ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা

ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা
ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা

ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা সম্পর্কের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ডায়াজিপাম  সাধারণত  ব্যবহার  করা হয় দুশ্চিন্তা , নিদ্রাহীনতা ( ইনসোমনিয়া )  প্রাথমিক আলকোহল ত্যাগ – পরবর্তী জটিলতার চিকিত্‍সায় ।

ঘুমের ঔষধের নাম

ডায়াজিপাম (Diazepam|Diazepam) 

ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা
ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা

ঘুমের ঔষধ নিয়ে গল্প

মনে পড়লে আজও অন্তর কেঁপে ওঠে সেই বৃষ্টির দিনের কথা,সাল টা ছিলো ২০১৮।সেদিন সকাল থেকেই তুমুল পরিমানে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিলো।তার আগের দিন থেকেই তার ফোন টা বন্ধ ছিলো,মনে করছিলাম আমার সাথে একটু অভিমান করছে ফোন টা কিছুক্ষণ পরে খুলবে।খুব অল্প দিনের সম্পর্কে অনেকটা দূর আমরা এগিয়ে ছিলাম।তার বাসা ছিলো রাজশাহী আর আমার বাসা বরিশাল, সে বরিশালে চাকরি করতো।তার আমার রিলেশন এর উদ্দেশ্যই ছিলো বিয়ে।তাই শুরুতেই তার ফেমিলি আর আমার ফেমিলির সবাইকে জানালাম।

আমার পরিবার আমার মতের বিরুদ্ধে কোন কিছু করেনা,ওর পরিবারের সবাই শুরুতে খুব খুশি ছিলো,আমায় রোজ পরিবার থেকে সবাই কল দিতো,আমার ভাইয়েরা ওর সাথে মিট করতে গেল এবং ওকে সবাই পছন্দও করলো,,ওর পরিবার আমার জন্য গহনা বানাতে দিবে,বালা বানানোর জন্য তার বোন হাতের মাপ চেয়েছিলো আমি তখন হোস্টেলে ছিলাম,তাদেরকে বলছিলাম বাসায় গিয়ে দিবো,তারপর সে আমায় বলছিলো তুমি এখন বাসায় যাবা আর হাতের মাপ দিবা,আর পড়াশোনা করার দরকার নাই।

বইগুলো কাউকে দিয়ে দিও,,আমি সব কথাই ওর রাজি ছিলাম। তবে দুষ্টামি করে বলছিলাম আমি আাসায় কাল যাবো। সে সাথে সাথে ফোন কেটে বন্ধ করে রাখে,,আমি ভাবছি অভিমান করছে ফোন খুলে আমা কল দিবে,আমি সেদিন বিকালেই বাসায় আসি,কিন্তু সে ফোন বন্ধ করেই রাখলো।পরেরদিন শুক্রবার ছিলো,প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি ছিলো আমি বাসায় মিথ্যা বলে তার বাসায় গেলাম গেটে তালা ছিলো, কিন্তু ভিতরে ও ছিলো, আমি বুঝতে পারছিলাম। আশেপাশে লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলাম কেউ ওর কোন তথ্য দিতে পারলো না।

ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা
ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা

রাস্তায় দাড়িয়ে অনেক জোড়ে চিৎকার করে ওকে ডাকলাম, একজন লোক এসে জানালো সে বাসায় নেই।অনেক লোক জড় হলো। অনেকেই অনেক বাজে বাজে কথা বললো আমায়,কাঁদতে কাঁদতে আমি চলে আসি।আমি বাসায় আসার আগে আমার পরিবারের লোকেরা জেনে গেল।ভেঙে গেলো আমার প্রতি তাদের সকল বিশ্বাস। আশেপাশের লোকেরা অনেক বানিয়ে বানিয়ে আমার নামে বলে।তার বাসা থেকে আমার বাসার দূরত্ব টা অনেক বেশি ছিলো তাই মা শুরু থেকেই অনেক কান্নাকাটি করতো,শুধু আমার মুখের দিক তাকিয়ে রাজি হইছিলো।আর আমি তাদের মুখেই চুন কালি মাখিয়ে দিয়েছি।

তারপরেও বার বার তাকে ফোন দিছি যোগাযোগ করার চেস্টা করছি। কিন্তু আমি ব্যার্থ হয়েছি।কিছু দিন পরে খবর পাই সে রাজশাহী গিয়ে বিয়ে করে ফেলছে।তারপরে বরিশাল থেকে বদলি নিয়ে চলে গেছে।
আমার অপরাধ কি ছিলো আমি নিজেও জানতাম না।তবে নিজের কাছে বার বার প্রশ্ন করতাম উত্তর মিলতো না। কষ্ট সহ্য না করতে পেরে ঘুমের ঔ- ষ- ধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতাম।
তাকে নিয়ে দেখা সেই স্বপ্নগুলো আজও বুকের ভিতরটায় হাহাকার করে।

বিয়ের পরে হয়তোবা বউকে নিয়ে সুখি ছিলো না তাই আমায় ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করতো, আমার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলো,তার পরিবার থেকে তাকে নিষেধ করেছিলো তাই সে এমনটি করেছে।
তারপরও মনে প্রশ্ন থেকেই যায়,তার পরিবার ও কি তাহলে আমার সাথে অভিনয় করছে?
আমার এই গল্পটা শেয়ার করার উদ্দেশ্য,
আমার সাথে করা তার সেই অভিনয় গুলো আরও একবার অনুধাবন করবে গল্প আকারে।

 ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা
ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি কার্যকারিতা

ঘুমের ঔষধ নিয়ে আরও গল্প

 

নীচ থেকে ঘুরে ঘন্টাখানেক পর চুপিচুপি ওয়ার্ডে ঢুকলাম। দেখলাম কেউ একজন সেই রোগীর মাথা ম্যাসেজ করে দিচ্ছে। আমি কিছুটা স্বস্তি পেলাম। যাক কাজ হয়েছে। আমিও নিজ রোগীর কাছে গিয়ে মাথা ম্যাসেজ শুরু করলাম। কারণ, আমার রোগীরও একই প্রব্লেম।

কিছুক্ষণ পর গোল্লা চোখের সেই সেবিকা আপা আমার কাছে এসে অভিযোগের সুরে বলল
– আপনার ম্যাসেজ থেরাপিতেও কাজ হচ্ছে না, ভাই। নতুন কোন সিস্টেম থাকলে বলতে পারেন।
আমি একবার রোগীর দিকে আর একবার তার দিকে তাকালাম। দেখলাম রোগী আগের মতই মোবাইল টিপাটিপিতে ব্যস্ত। আমি সেই চান্সে বলে ফেললাম,

-রোগীর মোবাইলের ইন্টারনেটটা অফ করে দিন। গ্যারান্টি দিচ্ছি ৩০মিনিটের মধ্যে সে ঘুমিয়ে পড়বে।
রোগী ঘাড় খাড়া করে আমার দিকে তাকালো। ধীরে ধীরে তার মোবাইলটি বালিশের নীচে চলে যাচ্ছে। আমার মনে হলো সে তার পিস্তলটি খুঁজছে। ততক্ষণে সেই সেবিকা আপু গর্জে উঠল,

-রোগীর কাছে মোবাইল কেন? কতবার বলেছি হার্টের রোগীদের কাছে কোন মোবাইল রাখা যাবে না। দেন, আপনার মোবাইলটা দেন।
মোবাইলটি সীজ করা হলো।
রোগী খুবই ক্ষীপ্ত। সে আমার দিকে তাকাচ্ছে। প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করায় আমি আবারো বাইরে চলে গেলাম।