গ্রীন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা,মেডিসিন ও স্বাস্থ্য টিপস

গ্রীন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা , Green Tea Benefits: ওজন কমানো থেকে, ফিট থাকা, ত্বকের তারুণ্য় ধরে রাখা থেকে শুরু করে মন শান্ত রাখা,বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  গ্রিন টি পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। …


ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কার্যকর …

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে …

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় …

সুগারে উপকারী …

গ্রিন টি পান করার সঠিক সময়

গ্রীন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা



গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আপনার হৃদয়কে রক্ষা করতে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে, ওজন হ্রাস করতে,বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং  রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। গ্রিন টি সাধারণত পরিমিত মাত্রায় নিরাপদ, এবং বেশিরভাগ প্রতিকূল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এর ক্যাফিন সামগ্রীর সাথে সম্পর্কিত।



গ্রীন টি এর অপকারিতা



চা বা গ্রিন টি জাতীয় পানীয়ের অনেক উপকারিতা বিদ্যমান থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে একটু মেনে চলতে হয়। যেমন চা হোক বা গ্রিন টি কোনটাই অতিরিক্ত পান করা ভাল না। আর খাবার খাওয়ার আগে বা পরে গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে তো গ্রিন টি একদমই খাওয়া ভাল না। এতে করে আরামের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। সুতরাং দেখবেন চা বা গ্রিন টিতে যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, কিছু নিয়মও মেনে খাওয়া উচিত। তাহলে দেহের ক্ষেত্রে উপকার পাবেন।



ওজন কমাতে গ্রিন টি



সবুজ চা বিপাক বৃদ্ধি করে। গ্রীন টি পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালরি তৈরি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি এক দিনে ৭০ কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রীন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।



ভরপেট খেয়েই গ্রিন টি নয়



অনেকেই আছেন, যাঁরা ঠিক খাওয়ার পর পরই গ্রিন টি খান। কিন্তু যা একদম ঠিক নয়। এতে খাবারের যে পুষ্টিগুণ তা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খাবার হজম হতে খানিক সময় লাগে। কিন্তু খাওয়ার পর গ্রিন টি খেলে সেই গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা যায়।

যেখান থেকে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই সব থেকে ভালো যদি ভারী খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট পর গ্রিন টি খাওয়া যায়। বাড়ির বিকেলের চা-টা গ্রিন টি খেতে পারেন। তা কিন্তু শরীরের পক্ষে ভালোই হবে।


বাজারে এখন নানা ফ্লেভারের গ্রিন টি পাওয়া যায়। তবে ‘ন্যাচারাল ফ্লেভার’ গ্রিন টি খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।

একটা গ্রিন টির কাপে দুটি টি-ব্যাগ মেশাবেন না। এতে অ্যাসিডিটির আশঙ্কা বাড়বে, হজমেও গোলযোগ হতে পারে।



সকালে উঠেই খালি পেটে, দুপুর ১২টায়, সন্ধ্যায় খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে গ্রিন টি খাবেন না। সম্ভব হলে দুবার ভারী খাবারের মাঝখানে গ্রিন টি খাবেন।



গ্রিন টির সঙ্গে গুঁড়া দুধ, চিনি বা অন্য কোনো মসলা, লেবু কিছুই মেশাবেন না।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)