গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়,অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ অনুযায়ী

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় , একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার পরের মাস থেকে মাসিক বন্ধ হবে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন হয় যে গর্ভবতী হয়েছে কিন্তু মাসিক পুরোদমে প্রতি মাসে চলছে। এমনটা খুব কম নারীর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। পরে আপনার মাসিক প্রতিমাসে হতো কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন যে মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে নিশ্চিত থাকবেন আপনি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছেন।



আপনার প্রিরিয়ড প্রতি মাসের ১০ তারিখ শুরু হয় আর শেষ হয় ১৫/১৬ তারিখ৷

 


আর আপনি কন্সিভ করতে চাচ্ছেন, তাহলে স্বভাবত’ই ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আপনার ডেঞ্জার প্রিরিয়ড অথ্যাৎ এই সময় টা কন্সিভ করার জন্য উপযুক্ত সময় ৷


তাহলে অবশ্যই আপনি প্রতিদিন অথবা একদিন পর পর মিলন করছেন বাচ্চা নেয়ার উদ্দেশ্যে।


এবং লক্ষ্য করলেন যে,পরের মাসে আপনার আর মাসিক হচ্ছে নাহ৷ কাঠি (ইউরিন) টেষ্ট বা মেডিকেল টেষ্ট করে রেজাল্ট পেলেন পজেটিভ৷


এবার আপনি বলুন, আপনি তো ২০ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ এই ১০ দিন রেগুলার ই ফিজিক্যালি এটাষ্ট হয়েছেন৷


এর মধ্যে কোন দিন টি, আপনার ডিম্বাশয় স্পার্ম দাড়া নিষিক্ত হয়েছিলো আপনি কিভাবে জানবেন?


যেদিন নিষিক্ত হবে সেদিন থেকেই মাসিক বন্ধ হবে কিন্তু সেটা কোন দিন নিদিষ্ট করে কেউ কখনোই বলতে পারবে নাহ,,,,

 

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়




কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়?


বিবাহিত বা অবিবাহিত যে কোন নারীর ক্ষেত্রে প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ বা তার কম দিন পর পর মাসিক হয়ে থাকে । অর্থাৎ ৩৫ দিনেও সময় নেয় না তার আগেই মাসিক হয়ে থাকে। কিন্তু সহবাসের বা মিলনের পরের মাসে যদি মাসিক না হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী।




গর্ভবতী হওয়ার একমাত্র লক্ষণ পিরিয়ড মিস যাওয়া নয় ।অনেক সময় এমও হয় , যাদের অনিয়মিত পিরিয়ড প্রবণতা রয়েছে তাদের পিরিয়ড মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হঠাৎ করে দেখা যায় যে পিরিয়ড হয়ে গেছে তাদের অবশ্যই ভাবার কোন দরকার নেই যে তারা গর্ভবতী সেক্ষেত্রে টেস্ট করার পর আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। অনেকের শরীরে রক্তস্বল্পতা কারণে পিরিয়ড মিস হয় সেজন্য আগেই ভেবে নেওয়ার প্রয়োজন নেই যে আপনি প্রেগনেন্ট।

 

কিন্তু যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তাদের যদি সময় মত মাসিক না হয় তাহলে তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যতই যা বলি না কেন মাসিক মিস হওয়াই হচ্ছে গর্ভবতী হওয়ার একমাত্র লক্ষণ। এখন প্রশ্ন হল আপনি কিভাবে এই গর্ভকালীন শুরুর সময় নির্ধারণ করবেন? আসলে এই গর্ভবতী নারীর সর্বশেষ পিরিয়ডের যে প্রথম দিন সেই সময় থেকে গর্ভকালীন শুরুর সময়টা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।



আপনার স্বামী দূরে কোথাও থাকে, সে যাষ্ট ১দিনের জন্যই আপনার কাছে এসেছিলো মনে করুন তারিখ টা ছিলো ২৩ কিংবা ২৪ তারিখ৷ এবং ঐ একদিন ই আপনারা মিলনে জড়িয়েছিলেন৷


কাকতালীয় ভাবে, পরের মাসের ১০ তারিখ আপনার প্রিরিয়ড হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু হলো নাহ৷ পরীক্ষা করে দেখলেন আপনার পজেটিভ। তাহলে আপনি একমাত্র বলতে পারবেন গর্ভ হওয়ার কত দিন পর আপনার মাসিক বন্ধ হলো ২৪ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত মোট ১৬/১৭ দিন পর অথাৎ গর্ভ হওয়ার ১৬/১৭ দিন পর আপনার প্রিরিয়ড বন্ধ হলো৷


যারা বাচ্চা নেয়ার উদ্দেশ্যে নিয়মিত মিলন করে তারা কখনোই বলতে পারবে নাহ যে, গর্ভ হওয়ার ঠিক কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়। কারণ গর্ভ কবে হচ্ছে এটাই কেউ জানবে নাহ৷




কিভাবে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী কিনা?


