জীবনানন্দ দাশের উক্তি, জীবনানন্দ দাশের স্ট্যাটাস, জীবনানন্দ দাশ আমাদের কবি, গুলো নিয়ে আমরা এখন বিস্তারিত আলোচনা করব।
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন আমাদের বাঙালি জাতির গর্ব কবি, জীবনানন্দ দাশ কে নিয়ে গবেষণা করেছেন সুদূর মার্কিন এক গবেষক, বাঙ্গালীদের প্রতি জীবনানন্দ দাশের যে টান, প্রকৃতির প্রতি যে টান রয়েছে জীবনানন্দ দাশের, জীবনানন্দ দাশের উক্তি গুলো নিয়ে আরো আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।
জীবনানন্দ দাশের উক্তি
বাংলার মুখ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি , তাই আমি পৃথিবীর রূপ |
খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে|
চেয়ে দেখি ছাতার মতো ব্ড় পাতাটির নিচে বসে আছে|
ভোরের দয়েলপাখি – চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ|
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশথের করে আছে চুপ ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে ;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে |
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ |
দেখেছিল ; বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে -|
কৃষ্ণা-দ্বাদশীর জোৎস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায় -|
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায় ,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল – একদিন অমরায় গিয়ে |
ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায় |
বাংলার নদ -নদী -ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায় ।
======
প্রকৃতিকে দেখো এবং নিজের মনে শান্তি আন।
প্রকৃতি হচ্ছে আমাদের জীবন আর সেই জীবনকে পরিচর্যা করার দায়িত্ব আমাদের।
আমার জন্ম বরিশালে তোমরা যেখানেই থাকো এই প্রকৃতিকে ভালবাস।
প্রাকৃতিক কবি জীবনানন্দ দাশ তার প্রতিরোধ হাজারো সালাম।
বনলতা সেনের সেই কবি গুলো আজও আছি বেশি মানুষের মাঝে আর সে হলো জীবনানন্দ দাশ।
জীবনানন্দ দাশ হল এ বাঙ্গালীর প্রকৃতি কবি, যাকে ঘিরে আজ আমাদের গর্ব হয়।
প্রকৃতির প্রেমি হতে হবে সেটি হতে হবে জীবনানন্দ দাশের মত।
জীবনানন্দ দাশ হল আমাদের বাঙালি জাতির গর্ব এবং প্রকৃত প্রাকৃতিক প্রেমি।
পঁচিশ বছর পরে
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠেরউপরে
বলিলাম : ‘ একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি , আসিবার ইচ্ছা যদি হয় !–
পঁচিশ বছর পরে !’
এই বলে ফিরে আমি আসিলাম ঘরে ;
তারপর কতবার চাঁদ আর তারা ,
মাঠে মাঠে মরে গেল , ইদুর — পেচাঁরা
জোছনায় ধানক্ষেতে খুঁজে
এল-গেল । –চোখ বুজে
কতবার ডানে আর বায়ে
পড়িল ঘুমায়ে
কত-কেউ ! — রহিলাম জেগে
আমি একা — নক্ষত্র যে বেগে
ছুটিছে আকাশে
তার চেয়ে আগে চলে আসে
যদিও সময় –
পঁচিশ বছর তবু কই শেষ হয়!–
তারপর — একদিন
আবার হলদে তৃণ
ভরে আছে মাঠে – –
পাতায় শুকনো ডাঁটে
ভাসিছে কুয়াশা
দিকে দিকে , চুড়ায়ের ভাঙা বাসা
শিশিরে গিয়েছে ভিজে — পথের উপর
পাখির ডিমের খোলা , ঠান্ডা – কড়কড় !
শসাফুল — দু – একটা নষ্ট শাদা শসা
মাকড়ের ছেঁড়া জাল, শুকনো মাকড়সা
লতায় — পাতায় ;
ফুটফুটে জোছনারাতে পথ চেনা যায়;
দেখা যায় কয়েকটা তারা
হিম আকাশের গায় — ইদুর পেঁচারা
ঘুরে যায় মাঠে মাঠে , ক্ষুদ খেয়ে ওদের পিপাসা আজও মেটে ,
পঁচিশ বছর তবু গেছে কবে কেটে !
জীবনানন্দ দাশের নিয়ে আজকে আমাদের এই আলোচনা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তার জীবন চরিত্র ইতিহাস ঐতিহ্য এবং প্রকৃতির প্রতিদান, যে টানগুলো সারা পৃথিবীতে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, কি জন্য মনীষীদের দেওয়া জীবনানন্দ দাশের উক্তি আজ আমাকে এবং সকলকে আশা করি মুগ্ধ করবে।