বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির স্বাধীনতার শপথ,শোকাবহ আগস্ট স্ট্যাটাস ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ, ১৯৭১ সালের ভাষণ হল বাঙালির স্বাধীনতার শপথের ভাষণ। এই ভাষণে তিনি বাংলাদেশের লোকজনগণের মধ্যে জাগরুক প্রচেষ্টা উদ্দীপ্ত করার লক্ষ্যে উত্তেজনা ও স্ফূর্তির বাণী রচনা করেন।
ভাষণে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ের জন্য সকল বাঙালি একসাথে উদ্বেগে ভরা বাণীতে একত্রিত করেন এবং তাদের সাহস, সংযম এবং সমর্পণের প্রতি প্রশ্রয় করেন। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু দ্বারা স্বাধীনতার অর্থ এবং এটির গুরুত্ব নিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল, যার ফলে স্বাধীনতার প্রক্রিয়া প্রসারিত হতে সাহায্য হয়েছিল।
ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এই স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলাদেশের মানুষের একতা এবং সমর্থন আমার শক্তির স্তম্ভ। এই স্বাধীনতা লড়াইয়ে আমি যে স্বর্গীয় সুযোগ পেয়েছি, তা আমি কখনও ভুলতে পারি না।”
এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মানুষের মধ্যে একতা এবং সংযমের ভাষা ব্যবহার করে তাদের সকলের মধ্যে দৃঢ স্বাধীনতা চেতনা উদ্বেগ করেছিলেন এবং এই ভাষণের প্রভাবে স্বাধীনতার কাছে একটি অভূতপূর্ব জনআন্দোলন এবং স্বাধীনতার দিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছিল।
এই ভাষণের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব করার জন্য একটি অবিস্মরণীয় উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন এবং তার ভাষণের প্রভাব আজও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মনোনিবেশ করা থাকে।
শোকাবহ আগস্ট স্ট্যাটাস
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ১০ টি উক্তি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ, ১৯৭১ সালের ভাষণ একটি অপরিস্কার্য ইতিহাসের পৃষ্ঠান্তের ঘটনা। এই ভাষণে তিনি বাঙালির স্বাধীনতার পথে সাহসী আহ্বান করেছিলেন। এখানে কিছু মাঝরাত্রিক উক্তি উল্লেখ করা হলো:
১. “আমি আজ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থক আপনাদের সামনে এসেছি। আমি কিন্তু আমার করতে পারি না, আপনাদের প্রত্যেককে ব্যার্থ করতে।”
২. “আপনারা যারা বাংলা ভাষার অভিমানী, যারা বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন করেন, তাদেরকে এখান থেকে বের করে দেওয়া হলেও আমি বিশ্বাস করি তারা আমাদের সাথে থাকবে।”
৩. “আমরা অবাক হচ্ছি এই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি করে বেঠাচ্ছে যারা বাঙালির প্রতি নেতৃত্ব করেছে।”
৪. “আমরা তাদের কাছে এই বার্তা পাঠাচ্ছি যে, বাংলা মানুষের ক্ষুধার্ত প্রতিরোধ করতে প্রত্যেক বাঙালির দায়িত্ব আছে।”

৫. “আমরা আজ সংখ্যালঘুদের অবস্থায় আছি, কিন্তু আমাদের এই প্রতিশ্রুতি আছে, আমরা অপরাজেয় এবং অধীনতায় থাকব না।”
৬. “আমরা নিশ্চিত মনে করি এই যুদ্ধে আমরা জয় লাভ করব।”
৭. “এই সময়ে আপনাদের অতীতের অনেক দূরত্ব থেকে আমি সাক্ষাৎ করছি, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের সময় এবং আমাদের প্রয়াসের ফলে আমরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য বিজয়ী হব।”
৮. “এই স্বাধীনতা আমাদের প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমরা অপরাজেয় হবো।”
৯. “আমরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য সমস্ত বাঙালির জন্য জয় লাভ করতে প্রস্তুত।”
১০. “আমরা যত্ন করবো, কিন্তু আমরা এই স্বাধীনতা যুদ্ধে এগিয়ে যাবো।”
শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে কিছু কথা
শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনক ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি পরবর্তীতে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তিনি ১৭ মার্চ, ১৯২০ সালে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু বলতে পরিচিত এই মহান নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রণী নেতার বিবেচিত শখা।
শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যকালের তথ্য:
১. ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন শহীদ মিনারে উঠে নিজেকে একটি ভাষা সংগ্রামী নেতা হিসেবে প্রদর্শন করেন। তাঁর নেতৃত্বে সংঘর্ষমূলক ভাষা আন্দোলনের প্রকাশ পেয়ে বাংলা ভাষাকে অফিশিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে সফলতা প্রাপ্ত হয়।
২. স্বাধীনতা আন্দোলন: ১৯৬৯ সালে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি মুখ্য নেতাবড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এই আন্দোলনের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের স্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ ও সংঘর্ষ চালিয়েছিলেন।
৩. স্বাধীনতা অধিনয়কারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী: বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করার পর, ১৯৭১ সালে তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদবী দাখিল করেন।
৪. মুক্তিযুদ্ধের নেতা: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতা হিসেবে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দেশের প্রধান নেতার অধিকারী হন।
৫. সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের দলীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি যুদ্ধের ঘটনা প্রচারিত করে দেন।
৬. দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দুই নেশনগঠনের নেতার একজন।
সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর জীবনী
শেখ মুজিবুর রহমান (জন্ম: ১৭ মার্চ, ১৯২০, মৃত্যু: ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫) বাংলাদেশের জনক এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক হিসেবে পরিচিত এবং আমাদের জাতির অগ্রণী নেতা ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন, যার নেতৃত্বে বাংলা ভাষাকে অফিশিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার সাফল্য পেতেন। তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির দ্বারা একটি স্বাধীন দেশ গড়ে তুললেন।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের সামরিক শাসন নেতা জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সৃষ্টি করেন এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সামরিক সেনাবাহিনী থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এর ফলে শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদবী দাখিল করেন।
তিনি বাংলাদেশের মানুষের উন্নতির জন্য ব্যক্তিগত এবং সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে দেশের প্রগতি এনেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল দেশে গরিব জনগণের জীবনমান উন্নত করা। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর তিনি দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গড়েন।
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি প্রথম আইন সংসদ উদ্বোধন করেন। কিছু সময় পর, অন্যভাবে কাজের অভাবে সে কর্মসূচি বাতিল হয় এবং দলে সদস্যতা প্রত্যাখ্যান করেন।