কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত,বিখ্যাত ইসলামিক মনীষীদের স্ট্যাটাস

কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত
কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

কুরআনে কুরবানী সম্পর্কে বিভিন্ন আয়াত রয়েছে। কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত,এই আয়াতগুলি ইসলামী ধর্মে কুরবানীর প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। একটি প্রমুখ আয়াত হল:

সুরা হজ্জ, আয়াত ৩৪:
“ও নিশ্চয়ই আমার নামে পশু কুরবানী করো।”

এই আয়াতে, আল্লাহ মুসলিম বেলিয়ারদের নিশ্চয়ই তাঁর নামে পশু কুরবানী করার অনুমতি দেন। এটি ঈদ-উল-আযহা বা কুরবানী ঈদের সময়ে মুসলিম সমাজের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি মৌলিক প্রক্রিয়া, যা বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সুরা কওসার, আয়াত ২-৩:
“প্রত্যাশা করি সে বক্রীর দিকে, আমি তাঁকে নিশ্চয় কষ্ট দেওয়ার। তার জন্য তোমরা তোমার প্রত্যাশা অর্জন কর।”

এই আয়াতে, আল্লাহ মুহাম্মদ (সাঃ) এর দ্বারা কৃত্রিম কুরবানী বা নষ্ট কুরবানীর মানুষের উপর নিকট মনোয়োগ দেন। এই আয়াতটি মুসলিমদের বক্রীর দিকে প্রত্যাশা করার উপদেশ দেয়, যাতে তারা সত্যিকারের কুরবানী করতে পারে এবং তাদের প্রত্যাশা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

এই আয়াতগুলি মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত এবং কুরবানীর প্রস্তুতি এবং গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়। কুরবানী একটি প্রাচীন ঈদ উৎসব, যা মুসলিম সমাজে প্রতিবছরের ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রচলিত।

 

কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের কিছু আয়াত

কুরআনে কুরবানী সম্পর্কে কয়েকটি আয়াত উদ্ধৃত করা হলেঃ

সুরা আন-নাম, আয়াত ৡৠ:
“এই অবস্থায় সেই পশুগুলির মাংস খাওয়া অপরাধ করা নয়, কিন্তু অপরাধ করা হয় যারা আল্লাহর আয়াতগুলি পরিপালন না করে এবং তাঁর বায়তুল্লাহের সূর্য দ্বারা সন্ধ্যা ও সকালে দীর্ঘ সময় পালন করেন।”

সুরা আন-নহল, আয়াত ১০২:
“বল, আল্লাহ তোমাদের প্রস্তাবনা বা পিঠোড়া খাওয়া অনুমোদন করে না, তবে পক্ষপাতদৃষ্টিতে করলে সে তোমাদের করা করা হবে। আল্লাহ খাদের ও জানুর নেতা।”

সুরা আল-মা’ইদাহ, আয়াত ২৭:
“তাঁর প্রস্তুতিতে করার পূর্বে তাঁর দোকানের পাশাপাশি পাঁজি প্রস্তুতিতে করা উচিত নয়, সেটা অনুমোদন করা হয়নি।”

সুরা আল-হাজ্জ, আয়াত ৩৪:
“ও নিশ্চয়ই আমার নামে পশু কুরবানী করো।”

এই আয়াতগুলি ইসলামিক ধর্মে কুরবানীর গুরুত্ব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকথার প্রমাণ হিসেবে প্রদর্শিত করে। কুরবানী ইসলামে একটি মৌলিক ধর্মীয় প্রক্রিয়া, যা ঈদ-উল-আযহা বা কুরবানী ঈদের সময়ে উল্লেখ্য হয়। এই ঈদে মুসলিম সমাজ প্রতিবছর পশু কুরবানী করে, যা আল্লাহর রায়ে সাবেক প্রফেত ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) এর সুন্নত বা প্রথা হিসেবে বিবেচিত হয়।

কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত ()
কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত ()

 

কোরবানি সম্পর্কে হাদিস

কুরবানি বা কোরবানী সম্পর্কে হাদিসে শরীফে প্রয়োগবিধি এবং বিভিন্ন মাসিক মুদালিল দেওয়া হয়েছে। নিচে কোয়ার বানী সম্পর্কিত কিছু হাদিস উল্লেখ করা হল:

হাদিস 1: জাবির ইবনে অব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, যেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি যেন নিশ্চিত করে আল্লাহর নিকট আহলে কিবরি পাহাড়ের মতো দোকান করে, সে ভাগ্যশালী হয়েছে।” (বুখারী, মুসলিম)

হাদিস 2: আবু হুরাইরাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্য দেশের কাছে কুরবানীর পশু কিনে আসে সেই পশু দ্বারা তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকা পর্যন্ত তাঁর আগামী জন্ম নিয়ন্ত্রণে থাকে।” (মুসলিম)

হাদিস 3: আবু হুরাইরাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “একজন ব্যক্তি নিজের প্রাণের কাছে নিজের সম্পদ থেকে সর্বোচ্চ পশুটি কুরবানী করলে এটি তিনি প্রথম যে দিনের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহর কাছে যে কোন পশু কুরবানী করেন।” (তিরমিযী)

এই হাদিস গুলি ইসলামী ধর্মে কুরবানীর গুরুত্ব এবং সঠিক প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রমাণ প্রদান করে। মুসলিমদের ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কুরবানীর সময়ে পশু কুরবানী করা হয়, যা আল্লাহর রায়ে সাবেক প্রফেত ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) এর সুন্নত বা প্রথা হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

কুরবানী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত কোরবানির ইতিহাস শিক্ষা

কুরবানী হলো একটি প্রাচীন অধীনস্থ ধর্মীয় অনুষ্ঠান যাতে প্রতি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পশু বা মাংসের অন্ন আল্লাহর নামে করা হয়। ইসলামিক ধর্মে কুরবানীর মৌলিক উৎস হলো আল্লাহর প্রবৃদ্ধির মার্গে প্রভৃতির প্রতীক হিসেবে প্রস্তুত প্রতিষ্ঠিত করা বা প্রতিপালন করা। এটি মুসলিম সমাজে ঈদ-উল-আয়হা নামে পরিচিত একটি মৌলিক উৎসব, যা প্রতিবছরের ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রচলিত।

কুরবানীর ইতিহাস:
কুরবানীর ইতিহাস ইসলামিক ধর্মের প্রথম নবী ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) এর সাথে জড়িত। কুরআনে এবং হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁর দ্বারা ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) কে প্রত্যয়ন করার জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা প্রদান করেন।

তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্র ইসমাঈল (আলাইহিসসালাম) কে আত্মনির্বাহ করা হবে এবং এটি আল্লাহর প্রয়োজনীয়তা হয়ে থাকতে পারে। তবে, ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) এই পরীক্ষার প্রস্তুতি করলেন এবং তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আলাইহিসসালাম) অপরাধ হতে পারলেও তাঁকে সপ্তাহের এক দিনের মাঝে কুরবানী করতে সাজেস্ট করেন। আল্লাহ প্রত্যাহার হিসেবে পশুটি দ্বারা ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) এবং তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আলাইহিসসালাম) এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হয়। এই ঘটনা ইসলামী ধর্মে কুরবানীর প্রথম উদাহরণ হিসেবে স্মরণীয় হয়েছে।