মুসলমানদের সাথে সম্পর্কের জন্য এবং সঠিক পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য কালেমা শাহাদাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ আজকে আমরা আলোচনা করব মুসলমানদের জন্য এই অমর বাণী নিয়ে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে নতুন অধ্যায় এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি
কলেমায়ে শাহাদাত হল মুসলমানদের জন্য চাবিকাঠি পৃথিবীর বুকে চাবি দিয়ে যেমন প্রতিতালার খোলা হয় ঠিক তেমনিভাবে কালিমায়ে শাহাদাত দিয়ে জান্নাতের দরজার তালা খোলা হয় মুসলমানদের জন্য কলেমায়ে শাহাদাত নিজের তিলাওয়াত করা অপরকে তিলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া এবং আমাদের মধ্যে নতুনত্ব তৈরি করে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সবথেকে বড় মাধ্যম হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতদেরকে এই কালিমা শিখেছেন
কালেমা শাহাদাত আরবি
আরবি : اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেখানে মারতে পারবি তাই ওরকম সাল্লাহু সাল্লাম কে জানতে হলে সালাম কে আমাদেরকে আরো ভালোভাবে জানতে হলে আরবি সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে তার ব্যক্তি ভাষা যে ভাষা মুসলমান হিসেবে আমাদেরকে খ্যাত করা উচিত জন্য আলোচনা করা হলো
তবে বাঙ্গালীদের জন্য আরবির পাশাপাশি বাঙালের উচ্চারণের সুবিধার জন্য বাংলা ভাষা ব্যবহার করাও ভালো যাতে করে খুব সহজে সরল মনে আমাদেরকে বাংলা ভাষার মাধ্যমে সেটা আমরা আত্মস্থ করতে পারি তাই বাংলা ভাষার মধ্য দিয়েও কালিমায়ে শাহাদাত সম্পর্কে আমরা জানতে পারব
কালিমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু’
- কালিমায়ে শাহাদাত এর বাংলা উচ্চারণ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের ভাষা বাংলা আমরা অনেকেই আরবি ভালোভাবে পড়তে পারি না এজন্য আমাদের বাংলা ভাষায় যদি আমরা কলেমায়ে শাহাদাত কে ভালোভাবে উচ্চারণ করে নিতে পারি তাহলে পরবর্তীতে আমরা আরবি দেখে পড়তে খুবই সহজ হবে এজন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো কলেমায়ে শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ
কালিমা শাহাদাত অর্থ কি
শাহাদাত অর্থ কিঅর্থ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপায় এবং তাঁর কোন শরীক নাই আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল
- এটার অর্থ একটি দূরদর্শী সম্পন্ন অর্থ কারণ এখানে বলা হচ্ছে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে রবের কোন শরীক নাই যে রবের কোন সৃষ্টিকর্তা নিজের কোনো সন্তান নেই যেকোনো প্রতীকী নেই আমি আমার সৃষ্টিকর্তা বলে মানতে এটাই কালিমায়ে শাহাদাত এর অর্থের তাৎপর্য এবং আরো এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে যে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম তাঁর বান্দা এবং এটা মেনে নেওয়া এটাই কালিমায়ে শাহাদাত এর তাৎপর্য
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব যিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেন নাই তিনি আমাদেরকে যে আস্থা বিশ্বাস এবং ভালবাসার জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন তার প্রতি সেটার জন্যই আজীবন তিনি আমাদের মনের ভিতর থাকবেন এবং তিনি আমাদের নবী তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক তিনি আমাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য অনেক হাদীস বলেছেন অনেক দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেছেন
আমাদের ধর্ম ইসলামকে প্রকৃতপক্ষে জানতে হলে তিনটি বিষয় ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে এক সততা পবিত্রতা ও প্রেম
সততা হলো এমন একটি প্ল্যাটফরম যে প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আপনি আপনার নৈতিকতাকে বজায় রেখে সামনে এগিয়ে চলতে পারবেন যেটা ইসলাম সবসময়ের জন্যই দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর ভিতরে এমন একজন ছিল যে গুণের মাধ্যমে তিনি সকল বিষয় করতেন তার সততার মাধ্যমে
কালিমায়ে শাহাদাত এর সব থেকে বড় গুণ হলো এটি এমন একটি কালিমা যেটা পড়ে মানুষ মুসলমান হয় যেটি পড়ে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষ্য দেয় যে একমাত্র তুমি আল্লাহ দুনিয়া এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার বান্দা ও রাসূল
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আমাদেরকে বলেছেন যে তোমরা সঠিকভাবে জিকির কর জিকির মাধ্যম যেন হয় মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সাক্ষ্য দিয়ে তিনি এক তার কোন শরীক নাই এবং তিনি আমাদের রব
এই হল নবী-রাসূলগণের মূলমন্ত্র আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন হযরত আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করলেন তখন তাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ হযরত আদম আলাই সালাম এর পরে যত নবী রাসুল গাউস কুতুব মিনার এই পৃথিবীতে এসেছেন তার দাওয়াত দিয়েছিলেন সর্বশেষ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম উনাদেরকে এটাই দায়িত্ব দিয়েছিলেন যে কাজ বর্তমান আমরা করে থাকে যা আমাদেরকে নতুনত্ব শিখায় ভাল কাজের আদেশ অসৎ কাজে নিষেধ করা প্রত্যেকটি পারিভাষিক ক্ষেত্রে এগুলো আমাদেরকে শিখাইতেন
কালেমা শাহাদাতে আছে খোদার জ্যোতি
মুসলমান মুসলমানের ভাই এ কথাটা যেমন সত্য তার থেকেও প্রিয় সত্য হলো এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া
বর্তমান বহির্বিশ্বে এটি সবথেকে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে যে আজ মুসলিমদের একতাবদ্ধ না থেকে আলাদা আলাদা ভাবে ছড়িয়ে পড়া এবং সামান্য জিনিস নিয়ে তর্ক-বিতর্ক মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্ককে ভেঙে ফেলা মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয় নি আর এই ভ্রাতৃত্ববোধ সবথেকে বড় মাধ্যম হলো কালিমা
হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহমাতুল্লাহ আলাইহির একটা নীতি রয়েছে যে নীতির মূল কথা হলো আল ইত্তেহাদ মা’য়াল ইখতেলাফ
অর্থাৎ মতানৈক্যসহ ঐক্য
অর্থাৎ কালিমার ভিত্তিতে একত্রিত হওয়া এই মুসলমানদের ভিতরে যে ইউনিটি না থাকার প্রবণতা রয়েছে সেই প্রবণতাকে বেরিয়ে আমরা একতাবদ্ধ হতে চাই
হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর রহমাতুল্লাহ আলাইহি এটা আমাদের সর্ববৃহৎ একটা মাধ্যম দিয়ে গিয়েছেন যে আমাদের ভিতরে মতভেদ থাকতে পারে আমাদের ভিতরে একে অপরের সাথে মোটেও না মিলতে পারে কিন্তু আমরা সবাই কালিমা পড়েছি এই ভিত্তিতে আমরা সবাই আবার একতাবদ্ধ হতে পারি দাওয়াত দেইনি সারা জীবন দিয়ে গিয়েছেন কালিমার তাৎপর্য রয়েছে সেই উলামায়ে কেরামদের হাত ধরেই আমরা নতুন দিগন্তের পথে এগিয়ে যাব বলে আশা করি
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে দাওয়াত দিয়েছেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এই সর্ববৃহৎ মাধ্যম এই মানুষদেরকে একতাবদ্ধ হওয়ার আর একতাবদ্ধ হলেই কেবল অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারব সারা বিশ্বের মাঝে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবো