গ্রাজুয়েট অর্থ কি , স্নাতক বা স্নাতকোত্তর বলতে কী পাশ বুঝানো হয় ? পোস্ট গ্রাজুয়েট কি , ব্যাচেলর ডিগ্রি কি , এ গুলোর বিস্তারিত আলচোনা করবো
এইচ এস সি পাশের পর তিন বছর বা চার বছর মেয়াদি যে কোর্সে ভর্তি হওয়া হয় তাকে স্নাতক বলে । স্নাতক পাশের পর এক বছর বা দুই বছর মেয়াদি যে কোর্সে ভর্তি হওয়া হয় তাকে স্নাতকোত্তর বলে ।
অনার্স , বি এ , ডিগ্রী , বি বি এ এগুলুর একটা কমপ্লিট হলে বলা হয় গ্রাজুয়েট ।
আর মাস্টার্স , এম বি এ কে , এম এস সি এগুলু কে বলে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ।
গ্রাজুয়েট নিয়ে গল্প
এই কথাটা আজকাল খুব আলোচিত হয়। কিছু মানুষ সপক্ষে বলে, কিছু মানুষ বিপক্ষে।
আমার কাছে জীবন যেভাবে এসেছে তাতে অর্থ সিকিউরিটি। আমি সচ্ছল পরিবারে জন্মেছি। আমার ঠাকুরদা নাম করা এক সাহেবি কোম্পানিতে চাকরী করতেন উচ্চপদে। বাংলাদেশ থেকে দেশভাগের পর এ দেশে আসা। অনেক ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে মামার বাড়ির অত্যাচার আর অসহযোগিতা সহ্য করে পড়াশোনা করা। ফার্স্ট ছাড়া সেকেন্ড হয়নি কোনোদিন। চমৎকার ইংরেজি লিখতে আর বলতে পারতেন। আমাদের এলাকায় সভ্রান্ত পরিবার হিসেবে আমাদের পরিচয় আছে। একসময়ে বাড়িতে একসাথে তিন-চারজন সহকারী ছিলো কাজের।
আমার বাবা ছিলেন শিল্পী গোছের মানুষ। বাবা আর দাদুর মতো সৎ মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। কলকাতা গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করে ভালোই চাকরি করতেন। সংসারে কোনো অভাব ছিলো না।
পরবর্তী সময়ে হলো গন্ডগোল। কম্পিউটারের দৌরাত্ম্যে চাকরি গেলো বাবা’র। আমি তখন ক্লাস টু। ভাই হলো। তার দু’বছর পর দাদু মারা গেলেন। বাবা অনেক কষ্ট করে সবটা সামলেছেন তখন। নিজের জন্য কোনো বিলাসিতা করেন নি। অথচ একসময় সোনার চামচ মুখে নিয়েই জন্মেছিলেন বলতে গেলে। ঘর-সংসার, বিষয় নিয়ে মাথাব্যথা ছিলো না। ছোট বয়সে মা’কে হারান। তারপর দাদা। সারাদিন প্রকৃতি আর বই নিয়ে মেতে থাকতেন।
আমার মা গ্রাজুয়েট। আমার দাদু ছিলেন বর্ধমান ডিসট্রিক্টের ম্যালেরিয়া হেলথ অফিসার। বংশ পরম্পরায় সকলেই ডাক্তার। আমার দিদুন বেশ কিছু বছর স্কুলে শিক্ষাকতা করেন। লেডি ব্রেবোর্ন থেকে পড়াশোনা। স্মার্ট। সুন্দরী। বিচক্ষণ। বিরাট জমিদারের মেয়ে ছিলেন।
এহেন পরিবারে একসময়ে আমি দশ টাকার হিসেব করতে দেখেছি মা’কে। একটা রোল চারজনে ভাগ করে খেয়েছি। খাওয়ার অভাব ছিলো না। তবে ক্লাস টুয়ের পর বিলাসবহুল জীবন আমি পাইনি। ভাইকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানো। আমার টিউশন। সব বাবা’ই টেনেছে। তাই অর্থ কী আমি জানি। আমি জানি বাবা’র মা-বাবা’র স্মৃতি বিজড়িত, নিজের হাতে করা শিল্পের আধার বাড়িটার সংরক্ষণ করতে না পারার ভয়। কষ্ট। বাবা খুবই আবেগপ্রবণ আর সেন্টিমেন্টাল মানুষ। মা অনেক প্রাকটিকাল। মুখ বুজে সংসারের জন্য লড়ে যাওয়া। আমি জানতাম বাড়িটা বাঁচাতে না পারলে বাবা’কে সেদিন বাঁচানো যেত না। আমার কাছে অর্থ সিকিউরিটি। প্রয়োজন। সুখ কি-না আমি জানি না।
আমি কখনো Gucci’র ব্যাগ কেনার কথা ভাবি নি। Apple’র ল্যাপটপ কেনার সাধ হয়নি। বর্তমানে আমার কিছুর অভাব নেই। তবু আমি সাধ্যের চেয়ে সহজ জীবনই যাপন করেছি। ক্ষমতা থাকা ভালো। কিন্তু ক্ষমতা সর্বস্ব জীবন সুন্দর লাগেনি কখনও। আমি সুইজারল্যান্ড যাওয়ার স্বপ্ন দেখি না। তবে আমাকে শান্তিনিকেতন টানে। বারবার। আমাকে কেউ ভালোবেসে একটা চিঠি লিখলেও আমার চোখ দিয়ে জল পড়ে।
কেউ বাড়িতে ডেকে ডাল-ভাত খাওয়ালেও আমি আপ্লুত হই। অনেক বিলাসিতায় থেকেও অনেক ছোট কিছুর জন্য আমি অনেক কেঁদেছি। আমি জানি আমার জীবনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা থাকলেও সেই ছোট্ট একটা কথা। একটা ছোট্ট মুহূর্তের জন্য আমি মরে যেতে পারি। এ আমার দুঃখ বিলাস নয়। এ আমার সত্য। এ আমার ভবিতব্য এইটুকু জানি আমি।
আরো অর্থ। অনেক অর্থ। অনেক ভোগ। অনেক ফূর্তি। বড় চাকরির জন্য কেউ কেউ ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে চলে যায় নির্দ্বিধায়। আবার কেউ কেউ অনেক টাকার সিংহাসনে বসে প্রতিরাতে চোখের জল ফেলে সেই মানুষটিকে নিজের জীবনে রাখতে না পেরে!
