কুরআন একটি পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে মুসলিমদের প্রমুখ ধর্মীয় গ্রন্থ।কুরআন নিয়ে উক্তি, এটি ইসলামী ধর্মের প্রধান শ্রুতি এবং স্মৃতি গ্রন্থ। কুরআন মুসলিমদের হৃদয়ে বহুত বিশেষ স্থান ধারণ করে এবং তাদের ধর্মীয় জীবনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
কুরআন মুসলিমদের মানবতার প্রতি আদর্শ শিক্ষা, দয়া, পরিচয়, ধর্মীয় প্রতিজ্ঞা এবং অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়ে নির্দেশিত করে। ইসলামে এটি আল্লাহ (আরবি: الله) দ্বারা নাযিল করা মনে করা হয়। কুরআন মুসলিমদের সমগ্র জীবনে নির্দেশনা দেয়, যা একটি প্রতিস্থানবোধ, শাস্তি, অনুগ্রহ এবং অনুশাসনের সমন্বয়ে প্রবৃদ্ধির পথে মানুষকে নির্দেশ করে।
কুরআনের ভাষা আরবি, এবং মুসলিম সারাধর্মী মানুষের জন্য এটি অনুবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়, যাতে তাদের অনুভূতি এবং বুঝতে সহায়ক হয়। কুরআন প্রধানত সূরা (অধ্যায়) বায়ান্ন হয়, যা কুরআনের প্রধান ভাগ। এটি 114 সূরা থাকে, যা আলাগ আলাগ বিষয়ে কথা বলে।
কুরআন একটি অত্যংশ গ্রন্থ, যা মুসলিম উম্মাহের প্রতি ধর্মীয় প্রকাশনা এবং তাদের আদর্শ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য প্রদান করে। এটি কোরানী আয়াত, মুহাদিস এবং তাফসীর বিষয়ে নিবন্ধ এবং গবেষণা উপকরণ দ্বারা বিস্তারিত অনুধাবন হয়ে থাকে।
মুসলিমদের জীবনে কুরআন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন প্রার্থনা, রোজা, সাকাত, হজ্জ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দেয়। এটি ধর্ম, সমাজ, আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত বিকাশে মুসলিমদের জীবনে প্রভাব ফেলে।
কুরআন নিয়ে ১০ টি উক্তি
কুরআন একটি বিশাল গ্রন্থ, যাতে অগণিত উক্তি রয়েছে। তবে, নিম্নলিখিত ১০টি উক্তি কুরআন থেকে নেওয়া হল:
ইন্নামা অমালু বিনিয়াত: “অবশ্যই, অমল কেবল উদ্দীপনা বা দৃঢ় ইচ্ছা দ্বারা বংশও করা সহ অন্য কিছু নয়” (সূরা আন্নাম, আয়াত ১৪১)
ইন্নামা মা কানীমা: “অবশ্যই, কানী মাত্রই হৃদয়ের অভাবের জন্য নয়।” (সূরা দহর, আয়াত ৮৪)
ওয়াতাকুর রব্বক হতাফিজা: “আর তোমার রবকে ভাল রক্ষা কর” (সূরা ইনশিরাহ, আয়াত ১)
ফাবি আইয়ালাই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবা: “তোমরা আপনাদের রবের কাছে কোন প্রভুত্ব প্রদর্শন করেন না?” (সূরা অর-রহমান, আয়াত ৫৫)
ইন্না মা উয়াদ্দুহু স্যায়িআতা: “অবশ্যই, আমরা তাদের উপর সেও বড় উয়াদ্দিত করেছি” (সূরা আলক, আয়াত ১৫)
ইন্নাহু আলিমুল গুয়ুব: “অবশ্যই, আল্লাহ সম্পূর্ণ প্রভাবশালী মনীষী” (সূরা মুমতাহিনাহ, আয়াত )
ইন্না আল্লাহ মা আসাবীনা: “অবশ্যই, আল্লাহ সম্পূর্ণ জ্ঞাত” (সূরা আলবাকারাহ, আয়াত ২৪২)
ওয়ামা অবর্টুম মিন শায়িতানিউই নাজম: “এবং আমি তাদের প্রভুত্বতা প্রদর্শন করেনি, যেমন এক শায়িতান জ্বালা তারা থেকে না” (সূরা অন-নাজম, আয়াত ২১)
ইন্নাহু মাইয়তুন সকুম: “অবশ্যই, আল্লাহ সম্পূর্ণ প্রবৃত্তি জানেন” (সূরা ত্বাহা, আয়াত ১৩)
ইন্না মা আল্লাহু হুয়ুব: “অবশ্যই, আল্লাহ সম্পূর্ণ আলোকিত” (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩৫)
এগুলি কেবল কিছু উক্তির উদাহরণ এবং কুরআনে আরো অনেক উক্তি রয়েছে, যা মুসলিম উম্মাহের জীবনে প্রভাব ফেলে। কুরআন পূর্ণ
কুরআন নিয়ে ইসলামিক উক্তি
কুরআন একটি পবিত্র গ্রন্থ, যা ইসলামের প্রাথমিক স्रোত হিসেবে মুসলিমদের জীবনে অনুভব এবং পরিচয় প্রদান করে। ইসলামের ধর্মীয় শিক্ষা, সামাজিক নীতি, নৈতিকতা, আদর্শ ও অন্যান্য মূল সংকল্পনা কুরআন থেকে উত্স ধারণ করে। নিচে কিছু ইসলামিক উক্তি, যা কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছে:
“আল্লাহ তোমাদের জন্য এটি দ্বারা সহযোগীতা প্রেরণ করলেন যাতে তিনি অন্তর্জাতিক সাক্ষরতা এবং জ্ঞানে তাদের উন্নত করতে পারেন।” (সূরা বাক্যা ২:১২৪)
“তোমাদের জন্য এই কুরআনে এমন আয়াত আছে যা সত্য এবং উপদেশময়।” (সূরা আন-নাম, আয়াত ১০৪)
“আল্লাহ বিশেষভাবে তাদের জন্য কুরআন নাযিল করেছেন যাতে মানুষরা তাদের অধিকারপ্রস্তুতি করে ও অন্যায় করে না।” (সূরা আল-আহকাফ, আয়াত ২৭)
“এই কুরআন হতে সত্য আসলে আমরা আপনাদের জন্য পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ প্রদান করেছি।” (সূরা যাসীন, আয়াত ১৭)
“কুরআন একটি উপদেশময় গ্রন্থ যা প্রভুত্বশালী ও জ্ঞানী আল্লাহ দ্বারা নাযিল করা হয়েছে।” (সূরা ত্বাহা, আয়াত ২)
“এই কুরআন হতে মহান সত্য এবং উপদেশময় সংকল্পনা প্রদান করা হয়েছে তাতে মমিনের জীবনের প্রকৃতি ও পরিকল্পনা তীর্থ করা হয়েছে।” (সূরা সৈয়েদ, আয়াত ৲৬-৭)
“কুরআন হতে এমন আয়াত আছে যা মনীষীদের জ্ঞানে প্রভাব ফেলে।” (সূরা আর-রহমান, আয়াত ৫৭)
“এই কুরআন আমরা সত্যতা এবং জ্ঞানে উচ্চতর উত্থানের জন্য পাঠিয়েছি।” (সূরা আল-হাশর, আয়াত ২৪)
“এই কুরআন হতে নানাবিধ পরামর্শ এবং সত্যের প্রমাণ বোধ হয়।” (সূরা সাদ, আ
কুরআন নিয়ে উক্তি ইসলামিক
কুরআন একটি পবিত্র গ্রন্থ, যা ইসলামী উক্তি এবং শিক্ষা প্রদান করে। নিচে কিছু ইসলামিক উক্তি কুরআন থেকে উদ্ধৃত করা হল:
“হিসাবের দিনে কোন ব্যক্তির প্রতি কোন প্রভাবশালী পদার্থ পাওয়া যাবে না, কিন্তু কেবল তাদের যে লোকজন সৎকর্ম করে এবং ঈমান ধারণ করে।” (সূরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত ৯-১০)
“তুমি সত্যিই দেখতে যেমন প্রকাশিত হয়েছে, তোমরা দেখতেই যেমন দৃষ্টান্তিত হয়েছে, সেই ভাবে সত্যিকারের সম্পর্কেও আল্লাহ তোমাদেরকে জ্ঞানী করেছেন।” (সূরা অর-রহমান, আয়াত ১৩)
