কোন প্রাণী দাঁড়িয়ে ঘুমায় , ঘোড়া, হাতি, জেব্রা দাঁড়িয়ে ঘুমায়, শিকারি এলে যে দৌড় দিতে হবে। হাঁস দল বেঁধে ঘুমায়। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং ঘুমানোর সময় তাদের এক চোখ খোলা থাকে, যাতে শিকারির শিকার না হতে হয়। রাজহাঁস দাঁড়িয়ে ঘুমায়, কিন্তু শিকার হওয়ার ভয়ে নয়।
কোন প্রাণী দাঁড়িয়ে ঘুমায়
বসে ঘুমানো প্রাণীগুলো হলো শিম্পাঞ্জী, গরিলা, হাতি, উট, ক্যাঙ্গারু।
এদের মধ্যে গরিলা ও ক্যাঙ্গারু স্তন্যপায়ী প্রাণী।
এদের মধ্যে ঘোড়া একমাত্র প্রাণী যে দাড়িয়ে ঘুমায়।
ঘোড়ার শরীরের পেশির লিগামেন্ট ও টেন্ডনের বিন্যাস তাদের নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে ও ঘুমাতে সাহায্য করে। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং সাধারণত ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমালেও গভীর ঘুমের সময় অনেক সময় তারা হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে বা একপাশ ফিরে শোয়। এ অবস্থায় অনেক সময় একটানা দুই থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমায়।
ঘোড়ার শরীর খুব ভারী। পিঠ একদম সোজা। তাই একবার বসলে অন্য প্রাণীর তুলনায় তাদের উঠতে অনেকটা বেশি সময় লাগে। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং তাই বসা অবস্থায় যদি হঠাৎ কেউ এসে আক্রমণ করে, তাহলে দাঁড়াতেই অনেকটা সময় লেগে যায় ওদের, দৌড়াতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে আক্রমণকারী ঘোড়াটাকে আক্রমণ করে বসতে পারে। সেজন্যই ঘোড়ারা দাঁড়িয়ে ঘুমায়।
পায়ের বিশেষ ক্ষমতা থাকায় ঘুমানোর সময় হাঁটু শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে ঘোড়া, যে কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় তারা পড়ে যায় না। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে
ঘোড়া কিন্তু কোনো রকম ক্লান্তি ছাড়াই অনেক লম্বা সময় দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দিতে পারে। তাই অনায়াসেই দাঁড়ানো অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়তে পারে তারা। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে
তবে ঘোড়া অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে ঘুমায় মানে কিন্তু এই না যে তারা বসে ঘুমাতে পারে না বা ঘুমায় না। মাঝেমধ্যে পায়ের বিশ্রামের জন্য বসে বসেও ঘুমায়।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)