গ্রাজুয়েট অর্থ কি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর বলতে কী বুঝানো হয়
অনার্স , বি এ , ডিগ্রী , বি বি এ , বি এস সি , এগুলু সবই গ্রাজুয়েট । যতদিন পর্যন্ত এ গুলু একটাও কমপ্লিট করা না হয় , ততদিন থাকে অর্থাৎ এস এস সি বা এইচ এস সি কমপ্লিট করা হলে তাকে বলে আন্ডার গ্রাজুয়েট ।
গ্রাজুয়েট নিয়ে সুন্দর গল্প
বিশ্বে মানুষ যেখানে ঘরে বসে তাদের দৈনিক কর্ম গুলো অনলাইন ভিত্তিক পরিচালনা করছে। এমন কি বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি গুলো তাদের প্রয়াই কাজ ঘরে বসে সম্পাদন করছে, সেখানে আমাদের দেশের তরুণ সমাজরা এখনো দ্বিধা ধন্ধে ভুগছে। একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপশি অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং এডুকেশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিপূর্ণ_দক্ষ_একজন মানব সম্পদে রূপান্তর করতে পারেন।
একজন ব্যক্তি একাডেমিক এডুকেশন কমপ্লিট করতে নুন্যতম ১৮ থেকে ২০বছর লেগে যায়। এই ২০ টি বছর তার পিছনে ব্যয়ের অংকটা নিহায়াত কম নয়! কিন্ত পরিতাপের বিষয় হল একটি চাকরীর নিশ্চয়তা শতকরা হাতে গননা গুটি কয়েক।
প্রতি নিয়ত বছরে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবকেরা বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে দুকুরে দুকুরে দিন অতিবাহিত করছে।
অথচ ক্লাস ওয়ান থেকে দশম পর্যন্ত এগার বছর। এই এগার বছর পড়াশুনা করতে তাদের পিছনে বাবা মায়ের কম পক্ষে বছরে ৫০ হাজার করে ধরলে ও ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও বেশী খরচ হয়।কিন্ত এ টাকা খরচ করতে বাবা মা বিন্দু মাত্র ও চিন্তা করে না, অথচ তারা জানে এই ১০ ক্লাস পাশ করে তাদের সন্তান কোন চাকরী পাবেনা। এমন কি গ্রাজুয়েট পাস করে ও চাকরির নিশ্চিয়তা নেই।
তার পর ও আমরা এটার পিছনেই সব অর্থ,শ্রম ঢেলে দেই।
কিন্তু ৬ থেকে ৮ মাস বা এক বছর, সামান্য অর্থ ইনভেস্ট করে নিজেকে স্কীল করার মাধ্যমে অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে রাজি নই।
কিন্তু ৬ থেকে ৮ মাস বা এক বছর, সামান্য অর্থ ইনভেস্ট করে নিজেকে স্কীল করার মাধ্যমে অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে রাজি নই।
আমাদের এই মন মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার।
আমরা অজুহাত দিয়ে থাকি , আমার টাকা নেই, সময় নেই,আমি ব্যাস্ত থাকি, আমি লেখাপড়া করি, বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করে মূল্যবান সময় টুকু অবহেলায় পার করে পরিশেষে দোষ বর্তায় রাষ্ট্রের উপর,শিক্ষা ব্যবস্থার না হয় প্রতিষ্ঠানের উপর,, না সিষ্টামের উপর।
অথচ আমরা সবাই এটাই চাই, যে আমি এমন একটা কাজ করবো যা করলে আমার সব সময় ইনকাম আসবে। আমি নিজেই হব বস। অফিসে হাজার লোক থাকবে আমার অধিনে। সেই সকল ব্যক্তি বা ছাত্র ছাত্রীর জন্য আমার উপদেশ একাডিমিক লেখা পড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল একটা কোর্স করে নিজেকে স্কীল করে তুলন। দেখবেন চাকরির পিছনে আপনাকে দৌঁড়াতে হবে না, এমনকি টাকার পিছনে না। দুইটাই আপনাকে খুঁজে নিবে,