“অবশ্যই, মনীষী মানুষ প্রস্তুতি করে তার মনের উদ্দেশ্যে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি করে।” (সূরা আল-মুল্ক, আয়াত ১০)
“যে কেউ সত্যিকারের পথে পদচার করে, তার জন্য জীবন জীবনের উজ্জ্বলতা এবং আশার মার্গ রয়েছে।” (সূরা আন-নহল, আয়াত ১১)
“তুমি আল্লাহ দ্বারা সহায়তা প্রাপ্ত করেছ, তাহলে তুমি কাউকে কোন মাধ্যমে সাহায্য করতে পারবে না।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৬)
“আল্লাহ জানে তোমরা কী করো, কেননা তিনি তোমাদের হৃদয়ের সংকল্পনা দৃষ্টিতে অবশ্যই জানেন।” (সূরা আন-নহল, আয়াত ১৭)
“তোমরা আল্লাহর কাছে কখনও বাধ্য করা হবে না যে তুমি কয়েক লোককে সম্মান করতে পারো এবং অপর কয়েকজনকে অবমাননা করো।” (সূরা আন-নহল, আয়াত ৮৪)
“সাবর ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করো।” (সূরা বাক্যা, আয়াত ১২৪)
“আল্লাহ প্রত্যেক প্রাণীর আত্মা বিচার করে।” (সূরা আল-ইসরা, আয়াত ১৫)
কুরআন নিয়ে কিছু কথা
কুরআন হলো মুসলিমদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ এবং এটি ইসলামের প্রাথমিক উপদেশক মুহাম্মদ (সাঃ) দ্বারা আল্লাহর দ্বারা নাযিল করা বলা হয়ে থাকে। এটি আরবি ভাষায় লেখা এবং 114 সূরা থাকে, যা অধ্যায় বা বিভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। কুরআনে অধিকাংশ আয়াত রিপেটিটিভ হয়ে থাকে এবং মোট 6,236 আয়াত থাকে কুরআনে।
কুরআনে প্রচুর ধর্মীয়, নৈতিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক ও নীতিমূলক বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। কুরআন সাধারণভাবে দুই অংশে ভাগ করা যায়: ঈমানী বিষয়গুলি (যার মধ্যে আল্লাহের অস্তিত্ব, আখেরাত, মলাইকা, প্রফেত ইত্যাদি) এবং আদর্শ পরিপ্রেক্ষিত বিষয়গুলি (যার মধ্যে নেতিবাচক শিক্ষা, মানবিকতা, প্রাকৃতিক বিশ্বাস, সমাজ ব্যবস্থা, ন্যায় এবং অপরাধের শাস্তি ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কুরআনে বলা হয়েছে যে এটি সমস্ত মানবজনের জন্য সত্যিই মার্গদর্শক, যারা নৈতিকতা, ধর্ম, সামাজিক মর্যাদা, আত্ম-উন্নতি, ব্যক্তিগত উন্নতি এবং দৈনন্দিন জীবনে সংঘর্ষের সময়ে সহায়ক। এটি সমস্ত মানবজনের মধ্যে প্রেম, সহানুভূতি, শান্তি এবং বিশ্বাসের ভাবনা প্রচুর করে। কুরআনের মধ্যে নেতিবাচক কিছু সূত্রের মধ্যে এটি বলা হয়েছে:
“আল্লাহ হৃদয়ের সমস্ত প্রকাশে অবশ্যই জানেন।” (সূরা গাফির, আয়াত ৬১)
“সত্যিই, আল্লাহ সমস্ত প্রকারের ধৃতিশীল।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৫)
“আল্লাহর প্রতি আপনার প্রার্থনা করুন এবং সময় কাটানোর জন্য বিনয় করুন।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫৪)