জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে , আপনার সাথে থাকবে হুর, হুর মানে সঙ্গী। হাসরের ময়দানে পিতা পুত্র কে চিনবে না, মা তার শিশু কে চিনবে না, ভাই তার ভাইকে চিনবে না। মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং যে জান্নাত পাবে সেই সফল কাম। জান্নাতে তার জন্য হুর থাকবে। হুর কি তা জান্নাত না গেলে বুঝার উপায় নাই।
জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে
নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহর নিকট শহীদের জন্য রয়েছে সাতটি মর্যাদা; রক্তক্ষরণের শুরুতেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, বেহেশ্তে সে তার নিজ স্থান দেখতে পায়, তাকে ঈমানের জুব্বা পরিধান করানো হয়, (বেহেশ্তে) ৭২টি সুনয়না হুরীর সাথে তার বিবাহ হবে, কবরের আযাব থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে, (কিয়ামতে দিন) মহাত্রাস থেকে নিরাপদে থাকবে,
তার মস্তকে গৌরবের মুকুট পরানো হবে, যার একটি মাত্র মণি (চুনি) পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থিত সকল বস্তু অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, আর নিজ পরিবারের ৭০ জন লোকের জন্য (আল্লাহর দরবারে) তার সুপারিশ মঞ্জুর করা হবে।” (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, বাইহাকী, সহীহুল জামে’ ৫ ১৮২ নং)
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, জান্নাতে কি আমাদের স্ত্রীদের সাথে যৌনমিলন হবে? তিনি উত্তরে বলেন, একজন জান্নাতী এক সকালে ১০০ কুমারী তরুণীর সাথে যৌনসঙ্গম করবেন। (তাবারানী, বাযযার) মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, জান্নাতে কি আমাদের জন্য যৌনমিলন থাকবে? তিনি বললেন, যার হাতে আমার জীবন তার শপথ নিয়ে বলছি যে, হ্যাঁ, জোরালো ধাক্কার (সাথে যৌনসঙ্গম হবে)।মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং যখন আমাদের একজন জান্নাতে তার স্ত্রী সাথে রতিক্রিয়া শেষ করবে, সে (স্ত্রী) পুনরায় কুমারী এবং পবিত্র রমণী হয়ে যাবে। (ইবনে হিব্বান)।
মহান আল্লাহ বলেন,
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُمْ وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থাৎ, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদের দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে,মনীষীরা এই জীবন যাত্রার মানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (মু’মিনঃ ৮)।