কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো , স্বাভাবিক নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম। স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে এর মান ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম।
একটা কিডনী যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক।
কিশোরদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৫-১.০ মিলিগ্রাম
শিশুদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম/ডিএল
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
পুরুষদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক রেঞ্জ হলো ০.৭ থেকে ১.৪। আর নারীদের ০.৬ থেকে ১.২ mg/dL। যদি এই মাত্রাটি ৬ থেকে ১০ mg/dL হয়ে যায়, তসহলে বুঝতে হবে কিডনির ক্ষমতা অনেকাংশে কমে গেছে। এই স্বাভাবিক রেঞ্জটি রক্তে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করলে বোঝা যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিন ৫.০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হলে কিডনী ড্যামেজ হয়েছে বুঝা যায়।পুরুষের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক রেঞ্জ ০.৭ থেকে ১.৪ এবং নারীর ০.৬ থেকে ১.২ mg/dL। যখন এ মাত্রাটি ৬ থেকে ১০ mg/dL হয়ে যায়, বুঝতে হবে কিডনির ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এ স্বাভাবিক রেঞ্জটি রক্তে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করে বোঝা হয়।
পুরুষের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক রেঞ্জ ০.৭ থেকে ১.৪ এবং নারীর ০.৬ থেকে ১.২ mg/dL। যখন এ মাত্রাটি ৬ থেকে ১০ mg/dL হয়ে যায়, বুঝতে হবে কিডনির ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
এ স্বাভাবিক রেঞ্জটি রক্তে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করে বোঝা হয়। নাম : সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট। এটি এ মাত্রায় থাকলে বুঝতে হবে হেলদি কিডনি। কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাই চিকিৎসকরা শরীরে কতটুকু ক্রিয়েটিনিন আছে, সেটা জানার চেষ্টা করে।
শুধু কিডনির স্বাস্থ্য কেমন, এটি দেখতে রক্তে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করা হয় না। চিকিৎসকরা কারও ওভারঅল স্বাস্থ্যের কন্ডিশন বুঝতে রুটিন পরীক্ষা হিসাবে রক্তের ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করেন। কারণ দেখা গেছে শরীরে কিছু ক্রনিক স্বাস্থ্য প্রবলেম, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, হাই ব্লাড প্রেশার, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, এমনসব সমস্যা থাকলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যায়।
ডায়ালাইসিস করতে কত টাকা লাগে
সপ্তাহে যদি তিন খরচ পড়বে এক হাজার ৮০০ টাকা। মধ্যবিত্তদের জন্য প্রতি সেশনের ফি হলো যথাক্রমে এক হাজার ও এক হাজার তিনশো টাকা। আর উচ্চ-মধ্যবিত্ত এবং ধনীদের জন্য প্রতি সেশনের ফি যথাক্রমে ২,০০০ ও ২,৫০০ টাকা।
ডায়ালাইসিস মেশিনের দাম কত
একটি ডায়ালাইসিসি মেশিনের দাম হলো দশ লাখ টাকা।কিছু কম-বেশও হতে পারে।
এ কারণে কিডনির সঙ্গে হার্ট, লিভার, ব্লাড ইত্যাদি এবং ওভারঅল স্বাস্থ্য কেমন, এটি বুঝতে ডাক্তাররা একটি টেস্ট দেন, যে টেস্টটির মাধ্যমে শরীরে ১৪টি রাসায়নিক উপাদানের কতটুকু উপস্থিতি আছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হয়। একে বলে CMP বা কম্প্রিহেন্সিভ মেটাবলিক প্যানেল। গ্লুকোজ, প্রোটিন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, এলবুমিন, ক্রিয়েটিনিন, রক্তে এমনসবের উপস্থিতির মাত্রা পরীক্ষা করা হয়।
রক্তের এমন টেস্টটি করার পর যদি দেখে যে রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেভেল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি, তখন চিকিৎসকরা কিডনির অবস্থা আরও ভালোভাবে বুঝতে রোগীর অন্য উপসর্গ অনুযায়ী চার ধরনের ক্রিয়েটিনিন টেস্টটার একটি বা একাধিক করতে দেন।
ব্লাড বা সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট, ইউরিন ক্রিয়েটিনিন টেস্ট, ক্রিয়েটিনিন কাইনেজ টেস্ট-এক ধরনের নির্দিষ্ট প্রোটিনের পরিমাণ দেখতে, ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স টেস্ট।
ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা
ডাবের পানি,কলা, ফলমূলে পটাশিয়াম বেশি থাকে। নাশপাতি,আপেল,পেঁপে, পেয়ারা, অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।এগুলো খেতে পারেন।তবে প্রক্রিয়াজাত খাবার বা কৌটাজাত খাবার ও জাঙ্ক ফুড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া যাবে না।
ডায়ালাইসিস ছাড়া কিডনি চিকিৎসা
কিডনি রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস অবশ্যই প্রয়োজন হতে পারে।তবে কিডনি রোগীদের সাধারণত ডায়ালাইসিস ছাড়াও চিকিৎসা করা যায়। ডায়েট ও পরিবর্তনশীল জীবনযাপনের মাধ্যমেও কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । কিডনি রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসায় ডায়েট কন্ট্রোল করা হয় যাতে তাদের কিডনি ব্যবহার হ্রাস পায়।
টেস্টে ক্রিয়েটিনিন লেভেল নরমাল চেয়ে সামান্য বেড়ে গেলে চিন্তার কারণ নেই। এমন বেড়ে যাওয়া মানে কিডনি খারাপ হয়ে গেছে, এমনটি ভাবার কারণ নেই। অনেকসময় কিছু কারণে রক্তে এমন ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যেমন-টেস্টটার আগের কয়েকদিন আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন বা অনেক পরিশ্রমের কাজ করেছেন। এমন অবস্থায় ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
কারণ আপনার মাসল অনেক বেশি ক্রিয়েটিন ব্যবহার করছিল ব্যায়াম কিংবা কাজ করতে, অনেক বেশি পরিমাণ ক্রিয়েটিনিন স্বল্প সময়ে শরীরে তৈরি হয়েছে, যা এখনো শরীর থেকে বের হয়নি। টেস্টের আগে নিয়মিত বেশি পরিমাণ সি-ফুড কিংবা রেড মিট অনেক খেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন সাময়িক বেড়ে যেতে পারে। কিছু কিছু মেডিসিন রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যেমন- এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট, এন্টিবায়োটিকস।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যাওয়া মানেই কিডনি শেষ হয়ে গেছে, এমনটি ভাবার কারণ নেই। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন, বেড়ে যাওয়ার সঠিক কারণটি খুঁজে বের করুন এবং সেটির ট্রিটমেন্ট করুন।
লেখক: ইংল্যান্ডে কর্মরত চিকিৎসক