জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কোনটা ভালো , নিউ ইয়র্কের নিউ হাইড পার্কে অবস্থিত নর্থওয়েল হেলথের ডিভিশন অব অ্যাম্বুলেটরি কেয়ার অ্যান্ড ওম্যান’স হেলথ প্রোগ্রামস-পিসিএপি সার্ভিসেসের সহ-প্রধান জিল রাবিন বলেন, ‘দুই প্রকারের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের মধ্যে এক প্রকারে ফিমেল সেক্স হরমোন প্রজেস্টেরন থাকে এবং অন্য প্রকারে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের সমন্বয় থাকে (সমন্বয়কৃত পিল)।’ প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধে এসব হরমোন বিভিন্নভাবে কাজ করে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কোনটা ভালো
নিরাপদ কোন পিল নেই। কম বা বেশি পার্শ প্রতিক্রিয়া থেকেই যায়। তবে স্বল্পমাত্রার পিল যেমন, ফেমিকন, মিনিকন, সুখী, নরেট 28 এগুলো পিলে পার্শ প্রতিক্রিয়া কম । তাই এসব পিল ব্যবহার করতে পারেন।
ডা. রাবিন বলেন, ‘প্রজেস্টেরন সার্ভিক্যাল মিউকাসকে ঘন করে শুক্রাণু প্রবেশ কঠিন করে তোলে এবং এটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের মুভমেন্ট ধীর করে- যার ফলে ডিম্ব ও শুক্রাণু কার্যকরভাবে একত্রিত হতে পারে না। এছাড়া এটি ইমপ্লান্টেশন না হওয়ার জন্য জরায়ুর স্তরকে বৈরী করে তোলে।’ একটি উর্বর ডিম্ব পাতলা স্তরে ইমপ্লান্ট হতে পারে না- ইমপ্লান্ট হতে নরম ও আরামপ্রদ স্থান প্রয়োজন। ইস্ট্রোজেন ওভিউলেশনের জন্য হরমোনের কার্যকারিতাকে দমন করে ওভিউলেশন প্রতিরোধ করে।
অস্থায়ী পদ্ধতি:
১. ব্যারিয়ার পদ্ধতি, যেমন কনডম, ডায়াফ্রাম
২. প্রাকৃতিক পদ্ধতি, যেমন মাসিকের হিসাব রেখে যৌনমিলন করা, শুক্রাণু যোনির বাইরে ফেলা
৩. স্টেরয়েড কন্ট্রাসেপটিভ, যেমন পিল, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট
৪. আইইউসিডি, যেমন কপার-টি
বয়স ৪০ বছরের বেশি, স্তন্যদানকারী নারী (সন্তানের বয়স ৬ মাস পর্যন্ত), অনির্ণীত যোনিপথের রক্তক্ষরণ, রক্তে অধিক কোলেস্টেরলের মাত্রা, রক্তনালির বা রক্ত জমাট বাঁধাজনিত রোগে আক্রান্ত, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস, ব্রেস্ট ক্যানসার, লিভারের রোগ, জন্ডিস বা ক্যানসার, আগে স্ট্রোক হয়েছে বা হার্টের রোগ আছে আর বড় কোনো অপারেশনের আগে—এসব ক্ষেত্রে নারীরা পিল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। অথবা পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বর্তমানে বাজারে তৃতীয় বা চতুর্থ জেনারেশনের পিল পাওয়া যায়।