চালতার উপকারিতা , কাঁঠাল খাওয়ার পাশাপাশি কাঁঠালের বীজ খাওয়ার প্রচলন আমাদের দেশে রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁঠালের বীজের খোসা ছাড়িয়ে তা ব্যবহার করা হয় তরকারিতে।
চালতার উপকারিতা
অনেকেই এর বীজ ফেলে দেন, অনেকে আবার সংরক্ষণও করেন। বেশিরভাগ মানুষ আবার এই বীজ ভেজেও খান। তবে কাঁঠালের বীজ দিয়ে দারুণ সব ডেজার্টও তৈরি করা যায়, যা অনেকেরই অজানা। এই গ্রীষ্মে আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন কাঁঠালের বীজের পায়েস।
চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, বিটা ক্যারোটিন এবং সামান্য পরিমাণ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। তাই চালতা মানবদেহে যেমন রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, তেমনি পুষ্টিগুণেও রাখে বিশেষ ভূমিকা।
চালতার স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
চালতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
চালতার রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ইউট্রাস ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
চালতা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা আখতারুন নাহার বলেন, চালতায় আছে ক্যালসিয়াম, শর্করা, আমিষের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। এ ছাড়া আরও আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, থায়ামিন ও রিবোফ্লাবিন। তাই চালতা শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধের কাজ করে, তেমনি পুষ্টি পূরণেও রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। আসুন, এবার গুণ বিচার করা যাক।
চালতা হজমে সহায়ক।
এ ছাড়া অন্ত্রে বাসা বাঁধা কৃমির বিরুদ্ধে লড়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে চালতার। পাকস্থলীতে যাদের আলসার আছে, তাদের জন্য দাওয়াই হতে পারে চালতা
।
ডায়রিয়া ও বদহজমে চালতা খান, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
চালতাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে বলে রক্তের লোহিত রক্তকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে।
চালতার বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কিডনির নানান রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এই টক ফলটি।
ডায়রিয়া ও বদহজমেও চালতা বেশ ভালো কাজ করে।
গলা ব্যথা, বুকে কফ জমা, সর্দি, কাশি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধেও চালতার আছে বিশেষ গুণ। তাই শীতকালে এসবের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে হলে চালতার রস কিংবা চালতার টক খেতে পারেন মাঝে মধ্যেই।
চালতা হাড়, দাঁত ও নখ গঠনে সহযোগিতা করে।
সর্বোপরি চালতা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। তাই এই শীতে কিংবা সারা বছরেই চালতা খেতে পারেন আচার, চাটনি বানিয়ে অথবা চালতা-ডাল আহার করে।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)