খতমে শিফা পড়ার নিয়ম,কুরআন শরীফের একটি আয়াত যা আল্লাহর নবী হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে বসে পাঠ করার উসীলায় আল্লাহ পাক তাকে সমূদ্রের অতল গভীর অন্ধকার মাছের পেট থেকে মুক্তি দেন, কদুগাছ জন্মিয়ে।
আশ্রয় দেন এবং গায়েবী রিযিক দ্বারা বাচিয়ে রাখার মত অসংখ্য নেয়ামত।দান করেন। যা এ আয়াতের ফজীলতে তিনি লাভ করেছিলেন । বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং কলেরা, বসন্ত এবং অন্যান্য বালামুসীবত, রােগ ব্যাধিসহ যে কোন প্রকারের মামলা মােকদ্দমার মত সংকট হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
খতমে শিফা পড়ার নিয়ম
খতমে শিফা বা খতমে ইউনুস এর পরিচয়:
খতম অর্থ: শেষ, সমাপ্ত ইত্যাদি। শিফা অর্থ: আরোগ্য, রোগমুক্তি লাভের জন্য দোয়া ইত্যাদি।
খতমে শিফা বা খতমে ইউনুস আরবি:
لا ا
له الا انت سبحانک انی کنت من الظالمين *
খতমে শিফা উচ্চারণ:
লা ইলাহ ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতি মিনাজ যলিমিন।
অর্থ : তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।’ অতপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৭)।
একবার সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা কি চিকিৎসা করব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন:
« تداووا فإن الله عز وجل لم يضع داء إلا وضع له دواء غير داء واحد الهرم ». ( سنن أبي داود، كتاب الطب، باب في الرجل يتداوى، رقم: 3857، سنن الترمذي، كتاب الطب، باب الدواء والحث عليه،رقم:2038 )
‘‘তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর। কেননা মহান আল্লাহ তা‘আলা এমন কোনো রোগ দেননি যার ঔষধ দেননি, একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত।’’[2]
আরেকটি হাদীসে এরশাদ করেন:
« لكل داء دواء فإذا أصيب دواء الداء برأ بإذن الله عز وجل » ( صحيح مسلم، باب لكل داء دواء واستحباب التداوي، رقم:5871)
‘‘প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। অতঃপর যখন ঔষধ রোগের সাথে ঠিকমত পড়ে আল্লাহর ইচ্ছায় ভাল হয়।’’[3]
খতমে শিফার বা খতমে ইউনুস আমল ও নিয়ম:
এ দোয়া পাক পবিত্র অবস্থায় সােয়া লক্ষ বা এক লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পরহেজগার মুত্তাকী লােকে নিম্ন লিখিত পদ্ধতিতে পাঠ করবে । একাকী উক্ত খতম পাঠ করলে প্রতি ১০০ শত বার পাঠ শেষে এবং বেশী লােকে একত্রিত হয়ে দানা বা পাথরের টুকরা দ্বারা পাঠ করলে প্রতি দাওর শেষে নিম্নোক্ত দোয়া একবার পাঠ করবে ।
فاستجبناله ونجينه من الغم وكذالك ننجي المؤمنين * পড়া শেষ হলে দরূদ শরীফ পাঠান্তে দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে ছওয়াব রেছানী করে আল্লাহ পাকের দরবারে বিনীত ভাবে বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করবে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)