গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়,বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস

গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় , তেঁতুল প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনের মতো নির্দিষ্ট ওষুধগুলির সাথে প্রতিক্রিয়া করে বলে পরিচিত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস, আপনি যদি এই ওষুধগুলি নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন তবে আপনি ওষুধ খাওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে নিজেকে তেঁতুল খেতে পারেন।

আপনার ডায়েটে যোগ করার আগে আপনার শরীর কোনো উপাদানের প্রতি কিভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে তা বোঝার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, বিশেষত গর্ভাবস্থার অন্তিম পর্যায়ে।

গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়



তেঁতুল

গর্ভাবস্থায় তেঁতুল না খাওয়া ভালো। তেঁতুলে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমায়। শরীরে এই হরমোন কমে গেলে জরায়ুর সংকোচন হয়। তখন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।

 

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিসিন টিপস



গর্ভাবস্থায় নারীরা সাধারণত তেঁতুল খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসাগত দিক থেকেও রয়েছে এর উপকারিতা। তেঁতুলের টক উপাদান গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিত।তেঁতুলে থাকা নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার।

গর্ভাবস্থায় টকজাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছে হলেই তেঁতুলের কথা ভাবতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়াও ক্ষতিকর হতে পারে। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা গর্ভবতী নারীদের এড়ানো উচিত।

এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরের প্রোজেস্টেরনের উৎপাদনকে কমে যায়। ফলে গর্ভপাতও ঘটতে পারে। এমনকি ভ্রূণের কোষেরও ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, তাই গর্ভধারণের প্রথম ত্রৈমাসিকে খুব বেশি তেঁতুল খাবেন না। এড়িয়ে যেতে পারলে আরও ভালো।


তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তেঁতুল, শরীরে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধের কাজে বাঁধা তৈরি করে থাকে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, তাই গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে খাওয়া উচিত। ছোটখাটো সতর্কতা অবলম্বন করে তেঁতুল খেলে সেটা গর্ভাবস্থায় নিরাপদ খাবার হিসেবেই গণ্য হয়।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন