কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়,বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস

কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় , ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কামড়ের আগেই টিকা—০ ও তৃতীয় দিন;বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এরপর আক্রান্ত হলে ০, ৭ ও ২১/২৮তম দিন। * শুধু গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের পর যদি সেই প্রাণী পরবর্তী ১০ দিন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, তবে ১৪ ও ২৮তম দিনের টিকা না দিলেও হবে।

 

কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়



কামড় যদি গভীর হয় বা যদি রক্ত বের হয় তবে, ক্ষতস্থানের পাশে রেইবিজ ইমিউন গ্লবিউলিন বা আরআইজি ভ্যাকসিন দিতে হয়। পাশাপাশি অ্যান্টি রেইবিজ ভ্যাকসিনও দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত বুকের উপর কামড় বা আঁচড়ের দাগ দেখা যায়

কুকুর কামড়ানোর জায়গায় প্রথমেই কাপড়কাচার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং  ক্ষার যুক্ত সাবান দিয়ে প্রবহমান পানিতে ফেনা ফেনা করে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধুয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।



কামড় যদি গভীর হয় বা যদি রক্ত বের হয় তবে, ক্ষতস্থানের পাশে রেইবিজ ইমিউন গ্লবিউলিন বা আরআইজি ভ্যাকসিন দিতে হয়। পাশাপাশি অ্যান্টি রেইবিজ ভ্যাকসিনও দিতে হবে।



কুকুর কামড়ানোর দুই বছর পরে ভ্যাকসিন নিলে কী হবে? ভ্যাকসিন কি কাজ করবে?
কুকুর কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবে । তা না হলে, কুকুরটির যদি জলাতঙ্ক থাকে, আপনারও হতে পারে । ৭ বা ১০ বছর পরেও রোগের আক্রমণ প্রকাশ পেতে পারে ।




শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত বুকের উপর কামড় বা আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। কারণ তাদের উচ্চতা আর কুকুরের উচ্চতা কাছাকাছি। তবে, ঘাড়ের কাছে কামড় কিংবা আঁচড় লাগলে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দিতে হবে।



জলাতংকে আক্রান্ত মানুষের লক্ষণ



* পানির পিপাসা খুব বেড়ে যায়। রোগী পানি দেখলেই আতংকিত হয়, ভয় পায়।

* আলো-বাতাসের সংস্পর্শে এলে আতংক বেড়ে যায়।

* খাবার খেতে খুবই কষ্ট হয়, খেতে পারে না।



* মুখ থেকে লালা ঝরে।

* মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

* আক্রমণাত্বক আচরণ দেখা যায়।


মাথা বা গলায়, ঘাড়ে কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু করুন। পায়ে কামড়ালে কুকুর টিকে দশদিন লক্ষ্য করুন, সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে কিনা। কুকুর সুস্থ থাকলে ভ্যাকসিন না নিলেও চলবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং কুকুর শনাক্ত না করা গেলে সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন শুরু করতে হবে। বাঁদর, ভাম ইত্যাদি বন্য প্রাণী কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার।


মানুষসহ সকল গবাদিপশুর জন্য জলাতংক ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক রোগ। আক্রান্ত পশুর কামড়ে সুস্থ পশু বা মানুষের মধ্যে এ জীবাণু সংক্রামিত হয়। লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে মৃত্যুই এ রোগের নিশ্চিত পরিণতি।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)