কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা কী? কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম , জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে -যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখার জন্য দারুন উপকারী। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। অন্য এক গবেষণা বলছে, কুমড়ার বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কার্যকরী।
যাদের শরীরে ম্যাগনেশিয়াম কম থাকে তাদের ডায়াবেটিস দেখা দেয়। দিনের চাহিদা প্রায় ৩৭ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় ৩০ গ্রাম পরিমাণ কুমড়ার বীজে।এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা কী?
ডায়াবেটিসে উপকারি
ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও কুমড়োর বীজ খুব উপকারি। এটি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ কার্যকরী।
হাড় মজবুত করে
কুমড়ার বীজ খেলে হাড় মজবুত হয়। এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানটি হাড় শক্ত রাখতে উপকারী। হাড় ভাঙা এবং অস্টিওপরোসিসের মতো ঝুঁকি এড়াতেও তাই সাহায্য করে কুমড়োর বীজ।
ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজের সেরা উৎস হচ্ছে কুমড়ার বীজ। এ কারণে এটি খেলে হজম ভাল হয়। কুমড়ার বীজে ফসফরাসও পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
. কুমড়ার বীজ ওমেগা থ্রি’র ভালো উৎস হওয়ায় এটি মাংসপেশী নরম করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা জিঙ্ক এবং ফসফরাস হাড় মজবুত করে, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়।
কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে তখন মানসিক চাপও কমে যায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন- ক্যারোটোনয়েডস এবং ভিটামিন বি এর ভাল উৎস হওয়ায় কুমড়ার বীজ শরীরের যেকোন অংশকে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে। এসব ফ্রি রেডিকেল শরীরের সেল, প্রোটিণ এবং ডিএনএ’র ক্ষতি করে।
এছাড়া যেকোন ধরনের টিউমার , সংক্রমণ এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার জন্যও এসব ফ্রি রেডিকেল দায়ী। কুমড়ার বীজের মতো এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ খাবার খেলে এসব ফ্রি রেডিকেল প্রতিরোধ করে শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী রাখা যায়। সূত্র : ফুডপ্রিভেন্ট
শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়ায়
পুরুষরা বিশেষ করে ডায়েটে কুমড়োর বীজ রাখুন। এই বীজে ভালো পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক পুরুষের উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা এবং শুক্রাণুর গুণমান ও পরিমাণও বাড়ায়। আপনি যদি বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে নিয়মিত কুমড়ার বীজ খান।
ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইছেন? রোজ সকালে খালি পেটে কুমড়োর বীজ খান। এতে পাবেন ভালো পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার। কুমড়ার বীজ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। স্মুদি, কর্নফ্লেক্স, ওটসেও এটি মেশাতে পারেন।
কুমড়ার বীজে থাকা সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান, যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।
কুমড়ার বীজে রয়েছে ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন। যা পুরুষের প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কুমড়ার বীজ। তাছাড়া কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে।