চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়,চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো চুলের গোড়া নরম থাকা। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং কিছু কারণে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, এর ফলে চুল পড়ে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।

চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়

চুলের গোড়া মজবুত করতে চাইলে কিছু বিষয় আপনাকে মেনে চলতে হবে, যার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে। একনজরে এই পরামর্শগুলো দেখে নিতে পারেন।




কিছু উপায় আছে, যা চুল পড়া কমাতে পারে অনেকটাই—



১. কন্ডিশনার
একটি ভালো মানের কন্ডিশনার চুলের গোড়া শক্ত করতে আশ্চর্যভাবে কাজ করতে পারে। এতে দেওয়া থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে মেরামত করে চুলকে মসৃণ রাখতে অনেক ভালো কাজ করে।


চুল বেশি আঁচড়াবেন না



আপনি হয়তো শুনেছেন, চুল বেশি আঁচড়ালে মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। এটা একেবারেই ভুল ধারণা; বরং চুল বেশি আঁচড়ালে গোড়া নরম হয়ে যায়। তাই দিনে দুবার চুল আঁচড়ান


বেশি করে পানি পান করুন



চুলের গোড়া মজবুত করতে চাইলে শরীরের পানির ঘাটতি দূর করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং চুলে গোড়া শক্ত করবে।



২. শ্যাম্পু


চুল কোন শ্যাম্পুকে মানিয়ে নিচ্ছে এবং কোন শ্যাম্পুটি চুলের জন্য ভালো কাজ করছে, তা বুঝতে পারা হচ্ছে একজন চুলপ্রেমী মানুষের প্রধান কাজ। সব রকম শ্যাম্পুকে সবার মাথার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে না। তাই ব্যবহার করার মাধ্যমে কোনটি মাথার ত্বক মানিয়ে নিচ্ছে সেটি বুঝতে হবে।

এ ছাড়া এটিও লক্ষ রাখতে হবে যে, শ্যাম্পুতে যেন সালফেট, প্যারাবেন এবং সিলিকনের মতো পদার্থগুলো বেশি না উপস্থিত থাকে। এগুলো চুল ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করে।


৩. ব্যায়াম ও ডায়েট


চুলের জন্য কি কি ভালো পণ্য মাথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, তার থেকে বেশি প্রয়োজনীয় হচ্ছে— ডায়েট ফলো করা ও ব্যায়াম করা। কিছু ব্যায়াম করা ও প্রতিদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আয়রন অন্তর্ভুক্ত করলে চুল পড়া কমানো সম্ভব।



বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন



শ্যাম্পু করার পর চুলে বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুলকে নরম ও জটমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। এর ফলে আঁচড়ানোর পরও চুলের গোড়া মজবুত থাকবে।



৪. রাসায়নিকের ব্যবহার কমানো


চুলে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে রাসায়নিকের ব্যবহার করতে হবে। স্ট্রেইটেনিং, পারমিং, কালারিংয়ের মতো কাজগুলো করলে চুলে অনেক পরিমাণে রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো চুলের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এ ছাড়া ড্রায়ার ও কার্লিং রড ব্যবহারও চুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। চুলের যত্নে এগুলোর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে, এগুলো বরং আরও ক্ষতিকারক।

৫. নিয়মিত ছাটাই



চুলের নিচের অংশে ভেঙে যাওয়া আগা থাকলে তা চুলের বৃদ্ধির পথে বাধার সৃষ্টি করে। তাই প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহে একবার করে চুলের আগা ছাঁটাই করা প্রয়োজন। এতে চুল বাড়তে পারে ও চুল পড়াও কমে।


নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া



চুলের গোড়া শক্ত রাখতে ও চুল পড়া কমাতে তেলের বিকল্প নেই। সেটা যেকোনো তেলই (নারকেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল কিংবা জোজোবা) হতে পারে। মাথায় তেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করলে চুল সুস্থ ও গোড়া মজবুত থাকবে।

৬. তেল দেওয়া
নিয়মিত মাথায় তেল দিলে তা রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি করে এবং চুলের শেকড়কে পুষ্ট করে। মাথার ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এমন তেল দিয়ে অন্তত সপ্তাহে একবার চুলের গোড়া ম্যাসেজ করতে হবে। আর তেল দেওয়ার পর অন্তত দুই ঘণ্টা সেটি মাথায় রেখে তার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া