কত বছর বয়সে নামাজ ফরজ হয়

কত বছর বয়সে নামাজ ফরজ হয় , রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য বয়স মুখ্য নয়, কেউ বালেগ হলে বা সাবালকত্ব অর্জন করলেই তার ওপর রোজা ও নামাজ ফরজ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে

বিজ্ঞজনদের মতে, আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পারিপার্শ্বিকতায় এটি সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৫ বছরে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৩ বছরে হয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ৯ বছরেও হতে পারে।

কত বছর বয়সে নামাজ ফরজ হয়




প্রধান নিদর্শন হলো মাসিকস্রাব। এ নিদর্শন প্রকাশ হওয়ার পর নামাজ ফরজ হয়ে যায়। অবশ্য এসব নিদর্শনের কাছাকাছি সময়ে নামাজ কঠোরভাবে চর্চা শুরু করা কর্তব্য। কেননা, একদিনে নামাজী হওয়া যায় না। আগে থেকে শুরু করলে ফরজ হওয়ার পর কোনো অবহেলা করার সুযোগ থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে কোনো ছেলে মেয়ের যদি স্বাভাবিক নিদর্শন প্রকাশে অস্বাভাবিক দেরী হয়, তাহলে মেয়েদের ১২/১৩ বছর ও ছেলেদের ১৫ বছর থেকে বয়ঃপ্রাপ্ত ধরার হুকুম রয়েছে।



সাত বছর বয়েসে নামাজের নির্দেশ দিতে হবে (নামাজের নিয়ম কানুন শিক্ষা দিয়ে নামাজের প্রতি আগ্রহী হরে তুলতে হবে) , ১০ বছর বয়েসে প্রহার করতে হবে (নামাজ পড়ার প্রতি জোর দিতে হবে না পড়লে শাসন করতে হবে) এবং বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্কো হলে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে ( বলেগ হওয়ার পর নামাজ ফরজ হয়ে যায়)। বিভিন্ন আলামত প্রকাশ বা বয়স ১৫ হলে বালেগ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।


৯ বছরেও হতে পারে।

এ সময় ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে; কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, আচরণে পার্থক্য ও নতুনত্ব তৈরি হয়; নারী বা পুরুষসত্তার স্বাতন্ত্র্য স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। এ সময় থেকে রোজা পালন ও নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক। পালন না করলে কাজা আদায় করতে হয়, রোজা রেখে ভাঙলে কাফফারা দিতে হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রা ভালো করতে হবে  এ সময় থেকে এদের সওয়াব ও গুনাহ লেখা শুরু হয়। অবহেলা করে রোজা না রাখা অনেক বড় গুনাহ।

পিতা, মাতা বা অভিভাবক যদি এদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করেন, তবে তাঁরাও গুনাহগার হবেন। তবে কেউ অসুস্থ বা অক্ষম হলে তার জন্য কাজা বা ফিদইয়ার বিধান রয়েছে। (ফাতওয়া শামি)।

মিরাজ’ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ সিঁড়ি। অন্য অর্থে ঊর্ধ্বলোকে আরোহন বা মহামিলন। নবী করিম (সা.)-এর ৫০ বছর বয়সে মক্কি জীবনের প্রায় শেষলগ্নে নবুওয়াতের দশম বছরে ৬২০ খ্রিষ্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মিরাজের মহিমান্বিত ও বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।