জন্মিলে মরিতে হবে ভাবসম্প্রসারণ , সৃষ্টিকর্তা এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। সবুজ শ্যামলে সুন্দর করে সাজিয়েছেন এই পৃথিবী। তবে তার সেরা সৃষ্টি হলাম আমরা মানুষ জাতি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং তিনি আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন। আমাদের জীবন বড় ক্ষণস্থায়ী তা আটকে আছে সুনির্দিষ্ট বাঁধাধরা কিছু নিয়মে।
জন্মিলে মরিতে হবে ভাবসম্প্রসারণ
মানুষের জীবন-কাল খুবই সামান্য। একদিন সবাইকেই মৃত্যুবরণ করতে হয়। মৃত্যুর পর তার নাম হারিয়ে যায়। এই সংক্ষিপ্ত মানবজীবন নদীর জলের মতোই প্রবহমান।
নদীর জোয়ার-ভাটার মতো মানুষের জীবনেও সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতন আছে। জাগতিক নিয়মেই জীবন চলে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই চরম সত্যকে মেনে নিয়ে মানবজীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে। কর্মগুণে নিজের কীর্তির চিহ্ন রেখে যেতে হবে। নিষ্ফল জীবনের অধিকারীকে কেউ মনে রাখে না।
পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যার জন্ম হয়েছে কিন্তু মৃত্যু হবে না। মৃত্যুকে থামানো যায় না বলেই মানুষ কখনো অমর হতে পারে না। মানুষের পঁচনশীল শরীর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে মিশে যায় পৃথিবীর মাটিতে। মানুষ হয়তো অন্যের স্মৃতিতে বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু স্বশরীরে কেউ কোনোদিন অমর হতে পারে না।
মানুষ মৃত্যুকে না চাইলেও মৃত্যুই মানুষকে কেঁড়ে নিয়ে যায় এই সুন্দর বসুধা থেকে। মৃত্যু কাউকে কখনো অমর হতে দেয় না। মৃত্যু প্রত্যেক জীবের জন্য অবধারিত সত্য।
জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে,চিরস্থির কবে নীর, হায় রে, জীবন নদে? মানুষ মরণশীল। মানুষ অমর নয়। একদিন সবাইকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুই জীবনের অনিবার্য পরিণতি।
মৃত্যুকে ঠেকানোর ক্ষমতা কোনো মানুষের নেই। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘কুল্লু নাফছুন জায়কাতুল মউত।’ অর্থাৎ প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মানবজীবন নদীর জলের মতো প্রবহমান।
(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)