এলার্জি ঔষধ এর নাম , ঔষধ খাওয়ার আগে কোন জিনিসে আপনার অ্যালার্জি সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। সেটি থেকে দূরে থাকুন। ধুলোবালি, ফুলের পরাগরেণু ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরার অভ্যাস আপনাকে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। কোনো খাবার খেয়ে গায়ে চুলকানি হলে সেটি পরে আর কখনো না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আর অ্যালার্জির ঔষধ তো আছেই অনেক অনেক –
যেমন – Levocetrizine, Bilastine, Hydroxyzine, Fexofenadine, Desloratadine. এদের মধ্যে Fexofenadine এবং Desloratadine সব থেকে বেশি নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
এখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন এলার্জির ওষুধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম। তা আপনার যদি বিভিন্ন এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিম্নে উল্লেখিত ওষুধ গুলো সেবন করবেন। যদি অবস্থা জটিল হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন।
1.Rupatadine 10 mg (Rupa/Rupatrol/ Duvent)
0+0+1 (২৪ ঘন্টায় একবার)
2.Cetirizine 10 mg(Alatrol/Artizin/Cetizin)
0+0+1(২৪ ঘন্টায় একবার)
3.Chlorpheniramine 4mg( Histacin/Histal/ Histagen)
1+1+1(সকালে একটা+দুপুরে একটা + রাতে একটা)
4.Fexofenadine 60mg, 120mg, 180mg( Fexo/ Fenadine)
0+1+0( 120mg,180mg হলে দিনে ১ টি / 60mg হলে দিনে ২ বার)
5. Loratadine 10mg(Loratadine/ Loratine/Pretin)
0+0+1(দৈনিক একটি করে)
বর্তমানে বাজারে এলার্জির জন্য Fexo/ Fenadine ও Alatrol বেশি ব্যবহার হয়। histacin এর প্বার্শপ্রতিক্রিয়া বেশি এর জন্য এর ব্যবহার।
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা এলার্জি সম্পর্কে জানলাম। এলার্জির ধরন ও কি কি কারনে এলার্জি হয়ে থাকে বিস্তারিত জেনেছি। এলার্জি এড়িয়ে চলতে আমরা সব সময় পরিষ্কার পরিছন্ন থাকবো। পরিষ্কার পরিছন্নাতা মত ঈমানের অঙ্গ।এলার্জি দেখা দিলে উক্ত ঔষধ গুলো ব্যবহার করবো। এলার্জির প্রকোপ যদি বেশিদিন থাকে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবো ও চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবো, ধন্যবাদ।
এলার্জির ওষুধের নাম কী কী উপকার করে?
এলার্জি নামের একটি প্রধান সুবিধা হল যে এটি এলার্জির লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর। এটি হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, এবং জলযুক্ত চোখ কমাতে বা নির্মূল করতে পারে, যা লোকেদের তাদের এলার্জি দ্বারা বিরক্ত না হয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে যেতে সহজ করে তোলে।
এলার্জি ওষুধ নামের আরেকটি সুবিধা হল এটি দ্রুত কার্যকরী। এটি নেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে কাজ করা শুরু করতে পারে, যার অর্থ হল লোকেরা তাদের লক্ষণগুলি থেকে দ্রুত ত্রাণ পেতে পারে।
এলার্জির ওষুধের নামও অ-তন্দ্রা, যার মানে এটি তন্দ্রা সৃষ্টি করে না বা জ্ঞানীয় কার্যকারিতা ব্যাহত করে না। এটি এমন লোকেদের জন্য একটি ভাল বিকল্প করে তোলে যাদের সারা দিন সতর্ক থাকতে হবে এবং মনোযোগ দিতে হবে, যেমন ছাত্র, পেশাদার এবং ক্রীড়াবিদ।
অবশেষে, এলার্জি ঔষধ এর নাম ব্যাপকভাবে উপলব্ধ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের। এটি বেশিরভাগ ফার্মেসি এবং ওষুধের দোকানে ওভার-দ্য-কাউন্টারে কেনা যেতে পারে এবং অন্যান্য এলার্জি ওষুধের সাথে এটির দাম প্রতিযোগিতামূলক।
এলার্জি কমানোর কিছু খাবার
এলার্জি কমানোর জন্য শুধু এলার্জির ঔষধ খেলেই হবে না। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরের এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। যেমন : গরুর মাংস, বেগুন ইত্যাদি। এসব খাবার খেলে আমাদের শরীরের এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। চুলাকানি বেশি হবে। এজন্য অবশ্যই এই খাবারগুলো পরিহার করে চলতে হবে। এছাড়া, আরও কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে আমরা এলার্জির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারি। এমন কিছু খাবার নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
Antioxidant
এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এন্টিঅক্সিডেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এন্টিঅক্সিডেন্ট পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীর থেকে এলার্জি দূর হয়ে যাবে। অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, এন্টিঅক্সিডেন্ট কোথায় পাবো? আমাদের হাতের নাগালেই এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া সম্ভব। আমাদের শরীরে এবং প্রকৃতিতে তৈরি হওয়া এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলোর মাঝে ভিটামিন সি অন্যতম।
এন্টিঅক্সিডেন্ট এর চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রাম করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে আমাদের শরীরের Antioxidant এর চাহিদা পূর্ণ হয়ে যাবে। ভিটামিন সি এর সবথেকে দারুন উৎস হচ্ছে , কাঁচা মরিচ, বাঁধাকপি, আলু, লেবু, বাতাবী লেবু, কমলা লেবু, এবং টমেটো, আঙ্গুর, পেয়ারা, কামরাঙ্গাসহ বিভিন্ন শাক সবজীতে এবং টক ফলমূলে। প্রতিদিন এসব সবজী এবং ফলমূল খেলে শরীর থেকে এলার্জি দূর হয়ে যাবে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)