আমরা আগেই জেনেছি গরবস্থায় প্রথম উপসর্গটি হল মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া । এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন ঘন ঘন মাথা ঘুরানো, স্তন শক্ত হয়ে যাওয়া , চাপ দিলে স্তনে ব্যথার অনুভূতি হওয়া , দিনের বেশিরভাগ সময় বমি বমি লাগা , ক্লান্তি আসা ইত্যাদি।

লক্ষণগুলো দেখা গেলেই আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন । এবং আপনার উচিত হবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পর আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা এটা নিশ্চিত হবেন। আপনি যদি প্রেগনেন্সি টেস্ট সম্পর্কে বিশদভাবে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি একটা কাহিনী ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং প্রেগনেন্সি টেস্ট করাবেন ।


আমি আপনার চলতি পিরিয়ড এর ১০-১৮ দিনের ভিতরে যৌন সম্পর্কের ফলে গর্ভধারণ করেছেন। আপনার পরবর্তী পিরিয়ডের ১ম দিন থেকে অপেক্ষা শুরু করলে একটি সফল গর্ভধারণ হলে আপনি মাথাঘোরান, বমিভাব, ইত্যাদি উপসর্গ অনুভব করবেন। সেটা না ও করতে পারেন।

 

কিন্তু আপনার সম্ভাব্য পিরিয়ডের ১০ দিন পার হবার পর ও পিরিয়ড না হলে আপনি বাসায় দিনের প্রথম প্রশ্রাব শুরুর পর কিছুটা পড়ে যেতে দিয়ে এরপরে ৫ মিলি মত প্রশ্রাব কোন পাত্রে রেখে হোম কিট দিয়ে নির্দেশনা মত প্রেগন্যান্সি টেষ্ট করতে পারেন।


প্রশ্রাবে ” হিউম্যান করিয়োনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন ” এর উপস্থিতির ভিত্তিতে আপনার কিটে পজিটিভ চিহ্ন আসতে পারে। পরবর্তীতে আপনি ল্যাবেও প্রেগন্যান্সি টেষ্ট করতে পারেন।



মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত


যদি দেখেন আপনার নিয়মিত মাসিক হয় , কিন্তু কোন মাসে দেখলেন আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে গেল এবং আপনি আগে ও নিরাপদ মিলন করেছেন জন্মনিরোধক ব্যবহার করেননি যখনই দেখবেন নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক হয়নি তখন আপনার উচিত হবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নেওয়া।



মাসিক বন্ধ হওয়ার ৭-১৫ দিনের ভিতরেই আপনি বাড়িতে বসে প্রেগনেন্সি কিটের সাহায্যে টেস্ট করিয়ে নিতে পারবেন এবং সঠিক ফলাফল পেয়ে যাবেন এই প্রেগনেন্সির কিট বা কাঠি গুলো আপনার হাতের নাগালেই থাকবে । যে কোন ফার্মেসিতে আপনি এগুলো পাবেন।

 


মেয়েরা গর্ভবতী হওয়ার কত দিন পরে মাসিক বন্ধ হয়?

 


একজন মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার পরে মাসিক বন্ধ হয় না। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় মাসিক অনুমোদিত নয়। মাসিক বন্ধ হয় কেবল যখন মেয়ের শরীরে গর্ভপাত হয় বা প্রাকৃতিক প্রসব হয়। গর্ভাবস্থা একটি সময়সীমিত অবধি যা সাধারণত ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ বা ৮ থেকে ৯ মাস সময় স্থায়ীভাবে স্থাপিত হয়।

 

এই সময়ে মেয়েদের মাসিক হয়না। তবে গর্ভবতী মহিলাদের একটি কমন উপসর্গ হতে পারে যেটি হলো “মরণস্থান” বা “বন্ধ স্থান”। এটি প্রসবের আগে যে অনুভূতি সম্ভবত শুরু হবে, যেটি মাসিকের মতো লাল রঙের বিচার বা বা দমন হতে পারে। এটি প্রায় ১-২ সপ্তাহের মধ্যে ঘটে ঘটে শস্যপাত করে এবং প্রসবের আগে বিভিন্ন সময়ে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তবে আপনার সময়ে মাসিক স্থিতি ও অন্যান্য পরিবর্তনের জন্য সবসময় একজন চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।




প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

 


যদি আপনি মনে করে থাকেন বাড়িতেই কাঠির মাধ্যমে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করাবেন । তাহলে আপনি সহজে এটি করতে পারেন এই পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে লাগবে আপনার একটা প্রেগনেন্সি কিট বা প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করার জন্য কাঠি । যেটা আপনি ওষুধের ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন । তারপর সকালবেলা প্রসাব নিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।




টেস্ট করা খুবই সহজ একটা কাজ ।কারণ প্রেগনেন্সি টেস্টের কিটের প্যাকেটে লেখা থাকে কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে। কিট স্টিকারের উপর সকালের প্রসাব মাত্র ২-৩ ফোটা দিন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফলাফল লক্ষ্য করুন। দেখবেন আপনি ফলাফল পেয়ে গেছেন।



কোন প্রসবোত্তর লক্ষণগুলির জন্য আমার নজর রাখা উচিত? (What Postpartum Symptoms Should I Watch Out For in Bengali)
আমরা ইতিমধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি: প্রসবের পরে পিরিয়ড কখন শুরু হয়? এখন আমরা প্রসবোত্তর লক্ষণগুলির দিকে তাকাই যা আপনার লক্ষ্য করা উচিত:

 



1. রক্তপাত(Bleeding): জন্ম দেওয়ার পরে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত যোনি থেকে রক্তপাত হওয়া স্বাভাবিক। একে লোচিয়া বলা হয় এবং এটি একটি ভারী সময়ের অনুরূপ। লোচিয়া সাধারণত উজ্জ্বল লাল বর্ণ দিয়ে শুরু হয় এ বং তারপরে সময়ের সাথে সাথে গোলাপী বা বাদামী হয়ে যায়।

 



2. ক্র্যাম্পিং(Cramping): মহিলারা তাদের জরায়ুতে (গর্ভ) ক্র্যাম্পগুলি অনুভব করতে পারে কারণ এটি তার প্রাক-গর্ভাবস্থার আকারে ফিরে আসে। এই ক্র্যাম্পগুলি প্রায়শই হালকা হয় এবং আইবুপ্রোফেন বা প্যারাসিটামলের মতো ওভার-দ্য কাউন্টার ব্যথানাশক দিয়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 



3. স্রাব(Discharge): জন্ম দেওয়ার পরে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত যোনি স্রাব বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক।



(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)