ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি , খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, প্যাকেট খাবার,ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয়, অপর্যাপ্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ঘুম, শারীরিক পরিশ্রম কম, স্ট্রেস ও মানসিক চাপ এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অল্পবয়সী নারীদের অনিয়মিত মাসিকের অন্যতম কারণ পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ।

ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি



সিক হওয়ার মূল কারণ হলো নারীদের গর্ভনিরোধ পদ্ধতির মাধ্যমে উত্তেজনা পরিণত হওয়া ও গর্ভধারণের জন্য তায়ারি হওয়া।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে ঘটে মাসিকের সৃষ্টি:



অবৈতনিক প্রজনন সিস্টেম:

মহিলার যৌন অঙ্গে একটি অবৈতনিক প্রজনন সিস্টেম আছে, যা মাসিক চক্র নামেও পরিচিত। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং এই সিস্টেম অধীনে মাসিকের প্রক্রিয়া ঘটে। প্রতি মাসে নারীদের গর্ভধারণ হওয়ার জন্য শরীরে গর্ভনিরোধক তথা অন্যান্য পদ্ধতিগুলি পরিচালিত হয়।



এছাড়াও যদি ওভারিতে সিস্ট থাকে কিংবা থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলেও মাসে দু’বার ঋতুস্রাব হতে পারে। অন্যদিকে, এই সব কারণে অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তপাতও হয়। সেই ক্ষেত্রেও সচেতন হন, নয়তো ভবিষ্যতে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেবে।ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং  একই ভাবে মানসিক চাপের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।



হরমোনাল পরিবর্তন:

মাসিকের প্রক্রিয়ায় হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কমপক্ষে দুটি হরমোন, অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরোন, শরীরে উৎপন্ন হয় যা মাসিকের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবর্তিত হরমোনের প্রভাবে রক্তের প্রস্তর পদার্থ ক্ষীণ হয়ে মাসিক চক্রের মাধ্যমে শরীর তার অতিশয় পদার্থবিশিষ্ট বিচ্ছিন্ন করে।



গর্ভধারণের অসম্ভাব্যতা: যদি মাসিক চক্রের মধ্যে গর্ভধারণ ঘটে, তবে শরীর গর্ভবতী স্থিতিতে হয়। একইভাবে, গর্ভবতী স্থিতিতে থাকলে মাসিক প্রক্রিয়া স্থগিত হয়। এই পদার্থগুলির কারণে শরীর একটি নির্দিষ্ট প্রকারের পদার্থবিশিষ্ট রক্ত শোষণ করে যা মাসিক চক্র হিসাবে প্রদর্শিত হয়।



কিন্তু নীচের সমস্যাগুলো থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সমস্যাগুলো হলো-

১) হঠাৎ করে যদি মাসিকের চক্র পরিবর্তন হয় এবং রোগীর বয়স ৪৫ এর কম হয়।
২) ২১ দিনের চেয়ে কম সময়ে বা ৩৫ দিনের চেয়ে বেশি সময়ে মাসিক হলে।
৩) মাসিক ৭ দিনের চেয়ে বেশি থাকলে বা ৩ দিনের চেয়ে কম হলে।
৪) সর্বনিম্ন মাসিক ও সর্বোচ্চ মাসিক হওয়ার দিনের মাঝে ২০ দিনের অধিক তফাৎ থাকলে।
৫)অনিয়মিত মাসিক, কিন্তু বাচ্চা নিতে চান।

 



কেন মাসিক নিয়মিত হওয়া জরুরি?



অনিয়মিত মাসিক এর সাথে অনেক দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা জড়িত বলেই মাসিক নিয়মিত হওয়া জরুরি। মেয়েদের পরিপাক, ঘুম, বাচ্চা হওয়া সবই এর সাথে সম্পর্কিত।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)