গাজা খাওয়া ছেড়ে দিলে কি হয়,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

গাজা খাওয়া ছেড়ে দিলে কি হয় , গাঁজা সেবনে রোগ প্রতিরোধ মতা কমে যাবার ফলে সেবনকারীর সংক্রামক রোগ বেশি হয় এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  গবেষণায় দেখা যায় কোন গাঁজা সেবনকারীর সেবনের প্রথম ১ ঘণ্টায় হার্টর্এ্যাটাকের ঝুঁকি সাধারণ অবস্থার চেয়ে চারগুণ বেড়ে যায়, কারণ সেবনের ফলে রক্ত চাপ ও হৃত্‍কম্পন বেড়ে যায়।

গাজা খাওয়া ছেড়ে দিলে কি হয়



বর্তমান গবেষণায় প্রমাণিত হয়, গাঁজার ব্যবহার, বিশেষ করে নিয়মিত ব্যবহার, আসক্তি তৈরি করতে পারে। নিয়মিত গাঁজা ব্যবহারকারীদের অন্তত ১০%-এর মধ্যে গাঁজার ওপর নির্ভরতা তৈরি হয়। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং ব্যবহার ছেড়ে দিলে অনেকের মধ্যেই নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ দেখা যায়।

প্রফেসর মর্গানের মতে, গাঁজা ব্যবহারের ফলে স্বল্প মেয়াদে স্মৃতিশক্তি এবং বোধশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রভাব সামান্য এবং কম ক্ষতিকর হলেও ২০ দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরকে তা প্রভাবিত করার সক্ষমতা রাখে।


যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, নিয়মিত গাঁজার ব্যবহারে ব্রঙ্কাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজার সুফলও রয়েছে। গাঁজা নিয়ে গবেষণায়, ভিন্ন ধরনের ফলাফল, ভিন্ন ধরণের সমাধানের ইঙ্গিত করে।


গাঁজা ছেড়ে দেয়া নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। তাই আপনাকে সহায়তার উদ্দেশ্যে উত্তর দিলাম।
অনেক শারীরিক উপকার পাবেন তার বিনিময়ে সাময়িক কিছু জটিলতা মেনে নিতে হবে ।

১, অস্থিরতা

২, দুশ্চিন্তা

৩, ওজনের তারতম্য

৪, জ্বর, সর্দি কাশি,

৫, অনিদ্রা

৬, অহেতুক উত্তেজনা

ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞের মতে, এর ফলে যে মোহাচ্ছন্ন ভাব তৈরি হয়, সেটিও কম ক্ষতিকর নয়। গাঁজার যেসব জাতে উচ্চ মাত্রায় চিত্ত প্রভাবক উপাদান টিএইচসি থাকে, সেসব জাতের নিয়মিত ব্যবহারে কিশোরদের মধ্যে মানসিক সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)