গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা,গ্রীন টির সবথেকে বড় গুণ হল এটি যেকোনো ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।যেমন স্কিন ক্যানসার,ব্রেস্ট ক্যানসার,লাঙ ক্যানসার,লিভার ক্যানসার,গলব্লাডার ক্যানসার,প্রস্টেট ক্যানসার ইত্যাদি
বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা গেছে যে যাঁরা প্রতিদিন ১ কাপ গ্রীন টি খান তদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন ৫ কাপ গ্রীন টি খান তদের হার্ট অনেক বেশি ফিট।তদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হবার সুজোগ খুবই কম।
যদি গ্রীন টি রোজ পান করা যায় তাহলে ডায়াবেটিসের মত রোগকে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরলের (Cholesterol) পরিমাণ কমে যায়, যা রক্তনালীতে ব্লকেজ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
গ্রীন টি ত্বক ও চুল কে সুন্দর রাখতেও ভীষণ ভাবে উপকারী।শুধু সুন্দর নয় বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ,প্যাচি স্কিন,ত্বক ফেটে যাবার সমস্যা এছাড়াও খুশকির মত সমস্যা যেটা থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন সেটি থেকেও মুক্তি দেয় এই গ্রীনটি।
পেট ব্যথা
আপনি যখন একেবারে খালি পেটে গ্রিন টি খাবেন তখন এতে থাকা ট্যানিন উপাদান আপনার পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তুলবে। যে কারণে দেখা দেবে পেট ব্যথা। বাড়বে কোষ্ঠকাঠিন্য। পেটে সৃষ্ট অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণে দেখা দিতে পারে বমিভাব বা বমির মতো সমস্যাও।
আলসার বাড়িয়ে তোলে
যাদের আগে থেকেই পেপটিক আলসার বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা রয়েছে তাদের সকালে গ্রিন টি না পান করার পরামর্শ দেয়া হয়। এর কারণ হলো, সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খেলে তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
শরীরের বিভিন্ন অংশের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রিন টি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গ্রীন টির আরেকটি অসাধারণ গুণ হল এটি আমদের ব্রেন কে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে ।এটি ব্রেনে রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখে। তারফলে ব্রেন দ্রুত কাজ করে।
গ্রীন টি এর অপকারিতা
চা বা গ্রিন টি জাতীয় পানীয়ের অনেক উপকারিতা বিদ্যমান থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে একটু মেনে চলতে হয়। যেমন চা হোক বা গ্রিন টি কোনটাই অতিরিক্ত পান করা ভাল না। আর খাবার খাওয়ার আগে বা পরে গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে তো গ্রিন টি একদমই খাওয়া ভাল না। এতে করে আরামের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। সুতরাং দেখবেন চা বা গ্রিন টিতে যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, কিছু নিয়মও মেনে খাওয়া উচিত। তাহলে দেহের ক্ষেত্রে উপকার পাবেন।
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন টি খাবেন না। অনেকে মনে করেন, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন টি খেলে খাবারের অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রিন টি শোষণ করে নেবে। কিন্তু আদতে খাবারে যে প্রোটিন থাকে, তা হজমের আগেই গ্রিন টি খেলে হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
খুব গরম অবস্থায় গ্রিন টি খাবেন না। তাতে আপনার ঠোঁট, জিহ্বা বা পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে। সেরা ফল পেতে আট থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করে গ্রিন টি খান
. গ্রিন টি যেহেতু ‘ডিটক্স’, অনেকে মনে করেন, সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত। কিন্তু একেবারে খালি পেটে খাওয়ার চেয়ে হালকা কিছু খেয়ে শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেম চালু করে তারপর গ্রিন টি খেলে ভালো ফল দেবে, নতুবা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হলো দুবার খাবারের মাঝামাঝি খাওয়া।
ওজন কমাতে গ্রিন টি
সবুজ চা বিপাক বৃদ্ধি করে। গ্রীন টি পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালরি তৈরি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি এক দিনে ৭০ কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রীন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)