কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় , স্বাধারনত চুষে খাবার ঔষধ চুষে খেতে হয়। এতে এর কার্যকারীতা ঠিক থাকে।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  তবে গিলে খেলে সমস্যা হবে না কিন্তু এর সঠিক কার্যকারীতা পাওয়া যাবে না।

অ্যালবেন ডিএস অথবা এলমেক্স-৪০০ মি.গ্রা আমরা বেশি খেয়ে থাকি। যা চুষে চুষে আমাদের খেতে হয়। কিন্তু অনেকেই আছে, এই চুষে খাওয়ার ওষুধটি ঠিকভাবে খেতে পারে না। তাই অর্ধেকে গিয়ে তারা ওষুধটি গিলে ফেলে বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেলে দেয়। তাদের জন্য মূলত দরকার সোলাস ট্যাবলেট।

 

কৃমির ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়




চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট গুলা আপনার মুখে এবং খাদ্যনালীতে কাজ করে। পানি দিয়ে গিলে খেলে সেক্ষেত্রে ত আর ঔষধটা অই এলাকায় কাজ করে না সেজন্যে খেতে পারবেন কিন্তু ফলাফল পাবেন না



কৃমি আকারে খুবই ছোট। প্রায় দেখাই যায় না।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  কিন্তু জেনে অবাক হবেন, এ রকম একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে শূন্য দশমিক ২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয়।

অনেক কৃমি শরীরে থাকলে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। ফলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। বড়রাও কম ভোগেন না।এ ছাড়া কৃমির কারণে অ্যালার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কখনো অন্ত্রের বা পিত্তথলির নালিতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের জটিলতা হয়। কৃমি সংক্রমণ তাই বড় ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা।



প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল বড়ি সেবন করতে পারেন।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  মেবেনডাজল হলে খেতে হবে পরপর তিন দিন।

সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে খাওয়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




কৃমি হলে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, পেট মোটা বা ভারি হওয়া, খাবারে অরুচি, মুখে থুথু ওঠা এবং কোনো কোনো কৃমিতে পায়খানার রাস্তার পাশে চুলকানি হতে পারে। কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি দেখা দেয়। রক্তশুন্যতা দেখা দেয়। হুক ওয়ার্মের একমাত্র খাদ্য হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর রক্ত। অনেক সময় বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের এপেনডিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে।



কৃমি হলে পায়ুপথ চুলকায় বলে শিশুরা সেখানে হাত দেয়। পরে আবার সেই হাত মুখে দেয়। এভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তবে পায়ুপথ চুলকানো মানেই কৃমি সংক্রমণ নাও হতে পারে। কৃমি সংক্রমণের আরও উপসর্গ আছে। যেমন: ওজন না বাড়া, পেট ফাঁপা, পেট কামড়ানো, আমাশয়, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।


ফলে এপেনডিসাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর নাক, মুখ দিয়েও কৃমি পড়তে পারে। পেটে কৃমির আধিক্যে অন্ত্রনালীর পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্ত্র ফুটো করে মারাত্মক অবস্হার সৃষ্টি করতে পারে।


কৃমি দূর করতে হলে প্রথমেই জানা দরকার এটি কেন হয়? নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)