কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি , অনেকগুলি পাওয়া যায় কোরআন এবং হাদিসে। ইসলামে মেয়ের সন্তান অত্যন্ত মূল্যবান বস্তু বিবেচনা করা হয়েছে এবং তাদের সন্তানের সাথে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য মহাজনের উক্তি উদ্ধৃত হয়েছে। নিচে কিছু ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হলো:
কন্যা সন্তান একটি বরকতের সোনার বন্ধন:
“মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুসারে, মেয়ের সন্তান একটি বরকতের সোনার বন্ধন।” – (হাদিস, অবু দাউদ)
মেয়ের সাথে প্রিয়া জন্নত:
“যে ব্যক্তি তিনটি কন্যার পালন করে এবং তাদের সাথে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করে তিনি জন্নতের মধ্যে যাবে।” – (হাদিস, অবু দাউদ)
সন্তান বাড়ানোর মাধ্যমে পরামর্শ:
“একটি মুসলিম মাতাকে কন্যার প্রতি উত্তম শিক্ষা দেওয়া যাবে। যখন সে গ্রীষ্ম ঋতুতে তাদের মধ্যে সম্পদ প্রদান করবে, তখন তার উত্তরাধিকারী কখনো হতে পারে অভাবিষ্ট না হবে।” – (হাদিস, তিরমিযী)
সন্তানের শিক্ষা প্রদান:
“মোকাবলা করতে পারে, তার জন্য একটি লেখা প্রদান করো। একটি লেখা লেখার বা পঠনের জন্য বিদ্যার্থীর মত তোমার মেয়ে দেওয়া হয়েছে।” – (হাদিস, ইবন মাজাহ)
ভাল সাথে প্রেম:
“প্রতিটি মুসলিম মাতা তার কন্যার সাথে প্রেমে আচরণ করবে, ভালবাসা দেখাবে এবং তাদের সাথে মিত্রভাবে সম্পর্ক রাখবে।” – (হাদিস, তিরমিযী)
এগুলি কেবলমাত্র কিছু ইসলামিক উক্তি এবং আরো অনেক আহাদীস এবং কোরআনের মধ্যে মেয়ের সন্তান নিয়ে সংক্ষেপ্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কন্যা সন্তান নিয়ে ১০ টি ইসলামিক উক্তি
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তির মধ্যে ১০টি প্রমুখ উক্তি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
প্রেম এবং মমত্ব: “মুসলিম মাতারা তাদের কন্যাকে প্রেম এবং মমত্বে আচরণ করবেন।” (হাদিস, তিরমিযী)
উচ্চ মর্যাদা: “যে ব্যক্তি তার মেয়ের প্রতি উচ্চ মর্যাদা রাখে, আল্লাহ তার প্রতি কপট নেয়।” (হাদিস, ইবন মাজাহ)
শিক্ষা এবং উন্নতি: “মানুষের উন্নতির উপায় হলো উপায়ী হওয়া, এবং উপায়ী বান্ধব হলো তার মেয়ে।” (হাদিস, ইবন হিববান)
শ্রদ্ধা এবং দোয়া: “যে মুসলিম মাতা তার কন্যার উপর শ্রদ্ধা দেখায় এবং তার জন্য দোয়া করে, তার জন্য জাহান্নাম হবে হারাম।” (হাদিস, ইবন মাজাহ)
স্ত্রীর অধীনতা: “স্ত্রীর অধীনতা প্রকাশ করো, এটি তার অধিকার এবং গৌরব।” (হাদিস, আবু দাউদ)
পারিবারিক কর্তব্য: “যে ব্যক্তি তার পরিবারের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে, তার মেয়ে জান্নাতের উচ্চতর মর্যাদায় অধিকারী হবে।” (হাদিস, ইবন হিববান)
অতিরিক্ত সম্মান: “প্রতিটি মুসলিম মাতা তার কন্যাকে অতিরিক্ত সম্মান দেওয়া উচিত।” (হাদিস, ইবন মাজাহ)
করীমতা এবং দয়া: “এই জগতে একটি ব্যক্তির বড় বরকত হলো তার করীমতা এবং দয়া, এবং তার করীমতা এবং দয়ার প্রতি তার কন্যার প্রতি বরকতি রয়েছে।” (হাদিস, তিরমিযী)
সাক্ষাত্কার: “যে মুসলিম মাতা তার কন্যার সাথে ভালো সাক্ষাত্কার করে এবং তাদের মত সম্পর্ক রাখে, আল্লাহ তার প্রতি প্রেম বেড়ে যায়।” (হাদিস, আবু দাউদ)
সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ইসলামিক উক্তি বিশ্বাস করে যে সন্তান একটি বেশি মূল্যবান উপহার, সম্পদ, এবং বরকত আল্লাহ তারার কাছে থেকে। নীচে কিছু সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হলো:
সন্তান একটি বেশি সোনার বন্ধন: “মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুসারে, সন্তান একটি বেশি সোনার বন্ধন।” – (হাদিস, অবু দাউদ)
সন্তানের উপাস্যতা: “সব প্রশংসা আল্লাহকে যারা বাল্যকালের সন্তান বান্ধব হয়ে থাকে।” – (হাদিস, তিরমিযী)
সন্তান সম্মান: “কেউ তার মেয়ের সাথে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তার জন্নতের মধ্যে সাথে যাবে।” – (হাদিস, ইবন মাজাহ)
প্রেম এবং দয়া: “মুসলিম মাতারা তাদের সন্তানের প্রতি প্রেম এবং দয়া দেখাবেন।” – (হাদিস, তিরমিযী)
সন্তান শিক্ষা এবং তালিম: “একজন মানুষের শিক্ষা প্রদানের সময়ে তিনি একজন বালিকার শিক্ষা এবং তালিমের জন্য করুণাময় হতে পারেন.” – (হাদিস, ইবন মাজাহ)
সন্তানের আমানত: “মানুষের বৃদ্ধির পথে যাওয়ার জন্য যারা তাদের সন্তানকে সন্তানের রূপে অনুমতি দেবে, তাদের মড়ানো এবং প্রস্তুতি করা হয়েছে।” – (হাদিস, ইবন হিববান)
সন্তান সম্মান: “স্ত্রীর অধীনতা প্রকাশ করো, এটি তার অধিকার এবং গৌরব।” – (হাদিস, আবু দাউদ)
প্রেম এবং সম্মান: “প্রতিটি মুসলিম মাতা তার কন্যাকে ভালো সম্মান এবং প্রেম দেখাবে।” – (হাদিস, ইবন মাজাহ)
সন্তান প্রস্তুতি ও শিক্ষা: “একটি লেখা প্রদান করো, এটি তোমার মেয়েকে পড়তে দাও। লেখা পড়ার অভ্যাস প্রদান করতে পারে তার উন্নতির পথে।” – (হাদিস, ইবন মাজাহ)
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ইসলামিক উক্তি হলো ইসলামের শিক্ষা এবং আদর্শ অনুসারে প্রবৃদ্ধি করার উক্তি বা নীতিমালা। নীচে কিছু প্রমুখ ইসলামিক উক্তি উল্লেখ করা হলো:
ইমানের মূল স্তম্ভ: “আমন্ত্রণ করা হয়েছে ইমানের উত্তরে আমল করার সময়।” (সূরা মুয়াম্মদ, ৪৭:৭)
তাকওয়া: “ওই মানুষটি যাবে জান্নাতে যে মুসলিমের দিকে এটার উদ্দেশ্যে মুখ করবে যে সত্ভাবে ব্যক্তিরা তাদের দিকে হেতুভূত ভাবে নেওয়া আচরণ করে না এবং যারা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।” (সূরা ফুরকান, ৭২)
সত্য ও সদয় ব্যক্তিত্ব: “আল্লাহকের অধীনে বাইরে কিছু বক্তৃতা করানোর চেয়ে এটা ভালো যে, তুমি তোমার উচ্চতর বান্ধবের সঙ্গে সত্য ও সদয় ভাবে আচরণ করবে।” (সূরা আল-মুলক, ১৬)
আদালত এবং মিসক: “আদালতের ওই স্থানে, এই মিসকে প্রমাণ করে রাখা হবে।” (সূরা বানী ইসরাইল, ৩৭)
দয়া এবং করুণা: “যেমন দয়ার উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের মধ্যে প্রেম সৃষ্টি করি, তেমনি তোমাদের মধ্যে আপনারা সহায়তা এবং করুণা প্রদান করবে।” (সূরা আল-রূম, ২১)
গর্ব অধমত্ব দয়া: “আপনার নিজেকে গর্ব করে নিচু দেখাবেন না এবং কোনও মানুষকে আহত করা বা গুস্তাখি করা করা বাক্য থাকবে না.” (হাদিস, সহিহ বুখারি)
সাদকাহ: “মানুষের সাদকাহ দিয়ে সবচেয়ে প্রিয় মনুষ্য আল্লাহর কাছে প্রস্তুত হয়ে ওঠে।” (হাদিস, সহিহ বুখারি)
প্রেম এবং সহানুভূতি: “আপনাদের মধ্যে একটি অভিশাপ হতে পারে যে, সহানুভূতি ব্যক্ত না করা বা অন্তরে আপত্তি ধরার পরিপ্রেক্ষ্য থাকা।” (হাদিস, সহিহ বুখারি)
কন্যা সন্তান নিয়ে কিছু কথা
কন্যা সন্তান বিশেষ মূল্যবান এবং সুখের উৎস হিসেবে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে। এই ধর্মে কন্যা সন্তান নিয়ে কিছু মৌলিক কথা বর্ণিত করা হলো:
প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব: ইসলামে কন্যা সন্তানের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বেশি মূল্যবান বিবেচনা করা হয়। তাদের পালন করার মাধ্যমে আল্লাহের রাজস্ব অর্জন ও দুয়ার উত্তরমূলভূত করার বিশেষ প্রত্যাশা রয়েছে।
প্রেম এবং মমত্ব: প্রতিটি মাতা তার কন্যার সাথে প্রেম এবং মমত্বে আচরণ করবেন। একটি শান্ত ও প্রেমময় পরিবারে মেয়ের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির বেশি সম্ভাবনা থাকে।
শিক্ষা এবং উন্নতি: কন্যা সন্তানের শিক্ষা প্রদান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের উন্নতি এবং মেধাবৃত্তির প্রস্তুতি করা হয়েছে।
সত্য এবং সদয় ব্যক্তিত্ব: কন্যা সন্তানকে সত্য এবং সদয় ব্যক্তিত্বের অনুশাসন করানো গুরুত্বপূর্ণ। তাদের শীলের উন্নতি এবং দুনিয়ায় এবং আখেরাতে সাফল্যের দ্বার খোলা হয়ে থাকে।
প্রেম এবং সহানুভূতি: কন্যা সন্তান কে প্রেম এবং সহানুভূতির সাথে পালন করা হচ্ছে। মাতৃভাষা এবং স্নেহ তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সদয় এবং দয়া: কন্যা সন্তানের প্রতি সদয় এবং দয়ার ভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতি সাহানুভূতি ও প্রয়োজনীয় সাহায্য করা উচিত।
শ্রদ্ধা ও বাধ্যতা: ইসলামে কন্যা সন্তানকে শ্রদ্ধা এবং বাধ্যতা প্রদান করা হয়। তাদের বাধ্যতা এবং আদরের মাধ্যমে সঠিক সাহায্য এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রদান করা যায়।