কিসমিস কিভাবে তৈরি হয়,বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস

কিসমিস কিভাবে তৈরি হয় , কিশমিশ বা কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কিসমিস কিভাবে তৈরি হয়



আঙুর শুকিয়ে কিসমিস তৈরির পালা। সেজন্য বড় ছিদ্রওয়ালা একটি ঝুড়ি বা চালুনির উপরে পাতলা সুতি কাপড় বিছিয়ে নিন। কাপড়ের উপরে ফাঁকা ফাঁকা করে আঙুরগুলো রেখে কড়া রোদে দিন।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী দুই দিন পর্যন্ত শুকান।

এর মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে কিসমিস। যদি সামান্য ভেজা থাকে তাহলে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন। মুখবন্ধ বয়ামে দুই মাস পর্যন্ত বাইরে রেখে খেতে পারবেন ঘরে তৈরি কিসমিস। দীর্ঘদিন ধরে খেতে চাইলে ফ্রিজে রাখুন। ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।

সোনালি এবং কালো কিশমিশ উভয়ই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। যাইহোক, কালো কিশমিশে সোনালী কিশমিশের চেয়ে সামান্য বেশি ফাইবার এবং আয়রন থাকে ।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং লোহা সুস্থ রক্ত ​​​​কোষের জন্য প্রয়োজনীয়।

সুলতানা ও কিসমিস এর মধ্যে পার্থক্য কি
একটি কিশমিশ একটি শুকনো সাদা আঙ্গুর, প্রধানত Muscatel জাতের। সুলতানা হল একটি ছোট কিশমিশ, এগুলি বীজহীন এবং মিষ্টি এবং প্রধানত তুরস্ক থেকে আসে ।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি স্রোত একটি শুকনো লাল আঙ্গুর, মূলত গ্রীস থেকে।

ফুটন্ত পানিতে ১ কেজি আঙুর দিয়ে দিন। এবার আবারও বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বলক আসার সঙ্গে সঙ্গে আঙুর ভেসে উঠবে। আঙুরগুলোর মাঝে ফাটলও দেখা দেবে।
এরপর পানি থেকে আঙুরগুলো উঠিয়ে চালুনির মধ্যে নিয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন।

এবার আঙুর শুকিয়ে কিসমিস তৈরির পালা। বড় ছিদ্রওয়ালা একটি ঝুড়ি বা চালুনির উপরে পাতলা সুতি কাপড় বিছিয়ে নিন। কাপড়ের উপরে ফাঁকা ফাঁকা করে আঙুরগুলো রেখে কড়া রোদে দিন।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী  দুই দিন পর্যন্ত শুকান। ব্যস তৈরি হয়ে গেল কিসমিস। আর যদি একটু ভেজাও থাকে তবে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন