জিরা পানির অপকারিতা,ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য টিপস

জিরা পানির অপকারিতা , জিরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে ঝিমুনি, ঘুম বা বমি বমি ভাবের মতো বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত। এই সব সমস্যা বাড়তে পারে অতিরিক্ত জিরে খাওয়ার কারণে। ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং লো ব্লাড সুগার- খুব বেশি জিরে খেলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে কমে যেতে পারে।

জিরা পানির অপকারিতা

 



কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে



জিরায় আছে প্রচুর ফাইবার, যা অনেকগুলো এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। জিরা খেলে তা পাইলসের কষ্ট কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে উপকার মিলবে।



জিরার অপকারিতা কি?


জিরা পানি দিনে দুবার খেলে এটি পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয়, যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছাটা কমে যায়। রোগপ্রতিরোধে ও বৃদ্ধিতে জিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন বিদ্যমান, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগপ্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। জিরায় আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন-এ ও সি আছে।




রাতে ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব শরীরে পড়বেই। সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকবে, কাজে মন দেওয়া যাবে না ঠিকভাবে। অনিদ্রার সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে এটি আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। আপনারও এই সমস্যা থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ চটকানো কলার সঙ্গে আধা চামচ জিরার গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন।

ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার সময় আপনার যে রোগগুলি আছে বা আপনি যেসব ওষুধগুলি গ্রহণ করছেন সে সম্পর্কে আপনাকে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে,এই পরামর্শ কে গুরুত্ব দিতে হবে 



লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে :

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরের ডায়াজেস্টিভ এনাজাইমের উৎপাদন বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরাও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।

মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও জিরা আসলে নানা ঔষধিগুণ সম্পন্ন। খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অনেক সমস্যার সমাধানও করে জিরা। পেটের বিভিন্ন অসুখ কমানোর পাশাপাশি হজমক্ষমতাও বাড়ায় জিরা।

(সূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট)