কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম , কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম , কালোজিরা আপনি আপনার প্রয়োজন অনু্যায়ী যেকোনো ভাবে ক্ষেতে পারেন। কালোজিরা খাওয়া সম্পর্কে আমার জানা কিছু পদ্ধতি নিচে লিখে দিলাম।

 


* অসুখ- বিসুখ এর জন্য আস্ত কালোজিরা চিবিয়ে অথবা কোন কিছু দিয়ে পিষে গুরো করে ক্ষেতে পারেন। বিভিন্ন রোগের জন্য কালোজিরার গুরো মধুর সাথে মিশিয়েও খাওয়া হয়।

 


কালোজিরার ভর্তা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের মায়েদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটা খাবার।
যাদের এলার্জি রয়েছে তারা কালোজিরার গুরো আর পেয়ারা পাতার রসকে মিশিয়ে প্রতি রাতে খেতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি অনেক ভালো উপকার পাবেন।

 

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

 


প্রতিরাতে কয়েকটা কালোজিরার সাথে এক টুকরো পিঁয়াজ খেলে এটা যৌবন শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
তাছাড়া বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য কালোজিরা ব্যবহার করা হয়।
ধন্যবাদ



কালোজিরা তেল কোথায় পাবো

 


কালোজিরা তেল কোথায় পাবো উওর হলো আমি আগের পোস্টে বলেছি। তার পড়ে এক বার বলে দেই আপনি নিজে খোলা কালোজিরা কিনে এর পড়ে মিলে গিয়ে তেল তৈরি করে নিতে পাড়েন। এটা সম্পর্কে আমি বলেছি। আর এই টা সব থেকে কাজ আপনি ভালো কালোজিরা তেল পাবেন মনে করি।


আমি সব থেকে বেশি এটা নিয়ে আমার এই ওয়েবসাইট ব্লগ পোস্ট লিখেছি এর কারণ হলো এর উইপোকারিতা বেশি তাই এটা সম্পর্কে পোস্ট করেছি বেশি আমার কথায় কোনো বেজাল নেই। আর বেজাল পেলে বলে দিয়েন কমেন্ট এর মাধ্যমে জানান। আমি শুধরিয়ে নিব।


স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিঃ


এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত খাবেন। যা আপনার দুশ্চিন্ত দূর করবে। এছাড়া এটি মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

 


২।মাথা ব্যাথা নিরাময়েঃ
১/২ চা চামচ কালোজিরা তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ খেলে মাথা ব্যথায় উপকার পাবেন।


৩।সর্দি সারাতেঃ
এক চা চামচ কালোজিরা তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার খেতে হবে এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার তেলের সাথে দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হবে।



কালোজিরা তেল কী করে তৈরি হয়
কালোজিরা তেল আপনি বাজার গেলে বোতল বিক্রি করে থাকে আপনি তাদের বিশ্বস করে চাইলে কিনতে পারেন। আর বিশ্বাস না করলে আপনি নিজে খোলা কালোজিরা কিনে তরা পারে তৈরি করে নিন।

 


আমি আপনাদের কাছে একটা কথা বলি। কালোজিরা খেলে আপনার উইপোকার হবে এটা ১০০% সঠিক ভাই কিন্তু দুঃখের বিষয় হলে আমি এখোন এই কালোজিরা খাই না। কিন্তু সামনে দিকে নিয়মিত খাবো এটা বলে রাখা ভালো। আমি আনেক আগে খেয়েছিলাম এই কালোজিরা তখন বেশি ভালো লাগতে না করোন ছোট ছিলাম বলে।




৪।বাতের ব্যাথা দূরীকরণেঃ
আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন উপকার পাবেন। এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরা সমপরিমান মধু মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।


৫।হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেঃ
এক চা চামচ কালোজিরার গুড়া এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২ বার করে ৪/৫ সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

 


৬।ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতেঃ
প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যের তাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 


৭।পাইলস সমস্যা নিরাময়েঃ
এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তিলের তেল, এক চা চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।



কালোজিরা তেল কোথায় ভালো মানের পাওয়া যায়
কালোজিরা তেল কোথায় ভালো মানের পাওয়া যায় আপনি নিজে যেটা মিল থেকে তৈরি করবেন সেটা ভালো হবে। এই ছারা আপনার কোন ভালো তেল নেই বলতে আছে কিন্তু কিছু টা হলেও বেজাল থাকতে পাড়ে বুঝতে পারছেন আসা করি

 


আমি আপনাদের কে এটা কথা বলি সব সমায় সত্যি কথা বলার চেষ্টা করবেন। তাহলে যা হবে তা হলো আপনার জীবন আনেক সুন্দর হয়ে যাবে। এটা সত্যি কাথা এটা মনতে হবে আপনাকে তাই সব সমায় সব এস্থানো সত্যি কাথা বলবেন।




৮।শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে:
যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা উপশম করে।

 


৯।ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ
ডায়াবেটিস রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালোজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২ বার করে খেলে উপকার পাবেন।

 


১০।যৌন সমস্যা সমাধান করেঃ
কালোজিরা নারী পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। এক চা চামচ মাখন,এক চা চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরা ও মধুসহ দৈনিক ৩ বার ৪/৫ সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।


১২।অনিয়মিত মাসিক সমস্যায়ঃ
এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে খেলে কার্যকারীতা বুঝতে পারবেন।

 


স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: আজকাল একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষই স্মরণশক্তি সমস্যায় ভোগে ছোট থেকে বড়। যেমন, ছোটদের পড়াশোনা অমনোযোগিতা এবং বড়দের স্মরণশক্তিতে চাপ বেড়ে গেছে যে অনেক সময় অনেক কিছু ভুলে যায়।

 

এই জন্য আপনি যদি এই তেল নিয়মিত সেবন করেন এটি স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকরী।স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা তেল সেবন করার নিয়ম: মধু অথবা পুদিনা পাতার রস, কমলালেবুর রস, এই তেলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে 1 চা চামচ সেবন করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।



১৩।বুকের দুধ বৃদ্ধি করতেঃ
যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে।

 


১৪।আমাশয় নিরাময়েঃ
আমাশয় রোগের চিকিৎসা করতে কালোজিরার ব্যবহার অনেক পুরোনো। এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ খাবেন।

 


প্রচন্ড মাথা ব্যথা : মাথা ব্যাথা দূর করতে কালোজিরার ভূমিকা অপরিসীম। অনেক সময় যাদের হঠাৎ মাথা ব্যাথা করে তারা কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে প্রলেপ দিলে মাথা ব্যাথা থাকে পরিত্রান পাওয়া যায়। এছাড়াও তারা যদি প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবন করলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ফলে মাথাব্যথা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।

 


বাত ব্যথায়: বাত ব্যথা আজকাল বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছোট থেকে বড় সব ধরনের মানুষেরই হয়ে থাকে । তবে যারা বাতব্যথায় সমস্যায় আছেন তারা ব্যথার স্থানে নিয়মিত এই তেল মালিশ করলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়।

 


১৫।শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতেঃ


দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে এটি। তবে দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়।


চর্মরোগ সারাতে: যাদের চর্ম রোগের সমস্যা ও শরীর চুলকায় তারা যদি নিয়মিত কালো জিরার তেল মালিশ করেন তাহলে চর্মরোগ চুলকানির সমস্যা দূর হয়।

প্রস্রাবের সমস্যা: যাদের প্রস্রাবের সমস্যা রয়েছে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় না তারা যদি নিয়মিত কালিজিরা খান তাহলে প্রস্রাব পরিষ্কার হবে।

পেট খারাপের সমস্যা: যারা পেট খারাপের সমস্যায় ভুগতেছেন তারা 500 গ্রাম কালিজিরা শুখিয়ে গুরু করে 5 থেকে 7 চামচ দুধের সাথে 2 চামচ কালো জিরে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক টানা সাতদিন খেলে পেট খারাপের সমস্যা দূর হয়