গাবের উপকারিতা কী কী? গ্রামে-গঞ্জে এক সময় সর্বত্রই গাব মিলত। তেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছিল না এই ফলের। কিন্তু আজকাল শহর এলাকায় ফেরিওয়ালার ভ্যানে করে গাব বিক্রি করেন। আবার অনেক অভিজাত ফলের দোকানেও গাব পাওয়া যায়। আর স্বাদে অতুলনীয় গাবের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিনই। স্বাদ ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে মৌসুমি এই ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন সবাই।
প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য-উপযোগী গাবে রয়েছে ৫০৪ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৮৩ থেকে ৮৪ গ্রাম জলীয় অংশ, ২ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ২ গ্রাম চর্বি, ১১ দশমিক ৮৮ গ্রাম শর্করা, ১ দশমিক ৮ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ১১ দশমিক ৪৭ গ্রাম চিনি, ৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,
৩৫ আইইউ ভিটামিন-এ, ১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম লোহা, শূন্য দশমিক ২ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ১১০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩০৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
গাবের উপকারিতা কী কী?
গাবের এসব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে রক্ষা করে নানা রোগ থেকে। বিশেষ করে গাবে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট যা সর্দি, জ্বর, কফ-কাশি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। উচ্চমাত্রায় খাদ্যশক্তি থাকায় গাব শারীরিক দুর্বলতা কমায়। গাবে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাবে প্রচুর আঁশ থাকায় কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে। এতে অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
গাবের ফসফরাসসহ নানা খনিজ উপাদান হৃদ্্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া গাবের খোসার রস আমাশয় ও পাতলা পায়খানাও উপশম করে।
গাবের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। জেনে নিন দেশী গাব ফলের যত উপকারিতা রয়েছে-
শারীরিক দুর্বলতা কমায়: উচ্চমাত্রায় খাদ্যশক্তি থাকায় গাব শারীরিক দুর্বলতা কমায়। গাবে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: গাবে প্রচুর আঁশ থাকায় কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে। এতে অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গাবে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ রয়েছে। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি, ত্বকের জন্য ক্ষতিকর রেডিক্যাল কমিয়ে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই দুই ভিটামিন বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, জটিল রোগ প্রতিরোধ এবং ত্বকের সুস্থতার জন্য বেশ কার্যকরী।
হাইপারটেনশন কমায়: উচ্চ পটাসিয়াম উপাদান থাকায় রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়। এটি শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের উপর চাপ কমায় এমনকি রক্তচাপ্ও কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা আঁশ শরীরে কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া্ও রক্ত চাপ, হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়: গাবে থাকা আয়রন দেহে লোহিত কণিকার কোষের উন্নতি ঘটায়। দেহের গুরুত্বপূর্ণ টিস্যুগুলোতে অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি পেশি গঠন, চুলের বৃদ্ধি এবং হজমক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গাবে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ রয়েছে। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি, ত্বকের জন্য ক্ষতিকর রেডিক্যাল কমিয়ে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই দুই ভিটামিন বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, জটিল রোগ প্রতিরোধ এবং ত্বকের সুস্থতার জন্য বেশ কার্যকরী।
হজমে সহায়ক: গাবে প্রচুর আঁশ থাকার কারণে এটি হজমক্রিয়া উন্নতিতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা দূর করে।
ত্বকের যত্ন: গাব খেলে বা এর তৈরি রূপচর্চার উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের প্রদাহ কমায়।
গাব খেলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পা্ওয়া যায়, বুকে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং অ্যাজমা দূর করে। এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকার কারণে রোগপ্রতিরোধ প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়: গাবে থাকা আয়রন দেহে লোহিত কণিকার কোষের উন্নতি ঘটায়। দেহের গুরুত্বপূর্ণ টিস্যুগুলোতে অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়া এটি পেশি গঠন, চুলের বৃদ্ধি এবং হজমক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়।
শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে গাব ফল ভীষণ উপকারী। এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি বা এনার্জি ও আমিষ। অল্প পরিমাণে গাব খেলেই আমাদের শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়। এছাড়াও এতে থাকা পটাসিয়াম আমাদের নিন্ম রক্ত চাপ কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। তাই যারা নিন্ম রক্তচাপ জনিত্ত সমস্যায় চুগে থাকেন তারা এই ফলটি খেতে পারেন।
গাবে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। আর এতে আমাদের হৃদযন্ত্রের কার্যকারীতা অনেক বেড়ে যায় এবং হার্ট ডিজেসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের বেড়ে ক্যান্সার কোষ বেড়ে উঠতে দেয় না। আর এর ফলে ক্যান্সারের মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
গাবে আছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার,সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মত বেশ কিছু উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যান্ত উপকারী। তাই প্রতিদিন অল্প করে এ ফল খেলে আমাদের দৃষ্টিশক্তির অনেক উন্নতি হয় এবং একই সাথে রাতকানা রোগ থেকে চিরতরে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও চোখের এলার্জি সহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে এটি অনেক কার্যকরী।
সবাই এখন অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্যস্ত । আর এই সমস্যা সমাধানে গাব ফল বেশ কার্যকরী।গাব অতিরিক্ত ওজন কমাতে খুব ভাল কাজ করে। এছাড়াও গাবে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকায় এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে হজম শক্তি বাড়ায়। ফলে গ্যাস বা পেটের সমস্যা কমে যায়।
গাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলে আমরা বিভিন্ন রকম সিজিনাল অসুখ থেকে মুক্তি পাই। এছাড়াও গাব খেলে পুরাতন আমাশয়, একজিমা কিংবা বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে মুক্তি মেলে।
হাইপারটেনশন কমায়: উচ্চ পটাশিয়াম উপাদান থাকায় রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়। এটি শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের উপর চাপ কমায় এমনকি রক্তচাপও কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা আঁশ শরীরে কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও রক্ত চাপ, হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়ক: গাবে প্রচুর আঁশ থাকার কারণে এটি হজমক্রিয়া উন্নতিতেও সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা দূর করে।
ত্বকের যত্ন: গাব খেলে বা এর তৈরি রূপচর্চার উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকের প্রদাহ কমায়।