৪ দিন পর্যন্ত সে অন্য কন্ট্রাসেপটিভ বিশেষ করে বেরিয়ার মেথড বা কনডম ব্যবহার করবে।



IUCD (intrauterine, contraceptive ডিভাইস) এটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত জন্মনিরোধক পদ্ধতি গুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাবার বড়ি যেখানে গ্রহণযোগ্য না।

যেমনঃ ডায়াবেটিস, এজমা কিংবা হাঁপানি, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিটি কিংবা কপার-টি সবচেয়ে ভালো। কপার-টি যেকোনো পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে নেয়া যায় এবং যখন ইচ্ছা আবার খুলে ফেলা যায়। এটি একটি সহজ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি এবং তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)