খতমে নবুয়ত কাকে বলে , মহান আল্লাহ তাআলা জীন-ইনসানের হেদায়াত ও তাদেরকে সঠিক পথ দেখাবার জন্য নবী রাসূল প্রেরণের যে ধারাবাহিকতা হযরত আদম আ.এর মাধ্যমে শুরু করেছিলেন, অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর মাধ্যমে নবুওতের এই ধারাবাহিকতাকে চিরদিনের জন্য সমাপ্ত করে দিয়েছেন । নবুয়্যতের এই ধারাবাহিকতাকে সমাপ্ত করে দেয়াকেই “খতমে নবুওয়াত” বলে ।
খতমে নবুয়ত কাকে বলে
হযরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা. কে বললেন, ‘‘মুসার পক্ষ থেকে হারুন যে (দায়িত্ব, মর্যাদা, আর সম্পর্কের) স্থানে ছিলেন আমার পক্ষ থেকে তুমি হলে সেই স্থানে, তবে (পার্থক্য এই যে,) আমার পরে কোন নবী নেই।’’
قال رسول الله صلى عليه وسلم لعلي : أنت مني بمنزلة هاورن من موسى إلا أنه لا نبي بعدي الخ.
-সহীহ বুখারী ২/৬৩৩; সহীহ মুসলিম ২/২৭৮; সুনানে তিরমিযী ২/২১৩
কিয়ামত অর্থ দণ্ডায়মান হওয়া, উঠা । অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইসলামি পরিভাষায় কবর থেকে মানুষ উঠে সেদিন আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হবে, তাই একে বলা হয় কিয়ামত । কিয়ামতে মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে । এরপর নেককারদের জান্নাতে এবং পাপীদের জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে ।
ইসলামিক টিপস
আখিরাত আকাইদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আখিরাতের প্রতি ইমান আনা অপরিহার্য । আখিরাতে বিশ্বাস না করলে মানুষ ইমানদার হতে পারে না । অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
যুবায়ের ইবনে মুতয়িম রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমদ, আমি মাহী, অর্থাৎ আমার মাধ্যমে কুফরী বিমোচিত হবে, আমি হাশির, আমার (যুগের) পরই মানুষকে হাশরের মাঠে একত্রিত করা হবে এবং আমি হলাম আ‘কিব, (অর্থাৎ যার পরে আর কোনো নবী নেই)।’’
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خمسة أسماء : أنا محمد وأحمد، وأنا الماحي الذي يمحو الله بي الكفر وأنا الحاشر الذي يحشر الناس على مدى وأنا العاقب.
-সহীহ বুখারী ১/৫০০, ২/৭২৭; সহীহ মুসলিম ২/২৬১; সুনানে তিরমিযী ২/১১১
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ قُلُوبُهُمْ مُّنْكِرَةٌ وَهُمْ مُّسْتَكْبِرُونَ
অর্থ : “আর যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাদের অন্তর সত্যবিমুখ এবং তারা অহংকারী ।” (সূরা আন-নাহ্ল, আয়াত ২২)
আখিরাতে বিশ্বাস না করলে মানুষ দুনিয়াকেই সবকিছু মনে করে । ফলে যেকোনো উপায়ে দুনিয়ার স্বার্থ হাসিল করতে চায় । অন্যায়, অত্যাচার, অনৈতিক কার্যকলাপ সবকিছুই তার দ্বারা সংঘটিত হয় । যেকোনো পাপ করতে সে দ্বিধাবোধ করে না ।
(সূত্র:মেডিসিন টিপস)