জবা ফুলের ইংরেজি নাম,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

জবা ফুলের ইংরেজি নাম , জবাফুলের পৌরাণিক নাম ছিল জপাকুসুম। রামায়ণ-এর টীকায় লিখিত জপা অর্থ আলতা এবং কুসুম অর্থ ফুল, সেই সূত্রে জপাকুসুম।

আর্যদেবতার পূজায় শাদা ফুল ব্যবহারের রীতি প্রচলিত, লাল জবা ব্যবহৃত হয়েছে অনার্য দেবী শ্যামা বা কালীর পূজায়।

জবা ফুলের ইংরেজি নাম




ইংরেজী নাম – Hibiscus. China rose.
Scientific name :Hibiscus rosa-sinensis.



নলজবা বা লঙ্কাজবা, ঝুমকাজবা, রক্তজবা, গুচ্ছজবা, পঞ্চমুখী জবা।সাদা, হলুদ, নীল, বেগুনি, কমলা। নার্সারি তে নানান রঙের জবা পাওয়া যায়, আকারেও তাদের ভিন্নতা দৃষ্টিনন্দন।



জবা Malvaceae গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম। এর উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে।
জবা দেবতাদের সন্তুষ্ট করার ফুল,
কাপালিকদের প্রিয় ফুল।



আয়ূর্বেদাচার্য শিবকালীর মতে এই ফুলকে তারা ততন্ত্র মন্ত্রে বশিকরণ এ ব্যবহার করতেন।
সূর্যপ্রনাম জবা ফুল ছাড়া হবে না, কালী পূজোতেও জবা ফুল বিশেষ দরকারী।



জবা ফুল এর ইংরেজি হলো: Chinese hibiscus, বা China Rose. এটি মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম। যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে।



জবার জাত সংরক্ষণে এবং হাইব্রিড নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ইংল্যাণ্ডের কিউ গার্ডেন এবং অপরাপর কিছু উদ্যানকেন্দ্রও।
জবা মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করেছে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। কিন্তু নেটিভ না হয়েও কেন এটা জাতীয় ফুল হিশেবে স্থান পেয়েছে তা নিয়ে অনেক জল্পনা। ওখানকার কৃষি মন্ত্রণালয় পদ্ম, গোলাপ, ইলাং ইলাং (অপরূপ চাঁপা) সহ বেশ কয়েকটি ফুলের মধ্য থেকে এই জবাফুলকে বেছে নিয়েছে ষাটের দশকে। এর কারণ, পাঁচটি পাপড়িকে তাদের ৫ টি জাতীয় নীতির প্রতীক হিশেবে ধরে নেয়া যায় আবার লাল রঙ উপস্থাপন করতে পারে জাতীয় বিক্রমকে।


আঞ্চলিক নাম ‘বুঙ্গা রায়া’ অর্থাৎ বড় ফুল। এই ফুলগাছ দিয়ে মালয়েশিয়াতে অনেক জায়গায় রাস্তার বিভাজকও তৈরি করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ফুল Hibiscus syriacus যাকে লিন্নিয়াস হয়ত মনে করেছিলেন সিরিয়া থেকে উদ্ভূত। এই ফুলকে তারা বলে মুগুঙ্গুয়া যার অর্থ এসেছে ‘চিরন্তন’ থেকে।
দেখতে অপরূপ হাওয়াই দ্বীপের স্টেট ফ্লাওয়ার হল Hibiscus brackenridgei যা স্বল্পায়ু, মাত্র ৪-৫ বছর বেঁচে থাকে।


পৃথিবীর বহু দেশেই এখন জবা-চা পান করা হয় যা তৈরি করা খুব সহজ, আধঘন্টা পাপড়ি জ্বাল করে চিনি মিশিয়ে নিলেই হল। একসময় মিশরীয় ফেরাউনরাও পান করেছে স্বাস্থ্যের জন্যে। এতে রক্ত চাপ বেশ কমে যায় যে কারণে অল্প রক্তচাপের মানুষের জন্যে এটা হিতে বিপরীত হতে পারে।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)