খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত

খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত , খুলনা – সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল এবং গলদা চিংড়ির জন্য বিখ্যাত. সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত খুলনা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে একটি বিভাগীয় জেলা।  জেলেটের আয়তন ৪৩৯৪.৪৬ বর্গ কিলোমিটার।  এজন্য কি বাংলাদেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরে তৃতীয় বৃহত্তম শহর।

খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত



খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনাকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। খুলনা জেলার ৩ টি বিখ্যাত জিনিস কী কী? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি যেটা জানি সেটাই বলছি এছাড়া অন্য আর কিছু থাকতে পারে।


সুন্দরবন।
চিংড়ি।
চুইজাল।



খুলনা শব্দের অর্থ কি?


খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি। ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা।



বাংলাদেশের সর্বশেষ জরিপ অনুয়ারী এই বনে ১০৬ টি বাঘ, ২০ হাজারের মত বানর ও প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজারের মত হরিণ রয়েছে।



সন্দেশঃ



খুলনা সন্দেশের জন্যও সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। বিভিন্ন ধরনের সন্দেশের মধ্যে নলেন গুড়ের সন্দেশ ও ছানার সন্দেশ বেশি বিখ্যাত। শীতের খেজুর রসের নলেন গুড়, দুধের ছানা দিয়ে তৈরি হয় নলেন গুড়। যার ঘ্রাণ খুবই সুন্দর এবং স্বাদ অতুলনীয়।



লোহা দিয়ে তৈরি বড় ধরনের কড়াইয়ে প্রথমে রস জ্বালিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেটার সাথে দুধের ছানার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় নলেন গুড়ের সন্দেশ। শীতের এই সময় সকল গাছিরা ব্যস্ত হয় খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করার কাজে। আর ময়রারা তৈরি হয়ে যায় গুড় তৈরিতে।



নারিকেলঃ



খুলনার যে দিকেই চোখ দেন না কেন চারিদিকে শুধু চারিকেল গাছের সবুজ সমারহ দেখতে পাবেন। নারিকেল বাংলাদেশের অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম। সকাল বেলার লাল সূর্য যখন নারিকেল গাছের সবুজ পাতায় পড়ে তখন চোখ ধাঁধানো দৃশ্য দেখতে পাবেন। মনে হবে এ যেন এক নতুন খুলনা দ্বীপ।



নারিকেল এমন একটি ফল যা মানুষের আহারের পাশাপাশি একই সাথে সুস্বাদু পানীয় সরবরাহ করে। ডাবের পানি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া নারিকেলের ছাল দিয়ে জ্বালানির কাজ করা হয়।



গলদা চিংড়িঃ



খুলনা জেলার আলাদা করে অনেক পরিচিতি রয়েছে শুধুমাত্র চিংড়ির জন্য। এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে চিংড়ির চাষ করা হয়ে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রার বেশির ভাগ অংশ আসে এই চিংড়ি রপ্তানিতে।



খুলনার সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক বড় বড় ঘেরে চিংড়ির চাষ করা হয়। প্রতি বছরেই কোটি কোটি টাকা আয় হচ্ছে এই চিংড়ি থেকে। এছাড়া এই গলদা চিংড়ি খেতেও ভারি মজাদার। উল্লেখযোগ্য সুস্বাদু খাবারের মধ্যে চিংড়ি মাছ অন্যতম।

(সূত্র:ইন্টারনেট)